উত্তরায় ডামি রাইফেল নিয়ে মিছিলে যোগ দিয়ে একজন গ্রেপ্তার
Published: 25th, October 2025 GMT
আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘের (ইসকন) বিরুদ্ধে হওয়া মিছিলে ডামি রাইফেল প্রদর্শন করে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগে মুজাহিদুল ইসলাম চৌধুরী (৪৯) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে তুরাগ থানা–পুলিশ। এ ঘটনায় ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে মুজাহিদুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ শনিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তুরাগ থানার বরাত দিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল শুক্রবার বেলা ২টার দিকে পুলিশের একটি টহল দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে কিছু ব্যক্তি তুরাগ থানার খালপাড় পুলিশ বক্সের পাশের রাস্তায় গণজমায়েত করে অবৈধ অস্ত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে জনসাধারণের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। এই সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করলে তারা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের মুঠোফোনে ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে মিছিলে অস্ত্র প্রদর্শন করা মুজাহিদুল ইসলাম চৌধুরীকে শনাক্ত করে তুরাগ থানা–পুলিশ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উত্তরা পশ্চিম থানার ১২ নম্বর সেক্টরের একটি বাসায় অভিযান পরিচালনা করে ডামি রাইফেলসহ তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় মুজাহিদুল ইসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়েছে।
এ বিষয়ে আজ দুপুরে তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনির হোসেন মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, শুক্রবার ইসকনের বিরুদ্ধে হওয়া একটি মিছিলে ডামি রাইফেল প্রদর্শন করেন মুজাহিদুল ইসলাম। তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে ওই ব্যক্তির কোনো রাজনৈতিক পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম জ হ দ ল ইসল ম গ র প ত র কর শ ক রব র
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারি চাকরিতে কোটাসহ ৫ দফা দাবিতে প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটদের অবস্থান কর্মসূচি
সরকারি চাকরিতে কোটাসহ পাঁচ দফা দাবিতে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটরা। ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’ ব্যানারে ১৯ অক্টোবর থেকে এ কর্মসূচি পালন করছেন প্রায় ৬০ জন চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী।
প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে স্বতন্ত্র ২% কোটা এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে ৫% স্বতন্ত্র প্রতিবন্ধী কোটার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। অন্য দাবিগুলো হলো—নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে বিশেষ নিয়োগ প্রদান, বিদ্যমান অভিন্ন জাতীয় শ্রুতলেখক নীতিমালা সংশোধন, পিএইচটি সেন্টারগুলোর শূন্য পদে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী চাকরিপ্রত্যাশীদের বিশেষ নিয়োগের ব্যবস্থা এবং চাকরির বয়সসীমা ৩৫ বছর করা।
আরও পড়ুনকাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটে বড় নিয়োগ, পদসংখ্যা ৯৯১ ঘণ্টা আগেআন্দোলনকারীদের একজন আলিফ হোসাইন প্রথম আলোকে বলেন, ‘২০১৮ সালে কোটা বাতিলের পর থেকেই আমরা আন্দোলন করছি। বিগত সরকারের সময়েও আমরা বৈষম্যের স্বীকার হয়েছি, এখনো হচ্ছি। পাঁচ দিন ধরে রোদে পুড়ছি এখানে, কেউ খোঁজও নেয়নি।’
অপর একজন আন্দোলনকারী মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘সমাজকল্যাণ উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেও তিনি কোনো সমাধানের আশ্বাস দেননি। আমরা একাধিকবার সচিবালয়ে স্মারকলিপি দিয়েছি। এতগুলো সংস্কার কমিশন হয়েছে, কিন্তু প্রতিবন্ধীদের জন্য কোনো কমিশন হলো না।’
সরকারি চাকরিতে কোটাসহ পাঁচ দফা দাবিতে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটরা