আলোকিত টিচার্স লিমিটেড ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (এনএসইউ) শিক্ষক প্রশিক্ষণ ও পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। এই অংশীদারত্বের লক্ষ্য—এনএসইউর একাডেমিক শ্রেষ্ঠত্ব ও আলোকিত টিচার্সের উদ্ভাবনী ও গবেষণাভিত্তিক পদ্ধতির মাধ্যমে দক্ষ ও সহানুভূতিশীল শিক্ষক গড়ে তোলা।

আজ মঙ্গলবার এ–সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই সমঝোতার অংশ হিসেবে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় তাদের শিক্ষকদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে একাডেমিক স্বীকৃতি ও গবেষণা সহায়তা প্রদান করবে এবং আলোকিত টিচার্স পাঠ্যক্রম পরিকল্পনা, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান ও সারা দেশে শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণকারীরা এনএসইউ–আলোকিত সার্টিফায়েড যৌথ সনদ লাভ করবেন, যা একাডেমিক এক্সিলেন্স ও শ্রেণিকক্ষের বাস্তব অভিজ্ঞতার একটি সমন্বিত স্বীকৃতি হিসেবে কাজ করবে।

সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আব্দুল হান্নান চৌধুরী, সেন্টার ফর সোশ্যাল ইমপ্যাক্ট অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি (সিএসআইএস)–এর স্টিয়ারিং কমিটির অনারারি চেয়ার শরীফ নুরুল আহকাম, পরিচালক, সিএসআইএস; হালিমুর রশিদ খান, অধ্যাপক ও পরিচালক, ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স সেল (আইকিউএসি); সিনথিয়া ম্যাককিনি, পরিচালক, অফিস অফ এক্সটারনাল অ্যাফেয়ার্স, এনএসইউ; আজওয়া নাঈম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, আলোকিত টিচার্স; ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.

) আবু নাঈম মো. শহীদুল্লাহ, পরিচালক, আলোকিত টিচার্স ও আলোকিত টিচার্সের অন্য সদস্যরা।

আলোকিত টিচার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজওয়া নাঈম বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে হাজারো শিক্ষক নিয়ে কাজ করছি, যাঁরা সহানুভূতি ও সৃজনশীলতার মাধ্যমে শ্রেণিকক্ষ বদলে দিচ্ছেন। এনএসইউর সঙ্গে এই অংশীদারত্ব আমাদের কাজকে আরও বিস্তৃত করবে, একটি সহায়ক ও উদ্ভাবনী পরিবেশ তৈরি করবে, যেখানে শিক্ষকেরা সমর্থন পাবেন, সম্মানিত হবেন এবং অর্থপূর্ণ পরিবর্তনে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবেন।’

এনএসইউর উপাচার্য আব্দুল হান্নান চৌধুরী বলেন, ‘আলোকিত টিচার্সের সঙ্গে আমাদের এই সহযোগিতা প্রমাণ করে যে এনএসইউ একাডেমিক জ্ঞানকে শ্রেণিকক্ষের বাস্তবতার সঙ্গে সংযুক্ত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা চাই, প্রত্যেক শিক্ষক এমনভাবে প্রস্তুত হোক, যাতে তিনি বর্তমান যুগের শিক্ষার্থীদের চাহিদা পূরণ করতে পারেন।’ বিজ্ঞপ্তি

আরও পড়ুনএমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া বাড়ছে ১৫ শতাংশ, কার্যকর দুই ধাপে৭ ঘণ্টা আগে

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আল ক ত ট চ র স র এক ড ম ক

এছাড়াও পড়ুন:

২৫০ প্রজাতির বন্য প্রাণী হত্যা এখন জামিন অযোগ্য অপরাধ

এত দিন শুধু বাঘ ও হাতি হত্যার অপরাধে কেউ গ্রেপ্তার হলে জামিন পেতেন না, এখন আরও ২৪৮টি বন্য প্রাণী হত্যার অপরাধও হবে জামিন অযোগ্য।

হুমকির মুখে থাকা দেশের বন্য প্রাণী সুরক্ষার আইনে এই পরিবর্তন আসছে। গত বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদে ‘বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা অধ্যাদেশ’ অনুমোদন পায়।

নতুন আইনে সুরক্ষার আওতায় আনা হচ্ছে দেশের অধিকাংশ প্রজাতির বন্য প্রাণীকে। এ অধ্যাদেশে বন্য প্রাণীর আবাসস্থল টিকিয়ে রাখতে অনুকূল এমন ১০০ প্রজাতির গাছকেও সুরক্ষা দেওয়া হচ্ছে।

সন্দেহজনক বন অপরাধীদের পরোয়ানা ছাড়া গ্রেপ্তারের ক্ষমতাও পাচ্ছে বন কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বন্য প্রাণী সুরক্ষা ও কল্যাণে একটি ওয়াল্ডলাইফ ট্রাস্ট গঠনের বিধানও রাখা হয়েছে।

‘বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২’ এ সংস্কার করে অন্তর্বর্তী সরকার এই অধ্যাদেশ জারি করতে যাচ্ছে।

এই বিষয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান প্রথম আলোকে বলেন, অধ্যাদেশটি বন্য প্রাণী সংরক্ষণে একটি সুখবর। ইতিমধ্যে অর্থ বিভাগ থেকে নতুন বন্য প্রাণী উইংয়ের অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে। আগের আইনে বন সংরক্ষণে সরকার ও বন বিভাগের দায়িত্ব সুনির্দিষ্ট করা ছিল না। নতুন অধ্যাদেশে সেগুলো স্পষ্ট করা হয়েছে।

নতুন আইনে সুরক্ষার আওতায় আনা হচ্ছে দেশের অধিকাংশ প্রজাতির বন্য প্রাণীকে। অধ্যাদেশে বন্য প্রাণীর আবাসস্থল টিকিয়ে রাখতে অনুকূল এমন ১০০ প্রজাতির গাছকেও সুরক্ষা দেওয়া হচ্ছে।

বন আইনে প্রথাগত বনবাসীর অধিকারকে সংরক্ষণ ও স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, বন অধিদপ্তর বনের সীমানা চিহ্নিতকরণের কাজ করবে, যাতে বনভূমি নতুন করে বেদখল না হয়।

আগের আইনের মতো অধ্যাদেশে চারটি তফসিল থাকলেও নতুন অধ্যাদেশে তসফিল–১ কে ক, খ, গ এ তিন উপভাগে ভাগ করা হয়েছে। তফসিল–১ (ক) তে পরিবেশের সূচক (ফ্ল্যাগশিপ স্পেসিজ) হিসেবে বাঘ ও হাতিকে সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে। তফসিল–১(খ)তে ২৫০ প্রজাতির বন্য প্রাণী সুরক্ষা পাবে।

বাংলাদেশে মাত্র পাঁচ প্রজাতির বন্য প্রাণী সংরক্ষিত বনে ভালো পরিবেশে এবং পর্যাপ্ত সংখ্যায় টিকে আছে

সম্পর্কিত নিবন্ধ