নারী বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের সময়সূচি
Published: 25th, October 2025 GMT
নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল লাইনআপ চূড়ান্ত হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া-ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ড লড়বে ফাইনালে যাওয়ার লড়াই। বুধবার (২৯ অক্টোবর) গৌহাটিতে মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা। আর নাবি মুম্বাইয়ের ডি.ওয়াই. পাটিল স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) মাঠে নামবে স্বাগতিক ভারত ও বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। আশ্চর্যের বিষয়, ২০১৭ সালের আসরের সেমিফাইনালেও একই দলগুলোর এমন লড়াই হয়েছিল।
এবারের বিশ্বকাপে একমাত্র অপরাজিত দল হিসেবে লিগ পর্ব শেষ করেছে অস্ট্রেলিয়া। সাত ম্যাচে ছয় জয়ে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে তারা শীর্ষে থেকে সেমিফাইনালে উঠেছে। শনিবার (২৫ অক্টোবর) ইন্দোরে দক্ষিণ আফ্রিকাকে উড়িয়ে দেওয়া সেই জয়ের পরই নিশ্চিত হয় তাদের শীর্ষস্থান। দক্ষিণ আফ্রিকা আছে দ্বিতীয় স্থানে, পাঁচ জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে।
আরো পড়ুন:
বল হাতে অ্যালানার ইতিহাস, দ.
ভারতে অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটারকে শ্লীলতাহানি, গ্রেপ্তার ১
তৃতীয় স্থানে ইংল্যান্ড—ছয় ম্যাচে নয় পয়েন্ট তাদের। শেষ ম্যাচে যদি তারা নিউ জিল্যান্ডকে হারাতে পারে, তবে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসার সম্ভাবনাও আছে। ভারত আপাতত তিন জয় ও তিন হারে চার নম্বরে। তাদের শেষ ম্যাচটি রবিবার নাবি মুম্বাইয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে। সেই দিনই লিগ পর্বের শেষ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
সেমিফাইনালের সূচি:
প্রথম সেমিফাইনাল: ইংল্যান্ড বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা — বুধবার, গৌহাটি।
দ্বিতীয় সেমিফাইনাল: ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া — বৃহস্পতিবার, নাবি মুম্বাই।
ফাইনাল: রবিবার (২ নভেম্বর) নাবি মুম্বাই।
তবে আবহাওয়া নিয়ে কিছুটা দুশ্চিন্তা আছে আয়োজকদের। গৌহাটিতে প্রথম সেমিফাইনালের দিন টসের সময়ের আশপাশে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে। নাবি মুম্বাইয়েও বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে বজ্রঝড় ও রাতের দিকে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এ কারণেই দুই সেমিফাইনাল ও ফাইনালের জন্য রাখা হয়েছে রিজার্ভ ডে।
যদি কোনো সেমিফাইনাল বৃষ্টিতে ভেসে যায় বা ফল না আসে, তবে পয়েন্ট তালিকায় উপরের দলটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফাইনালে উঠবে। আর যদি ফাইনালেও ফল না আসে, তবে উভয় দলকে যৌথ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হবে।
অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের মধ্যে বিশ্বকাপের নকআউট ম্যাচে দেখা হয়েছে তিনবার। এর মধ্যে দুবার জিতেছে অস্ট্রেলিয়া, একবার ভারত। অন্যদিকে, ইংল্যান্ড দুইবার নকআউটে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে।
সব মিলিয়ে, দুই সেমিফাইনালই প্রতিশোধ ও গৌরবের লড়াই। যেখানে ইতিহাস, প্রতিদ্বন্দ্বিতা আর বৃষ্টির আশঙ্কা একসাথে মঞ্চ সাজাচ্ছে এক রোমাঞ্চকর সপ্তাহের জন্য।
ঢাকা/আমিনুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ম ফ ইন ল ফ ইন ল র ব শ বক প
