আমদানির পণ্য খালাসের জটিলতা কাটেনি এখনো
Published: 25th, October 2025 GMT
অগ্নিকাণ্ডের পর সপ্তাহ গড়ালেও ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে পণ্য খালাসের জটিলতা কাটেনি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি করা পণ্য এখনো রাখা হচ্ছে খোলা স্থানে, আর একটিমাত্র গেট সচল থাকায় পণ্যজট লেগে যাচ্ছে।
১৮ অক্টোবর শনিবার আগুন লাগে দেশের প্রধান বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ কমপ্লেক্সে। প্রায় ২৭ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এক সপ্তাহ পর আজ শনিবারও কার্গো ভিলেজের কার্যক্রম পুরোদমে চলতে দেখা যায়নি।
আমদানি কুরিয়ার সার্ভিস পুরোপুরি বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়ার কথা জানিয়েছেন আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলেন, অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে কার্গো ভিলেজের ভেতরে পণ্য খালাসের কাজ প্রায় বন্ধ। আমদানিকারক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালামাল এখন হ্যাঙ্গার গেটের পাশে খোলা আকাশের নিচে রাখা হচ্ছে। এতে পণ্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আবার মেডিকেল ও কেমিক্যাল পণ্য একসঙ্গে, অরক্ষিতভাবে রাখায় পণ্যের গুণগত মানেরও ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি দেখা দিচ্ছে।
হা-মীম গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক রুহুল আমিন সিদ্দিকী প্রথম আলোকে বলেন, পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে আমদানি কুরিয়ার সার্ভিস। এতে আমদানিকারকেরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন। কার্গো ভিলেজ সচল না হলে পণ্য খালাসের জট আরও বাড়বে।
একাধিক ব্যবসায়ী প্রথম আলোকে বলেন, একটি গেট দিয়ে এখন পণ্য খালাস হচ্ছে। শুল্ক পরিশোধের পর পণ্য দ্রুত খালাস হলেও গাড়ি অভাবে পণ্য বের করে আনা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুনবিমানবন্দরে আগুন: চীনসহ ৪ দেশ থেকে আসছেন বিশেষজ্ঞরা৬ ঘণ্টা আগেস্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আজ শনিবার শাহজালাল বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত কার্গো ভিলেজ পরিদর্শনে যান.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ভেনেজুয়েলা নিয়ে ট্রাম্প কী লক্ষ্য অর্জন করতে চান
দুই মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্র ক্যারিবীয় সাগরে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় সামরিক সমাবেশ ঘটাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, মাদকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য এ আয়োজন। কিন্তু ওয়াশিংটনের প্রকৃত উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে কারাকাসকে বার্তা দিতে চায়।
যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ছোট ছোট নৌযানে হামলা চালিয়ে কয়েকজনকে হত্যা করেছে। এই হামলাগুলোকে ঘিরে লাতিন আমেরিকা অঞ্চলজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা প্রশ্ন তুলেছেন এর বৈধতা নিয়ে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকাণ্ড আসলে ইঙ্গিত দিচ্ছে—ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরোকে ভয় দেখাতে অভিযান চালানো হচ্ছে।
লন্ডনভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান চ্যাথাম হাউসের লাতিন আমেরিকা-বিষয়ক সিনিয়র ফেলো ক্রিস্টোফার সাবাতিনি বলেন, এটি মূলত সরকার পরিবর্তনের প্রচেষ্টা। তারা হয়তো সরাসরি আগ্রাসনে যাবে না, বরং শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে বার্তা দিতে চায়।
সাবাতিনির মতে, এই সামরিক আয়োজন আসলে শক্তি প্রদর্শন। এর উদ্দেশ্য ভেনেজুয়েলার সেনাবাহিনী ও মাদুরোর ঘনিষ্ঠ মহলে ভয় সৃষ্টি করা, যাতে তারা তাঁর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প