উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) উদযাপিত হয়েছে ‘বিশ্ব ডিম দিবস-২০২৫’। দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে ১০ হাজার ডিম বিতরণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম কনফারেন্স কক্ষে পশুপালন অনুষদের পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগ ‘ডিম দিবস’ উপলক্ষে একটি সেমিনারের আয়োজন করে।
আরো পড়ুন:
দেশে চিকেন এনিমিয়া ভাইরাসের নতুন ধরন শনাক্ত
শেষ হলো বাকৃবিতে কৃষিতে বালাই ব্যবস্থাপনা-বিষয়ক প্রশিক্ষণ
দিবসটি উপলক্ষে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিন্ডারগার্টেন ও মাদ্রাসায় সার্বজনীন ডিম খাওয়ানোর কর্মসূচির আওতায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ডিম বিতরণ করা হয়। এছাড়াও সোমবার (২০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের মাঝে ডিম বিতরণ করা হয়। শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে ডিম বিতরণে সহযোগিতা করেছে কাজী ফার্মস।
পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড.
আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন পুষ্টিবিদ ও কৃষি ব্যবসা পরামর্শক মো. আক্তারুজ্জামান এবং সাবেক ইউজিসি অধ্যাপক ড. সচ্চিদানন্দ দাস চৌধুরী। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াস হোসেন।
মূল প্রবন্ধে অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, “ডিম একটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান, যা শিশুদের ৬ বছর বয়সের মধ্যে মস্তিষ্কের বিকাশে সহায়ক কোলিন সরবরাহ করে। যাদের শরীরে আয়রনের ঘাটতি আছে, তাদের জন্য ডিম বিশেষভাবে উপকারী। কারণ এতে থাকা আয়রন সহজে শোষিত হয়।”
তিনি বলেন, “গর্ভবতী মায়েদের জন্যও ডিম খাওয়া অত্যন্ত জরুরি—প্রতিদিন অতিরিক্ত দুটি ডিম খেলে তাদের প্রয়োজনীয় শক্তির ৪৪ শতাংশ এবং মা ও শিশুর প্রোটিনের চাহিদার ৯১ শতাংশ পূরণ হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, সপ্তাহে ছয়টি করে ডিম খেলে নারীদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি ৪৪ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। থাইরয়েডের সমস্যায় থাকা ব্যক্তিরাও নিশ্চিন্তে ডিম খেতে পারেন।”
তিনি আরো বলেন, “ডিম বয়স্কদের জন্যও অত্যন্ত উপকারী। এটি হাড়কে সুরক্ষা দেয় এবং চোখে ছানি পড়া রোধকারী লুটিন ও জিয়াজ্যানথিন পিগমেন্ট সরবরাহ করে। হৃদরোগ, ব্রেন ডিজঅর্ডার ও অ্যালজাইমারসহ বয়স্কদের সাধারণ রোগ প্রতিরোধে ডিমের ভূমিকা রয়েছে। যারা মানসিক চাপ বা উদ্বেগে ভোগেন, তাদের জন্যও ডিম উপকারী—এর মধ্যে থাকা ‘ট্রিপটোফেন’ উপাদান সেরোটোনিন তৈরি করে উত্তেজনা প্রশমন করে।”
“ওজন কমাতে ইচ্ছুকদের জন্যও ডিম আদর্শ খাবার, কারণ সেদ্ধ ডিম দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে, ফলে ক্ষতিকর স্ন্যাকস খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়। তরুণরা প্রতিদিন ২-৩টি, মধ্যবয়সীরা ১-২টি এবং বয়স্করা অন্তত ১টি করে ডিম খেতে পারেন,” যোগ করেন অধ্যাপক ইলিয়াস।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. জি. এম. মুজিবর রহমান বলেন, “আমাদের প্রত্যেকের প্রতিদিন ডিম খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত। শিক্ষার্থীদের মধ্যেও এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। ক্লাসের ফাঁকে বা টিফিন টাইমে অন্য কিছু না খেয়ে ডিম খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। এটি আমাদের শারীরিক গঠন ও মানসিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।”
ঢাকা/লিখন/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ বস ড ম ব তরণ দ র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিআইসিএমের বিনিয়োগ শিক্ষা প্রোগ্রাম
তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ উপলক্ষে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (এনএসইউ) স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিকসের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ‘ইনভেস্টমেন্ট ইন ক্যাপিটাল মার্কেট’ শীর্ষক বিনিয়োগ শিক্ষা প্রোগ্রাম আয়োজন করে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট (বিআইসিএম)।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) এনএসইউ-এর অডিটোরিয়ামে এ বিনিয়োগ শিক্ষা প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়।
আরো পড়ুন:
ডিএসইতে সূচকের পতন, সিএসইতে উত্থান
ইউসিবির রাইট ইস্যুর আবেদনে অসঙ্গতি, বিএসইসির ব্যাখ্যা তলব
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেটির জনসংযোগ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মাদ আব্দুল্লাহিল ওয়ারিশ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বিনিয়োগ শিক্ষা প্রোগ্রামে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক আব্দুল হান্নান চৌধুরী। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিআইসিএমের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট ওয়াজিদ হাসান শাহ।
এনএসইউ-এর স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকনোমিকসের ডিন অধ্যাপক ড. একেএম ওয়ারেসুল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত প্রোগ্রামে একাউন্টিং অ্যান্ড ফিন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও পরিচালক (ভর্তি কার্যক্রম) ড. নূরুল কবির, বিআইসিএমের সহকারী অধ্যাপক কাশফীয়া শারমিনসহ বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এনএসইউ ফাইন্যান্স ক্লাবের সদস্য তাশফিয়া ও রিজভী।
বিআইসিএম-এর সহকারী অধ্যাপক কাশফীয়া শারমিন, প্রভাষক ফাইমা আক্তার, প্রভাষক মো. আদনান আহমেদ বিনিয়োগ শিক্ষা প্রোগ্রামটির বিভিন্ন সেশন পরিচালনা করেন।
তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ উদযাপনের নিমিত্ত ‘গ্রাহক সেবা পক্ষ' উপলক্ষে বিআইসিএম পক্ষকালব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এরই অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের আগ্রহ সৃষ্টি ও বিনিয়োগে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং ভবিষ্যতে তাদের পেশাগত উৎকর্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এনএসইউ'র শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিআইসিএমের এ আয়োজন।
ঢাকা/এনটি/এসবি