ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারী নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেছেন, “আমাদের তিন দিকে একটা রাষ্ট্র (ভারত) আছে। রাষ্ট্রটি আমাদের আধিপত্যবাদের বেষ্টনে আবদ্য করে রেখেছে। সে (ভারত) চায় না আমার দেশ (বাংলাদেশ) উন্নত হোক। তারা তো অনেক বড় দেশ, কিন্তু সমান তালে উন্নয়ন করতে পারে না।”

তিনি বলেন, “দেশটি তার সেভেন সিস্টারর্সকে এখনো অনুন্নত করে রেখেছে। সেখানে এখনো তারা পাকা টয়লেট পর্যন্ত স্থাপন করতে পারেনি। আমার দেশের মাথাপিছু আয় যা, ভারতের মাথাপিছু আয় তার চেয়েও কম। কিন্তু সে বড় দেশ, তার পারমাণবিক অস্ত্র আছে। সে আধিপত্য বিস্তার করে আমার দেশকে দমিয়ে রাখতে চায়।”

আরো পড়ুন:

রোহিতের সেঞ্চুরি আর কোহলির ব্যাটে ভারতের দাপুটে জয়

পাখির বাসা দেখে কী বোঝা যায় বৃষ্টি বেশি হবে নাকি কম হবে?

শনিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের নবীন বরণ ও ক্যারিয়ার গাইডলাইন অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন। শহরের ঐতিহ্য কনভেনশন সেন্টার মিলনায়তনে পলিটেনিক শাখা শিবির এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেন, “একটা সময় চীন আমাদের দেশের মতো হতদরিদ্র অবস্থায় ছিল। সেই চীন আজ পৃথিবীর অর্থনৈতিক দিক থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। অথচ বাংলাদেশ যখন স্বাধীনতা অর্জন করেছে, চীন ঠিক সেই সময়ে তাদের অর্থনৈতিক উন্নতির কাজ শুরু করেছে। চীন ১৯৭৮ সালে উন্নয়নের কাজ শুরু করেছিল। এর জন্য তারা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের ওপরই ভর করেছিল।”

তিনি বলেন, “তারা ট্রেডিশনাল বিশ্ববিদ্যালয় অনেকটাই বন্ধ করে তারা টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় চালু করল। ১৭ হাজার টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় চালু করল চীন। আর আমার বাংলাদেশে আছে একটা ইউনিভার্সিটি। টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়কে উন্নয়নের জায়গায় নিয়ে যেতে হবে, না হলে একটি জাতি কোনদিন উন্নতির স্বর্গ শিখরে আরহণ করে না। কিন্তু সরকার এটি মাথায় নেয় না।”

তিনি আরো বলেন, বলেন, “কোন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের গুরুত্ব দেওয়া হয় না? কেন ইঞ্জিনিয়ার সেক্টরকে আমার দেশে গুরুত্ব দেওয়া হয় না? অথচ একটা জাতি এর উপরেই দাঁড়িয়ে থাকে। ডাক্তার অধিকাংশ ক্ষেত্রে ইঞ্জিনিয়ারদের ওপর নির্ভরশীল। রোগী গেলেই বলেন টেস্ট করেন আসেন। আর ওই টেস্ট করে ইঞ্জিনিয়ারদের বানানো ও চালানো যন্ত্রের কাছে। ওই রিপোর্ট দেখেই ওষুধ লিখে দেয়। সুতরাং পৃথিবীর উন্নয়নসহ সবকিছুই নির্ভর করে ইঞ্জিনিয়ারদের ওপরে। এই জিনিসটা চীন বুঝতে পেরেছিল।”

শিবির নেতা সাদ্দাম বলেন, “আমার ছোট দেশ, উন্নয়ন ঘটাতে সময় লাগার কথা না। অথচ সেই দেশটার শিক্ষা ব্যবস্থাপনাকে ধ্বংস করা হয়েছে, সংস্কৃতি ধ্বংস করেছে, অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। এগুলো ধ্বংস করার মধ্য দিয়ে দেশটা যাতে কার্যকর একটা রাষ্ট্রে পরিণত হতে না পারে, তার সব বন্দোবস্ত তারা (ভারত) করে রেখেছে।”

পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শিবিরের সভাপতি শাহাদাত হোসেন আরমানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা মহানগরী উত্তর জামায়াতের সেক্রেটারি ড.

মুহাম্মদ রেজাউল করিম।

পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শিবিরের সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ আল মারুফের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন লক্ষ্মীপুর শহর শিবিরের সভাপতি একেএম ফরিদ উদ্দিন, জেলা কমিটির সেক্রেটারি আব্দুর রহমান প্রমুখ।

ঢাকা/জাহাঙ্গীর/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল ব শ বব দ য আম র দ শ ধ ব স কর

এছাড়াও পড়ুন:

ভেনেজুয়েলা নিয়ে ট্রাম্প কী লক্ষ্য অর্জন করতে চান

দুই মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্র ক্যারিবীয় সাগরে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় সামরিক সমাবেশ ঘটাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, মাদকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য এ আয়োজন। কিন্তু ওয়াশিংটনের প্রকৃত উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে কারাকাসকে বার্তা দিতে চায়।

যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ছোট ছোট নৌযানে হামলা চালিয়ে কয়েকজনকে হত্যা করেছে। এই হামলাগুলোকে ঘিরে লাতিন আমেরিকা অঞ্চলজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা প্রশ্ন তুলেছেন এর বৈধতা নিয়ে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকাণ্ড আসলে ইঙ্গিত দিচ্ছে—ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরোকে ভয় দেখাতে অভিযান চালানো হচ্ছে।

লন্ডনভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান চ্যাথাম হাউসের লাতিন আমেরিকা-বিষয়ক সিনিয়র ফেলো ক্রিস্টোফার সাবাতিনি বলেন, এটি মূলত সরকার পরিবর্তনের প্রচেষ্টা। তারা হয়তো সরাসরি আগ্রাসনে যাবে না, বরং শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে বার্তা দিতে চায়।

সাবাতিনির মতে, এই সামরিক আয়োজন আসলে শক্তি প্রদর্শন। এর উদ্দেশ্য ভেনেজুয়েলার সেনাবাহিনী ও মাদুরোর ঘনিষ্ঠ মহলে ভয় সৃষ্টি করা, যাতে তারা তাঁর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

সম্পর্কিত নিবন্ধ