ইবি প্রেসক্লাবের সভাপতি আবির, সম্পাদক নাজমুল
Published: 25th, October 2025 GMT
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে সভাপতি হিসেবে আল ফিকহ অ্যান্ড ল’ বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আবির হোসেন (দৈনিক যুগান্তর) এবং সাধারণ সম্পাদক চারুকলা বিভাগের একই বর্ষের শিক্ষার্থী নাজমুল হুসাইন (ডিবিসি নিউজ) নির্বাচিত হয়েছেন।
আরো পড়ুন:
ঐক্যের মাধ্যমে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই: ফখরুল
সাতক্ষীরায় সাংবাদিকের ওপর জামায়াত নেতাকর্মীদের হামলা
শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে অবস্থিত প্রেস কর্নারে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সংগঠনটির সাবেক সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন তোতা। নির্বাচন কমিশন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সংগঠনটির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড.
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, সহ-সভাপতি নুর আলম (নয়া শতাব্দী), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাইফ ইব্রাহিম (সমকাল), দপ্তর সম্পাদক জিসান নজরুল (সময়ের আলো), কোষাধ্যক্ষ খাদেমুল ইসলাম ফরহাদ (সারাবাংলা), প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহিন রাজা (সংবাদ), সাহিত্য ও সাংস্কতিক সম্পাদক আহমাদ গালিব (ডেইলি মেসেঞ্জার), ক্রীড়া সম্পাদক মানিক হোসেন (আলোকিত বাংলাদেশ)।
এছাড়াও কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে রয়েছেন মুনজুরুল ইসলাম নাহিদ (কালের কন্ঠ), আজাহারুল ইসলাম (জনকন্ঠ), আরিফ বিল্লাহ্ (দৈনিক শিক্ষা) ও ইরফান উল্লাহ (জাগো নিউজ)
নির্বাচন পরবর্তী দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, ইউট্যাব ইবি শাখার সভাপতি অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন প্রমুখ।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, ছাত্র ইউনিয়ন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্য নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, “নবনির্বাচিত কমিটিকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আশা করি, তাদের দৃষ্টি শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭৫ একরের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং বাংলাদেশের সীমানা পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ করার যোগ্যতা তারা অর্জন করবে।”
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, “তারা তথ্যানুসন্ধানমূলক ও গঠনমূলক সাংবাদিকতার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ইতিবাচক দিক ফুটিয়ে তুলবে।”
ঢাকা/তানিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় আইন ও সালিশ কেন্দ্রের ১৫ দফা দাবি
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে জনগণের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) ১৫ দফা দাবি তুলে ধরেছে।
১০ ডিসেম্বর (আজ বুধবার) আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস। এ উপলক্ষে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে মানবাধিকার সংগঠনটি। এ সময় জনগণের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সংগঠনটি ১৫ দফা দাবি তুলে ধরেছে।
কর্মসূচিতে অংশ নেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) কর্মকর্তা-কর্মচারী, তাঁদের পরিবার এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) ‘স্পিক আপ’ প্রকল্পের তরুণেরা। এই মানববন্ধন কর্মসূচিতে দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করা হয়।
বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার রক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৪৮ সালের এ দিনে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গ্রহণ করে। এ ঘোষণার মাধ্যমে স্বীকৃত হয়, মানবাধিকার সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। জন্মস্থান, জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বিশ্বাস, অর্থনৈতিক অবস্থা কিংবা শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্বিশেষে মানবাধিকার সর্বজনীন ও সবার জন্য সমান। প্রত্যেক মানুষ জন্মগতভাবেই এসব অধিকার লাভ করেন।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) উপদেষ্টা মাবরুক মোহাম্মদ বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসের বাইরে গিয়েও প্রতিদিনই মানবাধিকার বিষয়ে জাগ্রত ও সোচ্চার থাকতে চাই। আইন ও সালিশ কেন্দ্র কখনো মানবাধিকার বিষয়ে কারও কাছে মাথা নত করেনি, কারও সঙ্গে আপস করেনি। যেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে, সেখানেই আইন ও সালিশ কেন্দ্র সব সময় সোচ্চারভাবে কাজ করার চেষ্টা করেছে।’
নারী অধিকারের বিষয়ে আইন ও সালিশ কেন্দ্র প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে সংস্থার এই উপদেষ্টা মাবরুক মোহাম্মদ আরও বলেন, ‘আইনের ক্ষেত্রে অনেক উন্নতি হয়েছে কিন্তু নারী ও শিশুর প্রত্যয়ী সহিংসতাগুলো বন্ধ হয়নি। এটি নিয়েও আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে এই মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। আজ বুধবার, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে