Risingbd:
2025-12-10@08:06:21 GMT

বিয়ের আসরে দেখা দিলেন নিপুণ

Published: 25th, October 2025 GMT

বিয়ের আসরে দেখা দিলেন নিপুণ

ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা নিপুণ আক্তার। অভিনয়ের চেয়ে শিল্পী সমিতির রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেই বেশি আলোচনায় এসেছেন তিনি। নির্বাচনী সময় থেকে শুরু করে পরবর্তী সময় পর্যন্ত নানা বিতর্ক, আদালতের মামলা, এমনকি বহিষ্কারাদেশ পর্যন্ত—সবকিছু মিলিয়ে নামটি প্রায়ই শিরোনামে থেকেছে।

২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে নিপুণ অনেকটাই অন্তরালে চলে যান। মাঝখানে যুক্তরাজ্য যাওয়ার চেষ্টাকালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য আলোচনায় আসেন, এরপর আবার নীরব হয়ে যান এই অভিনেত্রী। অবশেষে দীর্ঘদিন পর প্রকাশ্যে দেখা গেল তাকে।

আরো পড়ুন:

দুইটি পদবি ব্যবহারের কারণ জানালেন কঙ্কনা 

মা হারালেন মেহের আফরোজ শাওন

সম্প্রতি চিত্রনায়িকা পলির একটি শর্ট ভিডিওতে দেখা যায় নিপুণকে—যেখানে তিনি চিত্রনায়িকা রোজিনা ও পলির সঙ্গে কুশল বিনিময় করছেন। ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়তেই আবার আলোচনায় উঠে আসে নিপুণের নাম।

নিপুণের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল—চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে পরাজিত হয়েও আদালতের আশ্রয় নিয়ে বিজয়ী প্রার্থী জায়েদ খানকে সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসতে দেননি। এমনকি আদালতের স্থিতিবস্থা অমান্য করে নিজেই চেয়ার দখল করে ছিলেন তিনি। এই সব অভিযোগের প্রেক্ষিতেই চলতি বছরের শুরুতে শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে নিপুণ আক্তারকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়।

এ বছরের প্রথম দিকে আরেক আলোচনায় আসেন তিনি। জানা যায়, নিপুণ ঢাকা থেকে সড়কপথে সিলেট বিমানবন্দর হয়ে যুক্তরাজ্যে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু গোয়েন্দা সংস্থার আপত্তির মুখে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকেই তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। পরে তাকে অভিবাসন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়, ফলে তার বিদেশ যাত্রা আর সম্ভব হয়নি।

দীর্ঘ নীরবতার পর আবার আলোচনায় এলেন এই নায়িকা। জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) চলচ্চিত্র অভিনেতা নানা শাহর ছেলের বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন নিপুণ। সেখানে অতিথিদের সঙ্গে হাসিমুখে সময় কাটাতে দেখা যায় তাকে—আর সেখানেই ক্যামেরায় ধরা পড়ে তার উপস্থিতি। এই উপস্থিতি যেন জানিয়ে দিল—অন্তরাল ভেঙে আবারও আলোচনায় ফিরছেন নিপুণ আক্তার।

ঢাকা/রাহাত/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

গণবিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ 

সাভারের গণবিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগের প্রভাষক লিমন হোসেনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছেন কয়েকজন ছাত্রী। তাদের অভিযোগ, ক্লাসে অশালীন কথা বলা এবং ফেসবুকে আপত্তিকর বার্তা পাঠাতেন ওই শিক্ষক। 

রবিবার (৭ ডিসেম্বর) উপাচার্যের কাছে পৃথক লিখিত অভিযোগ করেন ছাত্রীরা।

আরো পড়ুন:

অবরোধ তুলে নেওয়ার খবর, তবে সড়কে আছেন সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা

পাবিপ্রবির মানবিক অনুষদের ডিন হলেন হুমায়ূন কবীর

ভুক্তভোগী ছাত্রীদের পক্ষ থেকে করা অভিযোগ করা হয়েছে, প্রভাষক লিমন হোসেন বিভিন্নভাবে ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করছেন। তিনি তার কক্ষে ছাত্রীদের ডেকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করেন। অনেক সময় তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অশালীন বার্তা পাঠান। যেমন, তার স্ত্রী তাকে সুখী করতে পারেন না। তিনি যৌনতার ক্ষেত্রে অনেক একাকিত্বে ভোগেন। এছাড়াও অনেক আপত্তিকর কথা, যা প্রকাশ করার মতো নয়।

অপর একটি লিখিত অভিযোগ করা হয় আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে। সেখানে কয়েকটি অভিযোগ করা হয়। বলা হয়, শিক্ষক লিমন হোসেন ধর্ষণে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের থানায় গিয়ে ছাড়ানোর চেষ্টা করেছেন। এছাড়া ক্লাসে পড়ানোর ছলে তিনি শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত বিষয় সকলের সামনে উপস্থাপন করে তাদের হেয় করেন। 

অভিযোগ করা হয়, একজন শিক্ষক হিসেবে লিমন হোসেনের পড়ানোর পদ্ধতি কোনোভাবেই গবেষণা কেন্দ্রিক নয়।  তিনি গলাদ্ধকরণ পদ্ধতিতে বিশ্বাস করেন। যা শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল মেধাকে বিনষ্ট করে। এছাড়া লিমন হোসেন স্বজনপ্রীতি নীতি ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করেন, যা পরবর্তীতে বড় অপরাধের জন্ম দেয়।

বিগত দিনে ক্যাম্পাসে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত চক্রের সঙ্গে, এমনকি সম্প্রতি বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও প্রভাষক লিমন হোসেনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে এবং প্রকাশ্যে তাদের মদদ দিয়েছেন বলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন। 

রবিবার (৭ ডিসেম্বর) ক্যাম্পাসের একটি মিলনায়তনে শিক্ষার্থীরা লিমন হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিস্তারিত তুলে ধরেন। সেখানে তারা দ্রুত লিমন হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান। 

একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, ‘‘উনি (লিমন হোসেন) মানুষের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আগ্রহী। যা আমাদের বিব্রত করে। এমনকি, নিজের ব্যক্তিগত জীবনের প্রেম-বিচ্ছেদের গল্পও বারবার বলে বিব্রত করতে থাকেন। কে কার সঙ্গে মিশবে, না মিশবে— সে ব্যাপারেও তিনি বারবার হস্তক্ষেপ করেন।’’  

অভিযোগের বিষয়ে শিক্ষক লিমন হোসেন বলেন, ‘‘অভিযোগের বিষয়ে আমি অবগত নই। আমি এ ধরনের কোনো কথা বলিনি। এ অভিযোগ ভিত্তিহীন।’’ 

তিনি আরো বলেন, ‘‘আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যে আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ তোলা হয়েছে।’’  

বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়নবিরোধী সেলের প্রধান ড. ওয়াহিদা জামান লস্কর বলেন, ‘‘উপাচার্যের কাছে দেওয়া অভিযোগের বিষয়ে আমি অবগত নই।’’ 

উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবুল হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। 

ঢাকা/সাব্বির/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • লিভারপুলের চ্যাম্পিয়নস লিগ দল থেকে বাদ সালাহ, আলিসন বললেন, ‘কৃতকর্মের দায় নিতে হবে’
  • গণবিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