ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) চলতি সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সূচকের বড় উত্থানের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে।

এদিন ডিএসই ও সিএসইতে আগের কার্যদিবসের চেয়ে টাকার পরিমাণে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। একইসঙ্গে উভয় পুঁজিবাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম বেড়েছে।

আরো পড়ুন:

বিএমআরই ও কোম্পানি অধিগ্রহণ করবে স্কয়ার টেক্সটাইলস

৪ কোম্পানির লভ্যাংশ ঘোষণা

বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, অনেক দিন ধরে পুঁজিবাজারে লেনদেনের শুরুতে সূচকের উত্থান দেখা গেলেও লেনদেন শেষে তা পতনে রূপ নেয়। তবে বৃহস্পতিবার সকালে লেনদেনের শুরু থেকেই ডিএসইএক্স সূচক ঊর্ধ্বমুখী ছিল। লেনদেন শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তা অব্যাহত ছিল। তবে গত কয়েক মাসের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন অনেক কমে গেছে।

‎ডিএসই ও সিএসই সূত্রে জানা গেছে, দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৫৫.

১৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ১৪৯ পয়েন্টে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১০.৭৫ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৮৮ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ২৩.৯২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯৯৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

‎ডিএসইতে মোট ৩৯৩টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৪৯টি কোম্পানির, কমেছে ৮০টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৪টির।

এদিন ডিএসইতে মোট ৪৬৮ কোটি ৬০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৩৫৫ কোটি ৪ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ৮০.৮৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৮ হাজার ৮৮২ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১২৪.০১ পয়েন্ট বেড়ে ১৪ হাজার ৪১৩ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ১০.১৫ পয়েন্ট বেড়ে ৯০৭ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ৮৯.১২ পয়েন্ট বেড়ে ১২ হাজার ৭২৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।‎

সিএসইতে মোট ১৯৪টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ১১০টি কোম্পানির, কমেছে ৫৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৬টির।

‎সিএসইতে ১৫ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১২ কোটি ২৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।

ঢাকা/এনটি/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ক র শ য় র ও ইউন ট স এসই ড এসই

এছাড়াও পড়ুন:

পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ৮ হাজার ৯৩০ কোটি টাকা

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (৩০ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর) সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এ সময়ে ডিএসই ও সিএসইতে লেদেনের পরিমাণ কমেছে। একই সঙ্গে বিদায়ী সপ্তাহে উভয় পুঁজিবাজারে বাজার মূলধন কমেছে ৮ হাজার ৯৩০ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।

শনিবার (৬ ডিসেম্বর) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৪১.৫৭ পয়েন্ট বা ২.৮২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৮৮৬ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৪২.৪৮ পয়েন্ট বা ২.২০ শতাংশ কমে ১ হাজার ৮৯১ পয়েন্টে, ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৩২.০৬ পয়েন্ট বা ৩.০৩ শতাংশ কমে ১ হাজার ২৪ পয়েন্টে এবং ডিএসএমইএক্স সূচক (এসএমই ইনডেক্স) ১৯.৬২ পয়েন্ট বা ২.৩১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৮২৮.৮৭ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৮৪ হাজার ৭৬২ কোটি ২ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৯২ হাজার ১৩৩ কোটি ৩৮ লাখ কোটি টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৭ হাজার ৩৭১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৫৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৬২৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকার।  সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৫৬৮ কোটি ২৭ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৬৯টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৩২৫টির, দর কমেছে ১২টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৩টির। তবে লেনদেন হয়নি ২৯টির।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৯০.১০ পয়েন্ট বা ২.০৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৭৪৭ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৩০ সূচক ২.০২ শতাংশ কমে ১২ হাজার ১৭৬ পয়েন্টে, সিএসসিএক্স সূচক ১.৯৫ শতাংশ  কমে ৮ হাজার ৪৭৩ পয়েন্টে, সিএসআই সূচক ১.৮৭ শতাংশ কমে ৮৬৫ পয়েন্টে এবং এসইএসএমইএক্স (এসএমই ইনডেক্স) শূন্য শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৬২৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯৫ হাজার ৫২৪ কোটি ৯২ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৯৭ হাজার ৮৪ কোটি ২১ লাখ টাকা। টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ১ হাজার ৫৫৯ কোটি ২৮ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ৫৭ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১১০ কোটি ৯২ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৫৩ কোটি ১৯ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ২৮৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ২০০টির, দর কমেছে ৬৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭টির শেয়ার ও ইউনিট দর।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সূচকের পতন, ডিএসইতে ২শ কোটির ঘরে লেনদেন
  • সূচকের পতন, ডিএসইতে ২০০ কোটির ঘরে লেনদেন
  • ডিএসইতে সাপ্তাহিক দাম কমার শীর্ষে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং
  • ডিএসইতে সাপ্তাহিক দাম বাড়ার শীর্ষে জিলবাংলা সুগার মিলস
  • ডিএসইতে সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ
  • পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ৮ হাজার ৯৩০ কোটি টাকা