আইনজীবী নিয়োগ দিচ্ছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন
Published: 22nd, October 2025 GMT
আইনজীবী প্যানেল তৈরির জন্য আইনজীবী নিয়োগ দেবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। ডিএসসিসির পক্ষে/বিপক্ষে উচ্চ আদালত ও নিম্ন আদালতসমূহে মামলা পরিচালনার জন্য এ আইনজীবী প্যানেল তৈরি করা হবে। আবেদন করতে লাগবে ১০ বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা। বিজ্ঞপ্তিতে পদসংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি।
পদের নাম ও বিবরণ
১. উচ্চ আদালতের তালিকাভুক্ত আইনজীবী
শিক্ষাগত ও পেশাগত যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি, এলএলএম/বার-অ্যাট-ল ডিগ্রি। আইনজীবী হিসেবে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে ১০ বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতাসহ ঢাকা শহরে নিজস্ব বা ভাড়ায় চেম্বার থাকতে হবে। তবে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে তালিকাভুক্ত আইনজীবীগণকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
২.
শিক্ষাগত ও পেশাগত যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি/এলএলএম/বার-অ্যাট-ল ডিগ্রি। আইন পেশায় নিম্ন আদালতে ১০ বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতাসহ ঢাকা শহরে নিজস্ব বা ভাড়ায় চেম্বার থাকতে হবে। হাইকোর্ট বিভাগে তালিকাভুক্ত বিজ্ঞ আইনজীবীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
বেতন–ভাতা
ডিএসসিসির বিদ্যমান নীতিমালা অনুযায়ী সম্মানী (সরকারি ভ্যাট ও ট্যাক্স ব্যতীত) প্রাপ্য হবেন।
আবেদনের নিয়ম ও ঠিকানা
প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ পূর্ণাঙ্গ আবেদনপত্র, আইন কর্মকর্তা, আইন বিভাগ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, নগর ভবন (কক্ষ নম্বর-৪৩৫), ফুলবাড়িয়া, ঢাকা-১০০০ বরাবর আগামী ২৩/১১/২০২৫ তারিখের মধ্যে প্রেরণ করতে হবে।
আবেদনের শেষ সময়
২৩ নভেম্বর ২০২৫।আরও পড়ুনখুলনায় বেসরকারি সংস্থায় প্রোগ্রাম অফিসার নিয়োগ, বেতন ৬৪,০০০ টাকা১ ঘণ্টা আগে
শর্তাবলি
১. প্যানেল আইনজীবী ডিএসসিসির স্বার্থ আছে এমন কোনো মামলায় ডিএসসিসির বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না।
২. নিয়োজিত প্যানেল আইনজীবীকে মামলার হালনাগাদ অগ্রগতি প্রতিবেদন মামলার তালিকাসহ ডিএসসিসির নির্দিষ্ট ছকে প্রতি মাসে আইন বিভাগে আবশ্যিকভাবে দাখিল করতে হবে।
৩. কোনো মামলার রায়/আদেশ ডিএসসিসির পক্ষে/বিপক্ষে হলে তাৎক্ষণিকভাবে পরবর্তী করণীয় বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে মতামতসহ আইন বিভাগকে অবহিত করতে হবে।
৪. যেকোনো একটি পদে আবেদন করতে পারবেন।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নিয়মিত কমিটি গঠন ও অ্যাডহক কমিটি বিলুপ্তির সময়সীমাসংক্রান্ত পরিপত্র স্থগিত
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (নিম্নমাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা স্তরে) চলতি বছরের ৩০ নভেম্বরের মধ্যে নিয়মিত ম্যানেজিং কমিটি গঠন এবং সব অ্যাডহক কমিটি চলতি বছরের ১ ডিসেম্বর বিলুপ্ত হবে—এমন পরিপত্রের কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ হতে গত ৮ সেপ্টেম্বর পরিপত্রটি জারি করা হয়েছিল।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার রুলসহ এ আদেশ দেন।
আইনজীবীর তথ্য অনুসারে, নিম্নমাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা স্তরের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি প্রবিধানমালা-২০২৪–এ চলতি বছরের ২৮ ও ৩১ আগস্ট সংশোধনী আনে ঢাকাসহ বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মনোনয়নসংক্রান্ত ১৩(১) বিধি এবং যোগ্যতাসংক্রান্ত ৬৪(৩) সংশোধিত বিধির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এমরান হোসেনসহ চারটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অ্যাডহক কমিটির সভাপতি গত রোববার রিটটি করেন।
আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফখরুল ইসলাম, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. মুজাহিদুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী।
পরে আইনজীবী ফখরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, নয়টি শিক্ষা বোর্ডের অধীন প্রায় ২০ হাজারের বেশি বেসরকারি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে। নয়টি বোর্ড ম্যানেজিং কমিটি পরিচালনাসংক্রান্ত প্রবিধানমালায় সংশোধন আনে। এতে দেখা যায় সরকারি, আধা সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান কর্মরত নবম গ্রেডের নিচে নন এমন কর্মকর্তা এবং অবসরপ্রাপ্ত হলে পঞ্চম গ্রেডের কর্মকর্তা—সভাপতি হতে পারবেন। অর্থাৎ বেসরকারি এসব প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পাবলিক সার্ভেন্ট ছাড়া কেউ হতে পারবে না, যা বৈষম্যমূলক। আগে সভাপতি নির্বাচনের মাধ্যমে হতেন। প্রবিধানমালার সংশোধিত ১৩(১) এবং ৬৪(৩) বিধির বৈধতা নিয়ে রিটটি করা হয়।
রিট আবেদনকারীদের এই আইনজীবী আরও বলেন, সংশোধিত ১৩(১) এবং ৬৪(৩) বিধি কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। অ্যাডহক কমিটি বিলুপ্তসংক্রান্ত ৮ সেপ্টেম্বরের পরিপত্রের কার্যক্রম স্থগিত করেছেন আদালত। ফলে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গঠিত অ্যাডহক কমিটি কাজ চালিয়ে যেতে পারবে।