আরপিও সংশোধনীতে কার ক্ষতি, কার লাভ
Published: 25th, October 2025 GMT
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দ্রুত অনেক ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। রাজনৈতিক মেরুকরণ এখনো স্পষ্ট না হলেও বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীকে কেন্দ্র করে নির্বাচনী জোট গঠনের চেষ্টা চলছে। কোনো কোনো দল এখনই কোনো দরজা বন্ধ না করে সব দরজা খোলা রাখার কৌশল নিয়েছে।
রাজনীতিতে নীতির চেয়ে এখন কৌশলের দাম বেশি। জামায়াতের আমির ডা.
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি তৈরির আগেই আরপিও বা জনপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশে যেসব সংশোধনের প্রস্তাব নির্বাচন কমিশন দিয়েছিল, উপদেষ্টা পরিষদ বৃহস্পতিবার তার অনুমোদন করেছে। আরওপি সংশোধনীতে যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তার বেশির ভাগের সঙ্গে আমরা একমত। যেমন প্রার্থীদের দেশের ভেতরে ও বিদেশে থাকা সব আয় ও সম্পদের হিসাব দেওয়া, অনিয়মের কারণে পুরো আসনের নির্বাচন বাতিল করা, পলাতক আসামিদের প্রার্থিতা থেকে বিরত রাখা, ৫০ হাজার টাকার বেশি চাঁদা নেওয়া হলে ব্যাংকিং চ্যানেলে লেনদেন করা। এসবের মাধ্যমে নির্বাচনপ্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বাড়বে ধারণা করি।
আরও পড়ুননির্বাচন সফল করতে কার্যকর পুলিশ এখনই লাগবে২৩ অক্টোবর ২০২৫কারও বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিলের অর্থ এই নয় যে তিনি অপরাধী। অভিযুক্ত ব্যক্তি অপরাধী না নিরপরাধ; সেটি সাব্যস্ত করবেন আদালত। নির্বাচন কমিশন বা সরকার নয়।
প্রার্থীদের জামানতের পরিমাণ ২০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করার যৌক্তিক কারণ আছে বলে মনে করি না। এর ফলে অর্থসম্পদে হীনবল মানুষেরা নির্বাচন করতে পারবেন না। নির্বাচন কমিশন কি ধরে নিয়েছে, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী সব প্রার্থী ধনবান?
আরপিওর যেই সংশোধনী সবচেয়ে বেশি বিতর্ক ও সমালোচনার মুখে পড়েছে, তা হলো কেউ জোটগতভাবে নির্বাচন করলেও তাঁকে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে। এমন বিধান যুক্ত করে নির্বাচন কমিশন তো কারও ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ও দলগত সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। কয়েকটি উদাহরণ দিই।
১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের অনেকগুলো শরিক দল ছিল, যারা সবাই নৌকা প্রতীকে ভোট করেছে। ২০০১ সালে বিএনপি, জাতীয় পার্টির একাংশ, জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ঐক্যজোট জোটগতভাবে নির্বাচন করেছিল। তাদের কেউ দলীয় প্রতীকে, কেউ জোটের কোনো শরিকের প্রতীকে ভোট করেছে।
চলতি মাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে সংশোধনী আনা হয়েছে। সেই সংশোধনী অনুযায়ী মানবতাবিরোধী অপরাধের কোনো মামলায় কারও বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হলে সেই ব্যক্তি জাতীয় সংসদ এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে যে মহাজোট হয়েছিল, তাদের কেউ নৌকা প্রতীকে, কেউ লাঙ্গলে ভোট করেছে। এমনকি ২০১৮ সালে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটে থেকে জামায়াতে ইসলামীসহ বেশ কিছু দল ধানের শীষে ভোট করেছে। কোনো সমস্যা হয়নি। এবার সমস্যা হবে কেন? ২০১৮ সালে জামায়াতের নিবন্ধন না থাকায় তারা ধানের শীষে ভোট করেছে। এবারও যদি কোনো অনিবন্ধিত দল অন্য কোনো নিবন্ধিত দলের সঙ্গে জোট করে নির্বাচন করে, তাহলে কি তারা কোনো প্রতীক পাবে না?
দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করার বিধান অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে আপত্তি আছে বিএনপির। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘কোনো নিবন্ধিত দল জোটভুক্ত হলে জোটের যেকোনো দলের প্রতীক নেওয়ার স্বাধীনতা ছিল আরপিওর ২১ ধারায়। সেটি বাতিল করলে আমরা মানব না। কারণ, আমরা পরামর্শ দিয়েছিলাম, জোটভুক্ত হলে আগের যে বিধানটা ছিল, ওইটাই থাকুক।’
আরও পড়ুনফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হলে যা ঘটবে, সেটা বহন করার মতো শক্তি আমাদের নেই২৩ অক্টোবর ২০২৫তবে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের জোটগত নির্বাচনের ক্ষেত্রে নিজ দলের প্রতীকে নির্বাচন করার বিধান অন্তর্ভুক্তিতে দ্বিমত নেই জামায়াতের। দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের প্রথম আলোকে বলেন, প্রতিটি দলের একটা নিজস্বতা আছে। দলীয় প্রতীক দলের প্রতিনিধিত্ব করে। তাই নিবন্ধিত দলগুলোর নিজস্ব পরিচয়ে যাওয়াই উত্তম।
কোনটি উত্তম ও কোনটি অধম, সেটি বেছে নেওয়ার দায়িত্ব অতীতের মতো জোটভুক্ত দলগুলোর ওপরই ছেড়ে দেওয়া হোক।
চলতি মাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে সংশোধনী আনা হয়েছে। সেই সংশোধনী অনুযায়ী মানবতাবিরোধী অপরাধের কোনো মামলায় কারও বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হলে সেই ব্যক্তি জাতীয় সংসদ এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
গত বছরের জুলাই অভ্যুত্থান চলাকালে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আওয়ামী লীগের (বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ) অনেক নেতার বিচার চলছে। এ ছাড়া অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দলটির বহু নেতা আত্মগোপনে চলে গেছেন, যাঁদের মধ্যে সাবেক অনেক মন্ত্রী-এমপিও রয়েছেন। তাঁদের প্রায় সবার বিরুদ্ধে হত্যা, হত্যাচেষ্টা, দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগে মামলা হয়েছে।
আরপিওর অনুমোদিত খসড়ায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংজ্ঞায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীকেও যুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরাও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের মতো ভোটকেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। তিন বাহিনীকে নির্বাচনী দায়িত্ব দিতে আলাদা কোনো আদেশের প্রয়োজন হবে না।
বিষয়টির দুটি দিক আছে। একটি বাস্তবতা, আরেকটি আইনি। সম্প্রতি সেনাবাহিনীতে কর্মরত ১৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছে, সেটি সামরিক বাহিনীর কোনো কাজে গাফিলতির জন্য হয়নি। হয়েছে তাঁদের বেসামরিক কাজে ব্যবহার করতে গিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে। নির্বাচনের কাজটিও পুরোপুরি বেসামরিক। এই নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যদি কোনো পক্ষ সশস্ত্র বাহিনীর কোনো সদস্যকে অনিয়মে যুক্ত করে থাকে, তার জন্য যদি মামলা হয়, তাহলেও কি তাঁদের একইভাবে বেসামরিক বিচারপ্রক্রিয়ার মুখোমুখি হতে হবে? সেনাবাহিনীর দায়িত্ব দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা ও বহিঃশক্তির আক্রমণ ঠেকানো। দেশের অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলার কাজে ব্যবহার করলে তাদের নিয়ে বিতর্ক উঠবেই।
অন্যদিকে বাস্তবতা হলো দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যে অবস্থায় আছে, তাতে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা ছাড়া অন্তর্বর্তী সরকার একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন করতে পারবে না। এ অবস্থায় নির্বাচনে তাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মতো ব্যবহার করার হয়তো বিকল্প নেই; কিন্তু এই দায়িত্ব পালনকালে তাদের নিরপেক্ষতা ও পেশাগত সততা নিশ্চিত করতে হবে। উত্তম হতো সামরিক বাহিনীকে সরাসরি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যুক্ত করা ছাড়াই যদি নির্বাচনের যজ্ঞটি আমরা সম্পন্ন করতে পারতাম। কিন্তু এই নির্বাচনে এটি সম্ভব না হলেও ভবিষ্যতে যাতে তাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকায় নামতে না হয়, সেদিকে নজর দেওয়া রাষ্ট্র ও সরকারের নীতিনির্ধারকদের অবশ্যকর্তব্য বলে মনে করি।
সোহরাব হাসান সাংবাদিক ও কবি
[email protected]
মতামত লেখকের নিজস্ব
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: য ক ত কর তর জ ত প রব ন ট কর ছ ইসল ম অপর ধ সরক র ব এনপ আরপ ও ন করত র আইন
এছাড়াও পড়ুন:
আইনশৃঙ্খলার অবনতি: অপরাধীরা কেন এতটা বেপরোয়া
প্রতিদিন খবরের কাগজ খুললে বা টেলিভিশনের পর্দায় চোখ রাখলে যে সংবাদগুলো আমাদের সবচেয়ে বেশি বিচলিত করে, তা হলো হত্যা, ধর্ষণ, ছিনতাই ও নৃশংস সব অপরাধের খবর। সাধারণ মানুষের মনে আজ এক বড় প্রশ্ন—আইনশৃঙ্খলা কি কেবলই কিতাবি বুলি? অপরাধীরা কেন দিন দিন এতটা বেপরোয়া হয়ে উঠছে?
এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে আমাদের সমাজের গভীরে প্রোথিত বেশ কিছু কারণ উঠে আসে। অপরাধীদের এই ‘বেপরোয়া’ হয়ে ওঠার পেছনে কেবল একটি কারণ দায়ী নয়, বরং এটি একটি বহুমুখী সংকটের সমষ্টি।
বিচারহীনতার সংস্কৃতি ও দীর্ঘসূত্রতাঅপরাধীদের বেপরোয়া হওয়ার প্রধান কারণ হলো ‘বিচারহীনতার সংস্কৃতি’। যখন একজন অপরাধী দেখে, গুরুতর অপরাধ করেও আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে সহজেই বেরিয়ে আসা যায়, তখন তার সাহস বহুগুণ বেড়ে যায়। অপরাধ করে পার পেয়ে যাওয়ার নজির সমাজে এতটাই প্রবল যে সাধারণ মানুষ বিচার চাওয়ার সাহস হারিয়ে ফেলে। বছরের পর বছর মামলা ঝুলে থাকা এবং সাক্ষীর অভাবে বিচার না হওয়া অপরাধীদের জন্য একধরনের ‘গ্রিন সিগন্যাল’ হিসেবে কাজ করে।
রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়া ও পেশিশক্তির দাপটআমাদের সমাজব্যবস্থায় অপরাধ ও রাজনীতির এক অশুভ আঁতাত লক্ষ করা যায়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা কোনো না কোনো প্রভাবশালী মহলের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে থাকে। যখন কোনো অপরাধী জানে যে তার মাথার ওপর ‘বড় ভাই’ বা ‘গডফাদার’-এর হাত আছে, তখন সে পুলিশ বা প্রশাসনকে তোয়াক্কা করে না। রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি ও দখলদারি এখন ওপেন সিক্রেট। এই ক্ষমতার দম্ভই তাদের বেপরোয়া করে তোলে।
সামাজিক ও নৈতিক অবক্ষয়আইন দিয়ে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়, যদি না সমাজের মানুষের মূল্যবোধ জাগ্রত থাকে। বর্তমানে পারিবারিক ও সামাজিকভাবে আমরা এক চরম অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। পরিবার থেকে নৈতিক শিক্ষার অভাব এবং সন্তানদের ওপর নজরদারির ঘাটতি কিশোর অপরাধ বা ‘কিশোর গ্যাং কালচার’ তৈরির মূল কারণ। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা প্রমাণ করে, সমাজে সহনশীলতা শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে।
মাদকের ভয়াবহ বিস্তারঅপরাধ জগতের জ্বালানি হলো মাদক। দেশের আনাচকানাচে মাদকের সহজলভ্যতা যুবসমাজকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। মাদকের টাকা জোগাড় করতেই অনেকে ছিনতাই, ডাকাতি, এমনকি খুনের মতো অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তির হিতাহিত জ্ঞান থাকে না, ফলে তার পক্ষে যেকোনো নৃশংস কাজ করা সম্ভব হয়।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সীমাবদ্ধতাপুলিশ বা প্রশাসনের সদিচ্ছা থাকলেও অনেক সময় জনবলসংকট, পর্যাপ্ত লজিস্টিক সাপোর্টের অভাব এবং রাজনৈতিক চাপের কারণে তারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে না। আবার রক্ষক যখন ভক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় বা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে, তখন অপরাধীরা আরও উৎসাহিত হয়।
এই অন্ধকার পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে হলে আমাদের এখনই কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
যেসব পদক্ষেপ নিতে হবেআইনের সুশাসন: অপরাধী যে–ই হোক, তার রাজনৈতিক বা সামাজিক পরিচয় বিবেচনা না করে দ্রুততম সময়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
পুলিশি সংস্কার: পুলিশ বাহিনীকে রাজনৈতিক প্রভাব থেকে মুক্ত করে একটি জনবান্ধব ও স্বাধীন সত্তা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
সামাজিক প্রতিরোধ: পাড়া-মহল্লায় মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সন্তানদের নৈতিক শিক্ষা ও পারিবারিক সময় দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
কর্মসংস্থান: বেকারত্ব অপরাধের অন্যতম কারণ। যুবকদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারলে অপরাধপ্রবণতা অনেকটাই কমে আসবে।
আইনশৃঙ্খলার এই অবনতি কোনো একক গোষ্ঠীর সমস্যা নয়, এটি আমাদের জাতীয় অস্তিত্বের সংকট। অপরাধীরা যখন বেপরোয়া হয়, তখন সাধারণ মানুষের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা ভূলুণ্ঠিত হয়। একটি নিরাপদ, সুন্দর ও ভীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে রাষ্ট্র, প্রশাসন ও জনগণকে একযোগে কাজ করতে হবে। তা না হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আমরা কেবল এক অরাজকতার রাজ্য রেখে যাব। এখনই সময় রুখে দাঁড়ানোর।
হেনা শিকদার দর্শন বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়