মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ২ দাবি
Published: 8th, December 2025 GMT
দেশের উৎপাদিত মোবাইল কারখানাগুলোর মালিকরা ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন। এনইআইআর বাস্তবায়ন হলে মোবাইল ফোন খাতে নিরাপত্তা ও বৈধতা নিশ্চিত হবে, সরকার প্রতি বছর হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব পাবে, দেশে বাড়বে বিদেশি বিনিয়োগ, তৈরি হবে নতুন কর্মসংস্থান।একই সঙ্গে সংগঠনটি মোবাইল হ্যান্ডসেট খাতের সুস্থ বিকাশের জন্য কারখানা ও আমদানিকারক পর্যায়ের ভারসাম্যপূর্ণ কর কাঠামো প্রণয়নেরও দাবি জানান।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক সংবাদ সস্মেলনে এসব দাবি জানায় মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ।
এ সময় সংগঠনের সভাপতি জাকারিয়া শহীদ, সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম বিপ্লব, নির্বাহী কমিটির সদস্য ইমাম উদ্দিন, রেজওয়ানুল হকসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জাকারিয়া শহীদ বলেন, “এনইআইআর আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।বহু দেশেই এটি কার্যকর রয়েছে। বাংলাদেশে এ সিস্টেম চালু হলে অবৈধ, চোরাই, কপি বা রিফারবিশড ফোন বাজার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসবে।একই সঙ্গে বন্ধ হবে একই আইএমইআই নম্বর ব্যবহার করে ডজনখানেক ফোন চলার মতো নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি।”
তিনি বলেন, “বিটিআরসি জানিয়েছে আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে এনইআইআর কার্যকর হবে। তার আগে নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত সব মোবাইল (বৈধ–অবৈধ) স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হবে এবং সচল থাকবে। এরপর নতুনভাবে অনুমোদনহীন ফোন নেটওয়ার্কে কাজ করবে না।”
মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স এসোসিয়েশন লিখিত বক্তব্যে জানান, বাংলাদেশের মোবাইল শিল্প বর্তমানে ১৮টি উৎপাদনকারী কারখানার সমন্বয়ে শক্তিশালী একটি খাত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে ৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি-বিদেশি ও দেশি বিনিয়োগ রয়েছে। এ খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৫০ হাজার জনের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।
দেশের মাসিক উৎপাদন সক্ষমতা ১৫ লাখ স্মার্টফোন ও ২৫ লাখ ফিচার ফোন। যদিও গ্রে মার্কেটের চাপের কারণে এখনও ৩০-৪০ শতাংশ সক্ষমতা অব্যবহৃত রয়েছে। বর্তমানে মোবাইল ফোন বাজারের আকার প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। এই শিল্প দেশের ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি, প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধি, নারী কর্মসংস্থান এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
সিন্ডিকেট নয়, এটি একটি প্রতিযোগিতামূলক বাজারের কথা উল্লেখ করে মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স এসোসিয়েশনের নেতারা জানান, মোবাইল উৎপাদন শিল্পে সিন্ডিকেট থাকার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। বর্তমানে ১৮টি কোম্পানি উৎপাদন লাইসেন্সধারী। যারা মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বাজারে কাজ করছে। তাই একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ বা সিন্ডিকেশন এর অভিযোগ বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
এনইআইআর সিস্টেম না থাকা অর্থনীতি, নিরাপত্তা ও শিল্পের জন্য বড় হুমকি বলে জানিয়েছেন মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনটি ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন।
ঢাকা/নাজমুল/এসবি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আড্ডা আর গানে চুয়েটে ‘জয়ধ্বনির’ উৎসবমুখর আয়োজন
মঞ্চে দাঁড়িয়ে কেউ গাইছেন গান, কেউ গিটারের তারে তুলছেন সুর। দর্শকেরাও সেই সুর মোহিত হয়ে উপভোগ করছেন। কেউ দিচ্ছেন করতালি, কেউবা মুঠোফোনের ফ্ল্যাশ জ্বেলে শিল্পীদের উৎসাহ দিচ্ছেন। সেই সঙ্গে মঞ্চের আলোকসজ্জা তো আছেই।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) বাস্কেটবল মাঠে গিয়ে দেখা যায় এ দৃশ্য। উৎসবমুখর এ পরিবেশের আয়োজন করেছিল চুয়েটের সাংস্কৃতিক সংগঠন জয়ধ্বনি। সংগঠনটির ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে এ আয়োজন করা হয়।
সংগঠনটির দুই দিনব্যাপী এ উৎসবে দেশের সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছেন। এ ছাড়া সংগঠনটির সাবেক ও বর্তমান সদস্যরাও রয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাতে এ উৎসব শেষ হয়েছে। এ উৎসব ঘিরে মাঠের চারপাশে বসে বিভিন্ন ধরনের স্টল। এতে ছিল নানা পণ্য, খাবার ও শীতের পিঠা।
উৎসবের সহযোগিতায় রয়েছে প্রথম আলো, পৃষ্ঠপোষকতায় ইলেকট্রনিক কোম্পানি ‘হ্যাভিট’, খাদ্যসহায়তায় ‘পাহাড়িকা কিচেন’ আর বেভারেজ সহায়তায় মোজো।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় এ উৎসব। এরপর পর্যায়ক্রমে মঞ্চে গান পরিবেশন করেন চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিল্পীরা। বিরতির পর রাত নয়টায় আবার শুরু হয় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। একে একে মঞ্চে গান পরিবেশন করেন আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরে পরিবেশকদের সম্মাননা দিয়ে প্রথম দিনের উৎসব শেষ হয়।
দুই দিনব্যাপী উৎসবের এ আয়োজন দেখতে ভিড় করেন হাজারো শিক্ষার্থী। গত বৃহস্পতিবার রাতে চুয়েটের বাস্কেটবল মাঠে