ক্যারিবিয়ান সাগরে আবারো যুক্তরাষ্ট্রের হামলা
Published: 24th, October 2025 GMT
ক্যারিবিয়ান সাগরে জাহাজ লক্ষ্য করে আবারো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ শুক্রবার জানিয়েছেন, মাদক পাচারকারীদের সাথে সম্পর্কিত বলে অভিযোগ করা একটি জাহাজের ওপর এই হামলা চালানো হয়েছে।
ক্যারিবিয়ান সাগরে ট্রেন ডি আরাগুয়া অপরাধী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত একটি দলের বিরুদ্ধে এই অভিযান চালানো হয়েছিল।
হেগসেথ জানান, ‘ছয়জন পুরুষ মাদক-সন্ত্রাসী’ জাহাজে ছিলেন এবং তাদের হত্যা করা হয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলে জাহাজের উপর ধারাবাহিক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একে মাদক পাচার কমানোর প্রচেষ্টা হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
হেগসেথ এক্স-এ একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন যেখানে অভিযানটি দেখানো হয়েছে।ভিডিও শুরুতে একটি জাহাজ দেখা যায়। কিছুক্ষণ পরেই সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ ধোঁয়ার উদগিরণ দেখা যায়।
সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে এটি ট্রাম্প প্রশাসনের দশম আক্রমণ যা অভিযুক্ত মাদক পাচারকারীদের বিরুদ্ধে চালানো হয়েছে। বেশিরভাগই দক্ষিণ আমেরিকার বাইরে, ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে করা হয়েছে। তবে ২১ এবং ২২ অক্টোবর তারা প্রশান্ত মহাসাগরে হামলা চালানো হয়েছে।
মার্কিন কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকান সদস্যরা এই ধরনের হামলার বৈধতা এবং প্রেসিডেন্টের আদেশ দেওয়ার ক্ষমতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
১০ সেপ্টেম্বর ২৫ জন ডেমোক্র্যাট মার্কিন সিনেটর হোয়াইট হাউসকে চিঠি লিখে অভিযোগ করেছেন যে প্রশাসন কয়েকদিন আগে একটি জাহাজে হামলা চালিয়েছে। ‘জাহাজে থাকা ব্যক্তিরা এবং জাহাজের পণ্যসম্ভার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকিস্বরূপ ছিল এমন কোনো প্রমাণ ছিল না।’
কেনটাকির সিনেটর র্যান্ড পল জানিয়েছেন, এই ধরনের হামলার জন্য কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
কনকনে শীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাফ ম্যারাথনে ৩৫০ জন
কনকনে শীত নিয়ে এসেছে হিমেল হাওয়া। ঘরের বাইরে বেরোলেই সেই হাওয়া শরীরে কাঁপন ধরায়। এমন আবহাওয়ার মধ্যে আজ শনিবার ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের তিতাস নদীর প্রথম সেতু এলাকায় জড়ো হন বিভিন্ন জেলার ৩৫০ দৌড়বিদ। সেখানে তরুণ-তরুণীদের সঙ্গে ছিলেন বয়োজ্যেষ্ঠ ও শিশুরাও। তবে উচ্ছ্বাস প্রকাশে যেন কেউ কারও থেকে কম নয়। হাফ ম্যারাথনে অংশ নিতেই তাঁদের এই জমায়েত।
আজ সকালে এই হাফ ম্যারাথনের আয়োজন করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রানার্স কমিউনিটি (বিআরসি)। আয়োজকেরা জানান, চার পর্যায়ের দূরত্বে এই হাফ ম্যারাথন দৌড় হয়। এর মধ্যে ছিল ২ কিলোমিটার, ৫ কিলোমিটার, ১০ কিলোমিটার ও ২১ কিলোমিটার।
আয়োজক, অংশগ্রহণকারী ও স্থানীয় একাধিক বাসিন্দার সূত্রে জানা গেছে, সূর্য ওঠার আগেই ভোর পাঁচটা থেকে সাড়ে পাঁচটার মধ্যে দৌড়বিদেরা জেলা শহরের তিতাস নদীর প্রথম সেতুর ওপর জড়ো হতে শুরু করেন। সকাল ৬টায় প্রথমে ২১ কিলোমিটার ক্যাটাগরিতে অংশগ্রহণকারীরা সেখান থেকে গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন। এরপর পর্যায়ক্রমে ৫ ও ১০ কিলোমিটারের দৌড়বিদেরা রওনা দেন। সর্বশেষ সকাল ৭টায় শিশুদের দুই কিলোমিটারের দৌড় শুরু হয়।
২১ কিলোমিটার দৌড়ে অংশ নেন ৬৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৬৪ জন ও নারী একজন। ১০ কিলোমিটারে অংশগ্রহণ করেন ১৬৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৬৬ জন ও নারী দুজন। ৫ কিলোমিটারে অংশ নেন ৭৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৬৪ জন ও নারী ১০ জন। ২ কিলোমিটার দৌড়ে ৪৩ জন শিশু অংশ নেয়।
দৌড় প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন বয়সী দৌড়বিদের পাশাপাশি ভারত, জাপান, নেপাল ও ডেনমার্কের চারজন অংশ নেন। জেলা শহরের তিতাস নদীর ওপর নির্মিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও বিজয়নগর উপজেলার সংযোগ সড়ক কালীবাড়ি মোড় থেকে বিজয়নগরের নূরপুর জিসি সড়ক (সিমনা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া) পথে দৌড়বিদেরা ছড়িয়ে পড়েন। নির্দেশিত পথ ধরে প্রত্যেকে নিজের নির্ধারিত দূরত্ব অনুযায়ী দৌড় সম্পন্ন করেন।
অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মুহাম্মদ আবদুল মতিন বলেন, ‘১০ কিলোমিটার দৌড়ে অংশ নিয়েছি। ভালো লাগছে। হৃদ্রোগ প্রতিরোধে নিয়মিত হাঁটা ও দৌড়ের বিকল্প নেই।’
দৌড় শেষের ফিনিশিং লাইনে পৌঁছান এক দৌড়বিদ