এছাড়াও পড়ুন:
আসর নামাজের শেষ সময় কখন
ইসলামে প্রতিটি নামাজের সময় সূর্যের গতির ওপর নির্ভর করে নির্ধারিত। আসরের নামাজের সময় শুরু ও শেষ—দুটোই সূর্যের অবস্থান দেখে নির্ধারিত হয়। আসর নামাজের গুরুত্ব কোরআনে বিশেষভাবে উল্লেখ আছে, ‘সূর্য হেলে পড়ার সময় থেকে রাতের অন্ধকার পর্যন্ত নামাজ কায়েম করো।’ (সুরা ইসরা, আয়াত: ৭৮)
আসরের নামাজের শুরু সময়আসর নামাজের সময় শুরু হয়, যখন কোনো বস্তুর ছায়া তার প্রকৃত দৈর্ঘ্যের সমান হয় (জোহরের ছায়া বাদে)। অর্থাৎ যখন সূর্য পশ্চিম দিকে ঢলে পড়ে এবং ছায়া বাড়তে শুরু করে, তখন আসর সময় শুরু হয়।
হাদিসে এসেছে, ‘আসর নামাজের সময় সেই সময় পর্যন্ত থাকে, যতক্ষণ না সূর্যের রং হলুদ হয়ে আসে।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৬১৩)
আসর নামাজের শেষ সময়আসর নামাজের দুটি সময়সীমা আছে:
ক. মাকরুহ (অপছন্দনীয়) হওয়ার আগপর্যন্ত বৈধ সময়। আসর নামাজের শেষ বৈধ সময় হলো সূর্য হলুদ হওয়ার আগপর্যন্ত, অর্থাৎ সূর্য যখন দিগন্তের দিকে ঝুঁকে পড়ে কিন্তু এখনো তীব্র আলো দিচ্ছে। এ সময় পর্যন্ত নামাজ পড়া সুন্নত অনুযায়ী বৈধ ও উত্তম।
খ. মাকরুহ সময়, অর্থাৎ সূর্যাস্তের কাছাকাছি সময়। যখন সূর্যের রং ফ্যাকাশে বা লালচে হয়ে যায়, তখন পর্যন্ত আসর নামাজ আদায় করা যায়, কিন্তু এটি মাকরুহ সময়।
আরও পড়ুনমাগরিবের নামাজের সময় কতক্ষণ থাকে০৫ অক্টোবর ২০২৫রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সূর্য হলুদ হয়ে যাওয়ার আগে আসরের এক রাকাত পায়, সে আসর নামাজ পেয়ে গেছে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫৭৯)
এর মানে সূর্যাস্তের ঠিক আগে পর্যন্ত (অর্থাৎ সূর্যের ফ্যাকাসে আলো থাকা পর্যন্ত) নামাজ আদায় বৈধ, কিন্তু বিলম্ব করা অনুচিত।
ফিকহ অনুযায়ী পার্থক্যবিভিন্ন মাজহাব আসরের শুরু সময় নিয়ে সামান্য ভিন্নমত পোষণ করে।
১. হানাফি মাজহাবের মতে, আসরের শুরু সময় হলো যখন বস্তুর ছায়া তার প্রকৃত দৈর্ঘ্যের দ্বিগুণ হয়, আর শেষ সময় সূর্যাস্তের আগপর্যন্ত।
২. শাফেয়ি, মালিকি, হাম্বলি মাজহাবের মতে, আসরের শুরু সময় হলো যখন বস্তুর ছায়া তার এক গুণ হয় আর শেষ সময় সূর্যাস্তের আগপর্যন্ত। (আল-মাওসুআহ আল-ফিকহিয়্যাহ, কুয়েত, ২৭/৭৪, ২০০১)
বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার অধিকাংশ আলেম হানাফি মাজহাব অনুসারে নামাজের সময়সূচি নির্ধারণ করেন। তাই অনেক ক্যালেন্ডারে আসরের সময় একটু পরে দেখা যায়।
আরও পড়ুনতাহাজ্জুদ নামাজের সঠিক সময় কখন হয়০৪ অক্টোবর ২০২৫ঘড়ির সময়আধুনিক জ্যোতির্বিদ্যার হিসাবে, আসর নামাজের সময় সূর্যের উচ্চতা (solar altitude) প্রায় ৪৫ থেকে শূন্যের মধ্যে পড়ে। সূর্য যখন পশ্চিম আকাশে ঢলে যায় এবং ছায়া বাড়ে, তখন সূর্যের রশ্মি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ভেঙে ছড়িয়ে পড়ে, ফলে আলো ধীরে ধীরে নরম হয়।
বাংলাদেশে আসর নামাজের সময় সাধারণত—
গ্রীষ্মে: বেলা ৩:৩০ থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিবর্তিত হয়
শীতে: বেলা ৩:০০ থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিবর্তিত হয়
সূর্যাস্তের সময় অনুযায়ী সামান্য পরিবর্তিত হয়। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, সালাতের সময়সূচি ২০২৪ সংস্করণ, ঢাকা)
আসর নামাজের শেষ সময় সূর্যাস্তের ঠিক আগপর্যন্ত, তবে সূর্য হলুদ হওয়ার আগে পড়া উত্তম। নবী করিম (সা.) নামাজে বিলম্ব করাকে অপছন্দ করতেন।
আরও পড়ুনচাশতের নামাজের ওয়াক্ত কখন হয়১৬ আগস্ট ২০২৫