ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কারণ খতিয়ে দেখতে সরকার চার দেশের বিশেষজ্ঞদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এ তথ্য জানিয়ে বলেন, “বিমানবন্দরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও এতে কোনো ধরনের অব্যবস্থাপনা ছিল কিনা, তা নিরপেক্ষভাবে খতিয়ে দেখতে অস্ট্রেলিয়া, চীন, যুক্তরাজ্য ও তুরস্কের বিশেষজ্ঞ দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।” 

আজ দুপুর পৌনে ১২টায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত কার্গো ভিলেজ ও ই-গেট পরিদর্শন শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রথমে ইংল্যান্ডকে এবং পরবর্তীতে অস্ট্রেলিয়া, তুরস্ক ও চীনকে তদন্তের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “বিশেষজ্ঞরা তদন্ত করে আগুন লাগার কারণ ও দায় নির্ধারণে সহায়তা করবেন।”

তিনি আরও জানান, আগুন নেভানোর প্রক্রিয়া নিয়ে যেসব অভিযোগ উঠেছে, সেগুলোকে আমলে নিয়ে সরকার কাজ করছে। “বিমানবন্দরের ভেতরে যে ইউনিটগুলো রয়েছে, সেগুলো ৪ মিনিটের মাথায় ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। তবে ফায়ার ব্রিগেডের অন্যান্য ইউনিটগুলো পর্যায়ক্রমে ২০ মিনিটের মধ্যে পৌঁছানোর কারণে হয়তো আগুন দ্রুত ছড়িয়ে গেছে এবং নিয়ন্ত্রণে সময় লেগেছে,” যোগ করেন তিনি।

গত ১৮ অক্টোবর শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিস, সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী এবং বিজিবির সমন্বিত প্রচেষ্টায় সাড়ে সাত ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় বিমানবন্দরের ফ্লাইট ওঠানামা সাময়িকভাবে বন্ধ ছিল এবং বেশ কয়েকটি ফ্লাইট অন্য বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

  ঢাকা/এমআর/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

শুক্র ও শনিবার বিমানবন্দরের শুল্কায়ন কার্যক্রম পুরোদমে চলবে

আগামী শুক্র ও শনিবার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের শুল্কায়ন কার্যক্রম পুরোদমে চলবে। এ জন্য ঢাকা কাস্টমস হাউসের সব শুল্ক দলের অফিস খোলা থাকবে।

আজ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ আদেশ জারি করেছে। ১৮ অক্টোবর দুপুরে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ (আমদানি কমপ্লেক্স) ভয়াবহ আগুন লাগে। এতে বিপুল পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়।

আদেশে বলা হয়, ঢাকা কাস্টমস হাউসের শুল্কায়ন দল এবং তাদের অধিক্ষেত্রের আওতায় এয়ারফ্রেইট ইউনিট ও এক্সপ্রেস সার্ভিস ইউনিট দুর্যোগ–পরবর্তী অন্তর্বর্তী সময়ে আমদানি, রপ্তানি ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম গতিশীল রাখার লক্ষ্যে আগামী শুক্র ও শনিবার অফিস খোলা থাকবে। নির্ধারিত তারিখ ও সময় অনুযায়ী সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অফিসে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন লাগার ফলে কুরিয়ার সার্ভিস সেবা এবং আমদানি অংশের ব্যাপক ক্ষতি হয়। আমদানিকারকদের বহু পণ্য নষ্ট হয়। স্বাভাবিক আমদানি কার্যক্রম চালু রাখার জন্য এনবিআর শুক্র ও শনিবার ছুটির দিন সত্ত্বেও বিশেষ ব্যবস্থায় পুরো শুল্ক দলকে কাজে লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিমানবন্দরের শুল্কায়ন কার্যক্রম পুরোদমে চলবে শুক্র ও শনিবার
  • শুক্র ও শনিবার বিমানবন্দরের শুল্কায়ন কার্যক্রম পুরোদমে চলবে