কানাডায় এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল টাওয়ারের জনবল–সংকট তীব্র হওয়ায় ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার কেলোনা এবং ম্যানিটোবার উইনিপেগ বিমানবন্দরের কন্ট্রোল টাওয়ারগুলো পর্যায়ক্রমে বন্ধ রাখা হচ্ছে। এয়ার কানাডা তাদের পাইলটদের উদ্দেশ্যে পাঠানো এক অভ্যন্তরীণ মেমোতে সতর্ক করেছে, ডিউটিতে থাকা একমাত্র কন্ট্রোলার বিরতিতে গেলেই এসব টাওয়ার সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, ফলে ফ্লাইট ঝুঁকিতে পড়তে পারে।

ন্যাভ কানাডা জানিয়েছে, কর্মী–সংকটের কারণে টাওয়ারগুলো কম ট্রাফিকের সময় বন্ধ রাখা হচ্ছে, তবে এই প্রভাব ভবিষ্যতে অন্য বিমানবন্দরেও পড়তে পারে। স্টাফ–সংকটের জেরে প্রয়োজনে ফ্লাইটগুলোকে আকাশে অপেক্ষা করা, অতিরিক্ত জ্বালানি বহন করা বা বিকল্প বিমানবন্দরে নামার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে।

এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারদের সংগঠন সিএটিসিএ জানিয়েছে, এটি কর্মী–সংকটের গভীরতা এবং সিস্টেমের দুর্বলতার স্পষ্ট প্রমাণ। অন্যদিকে এয়ার কানাডা পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি টিম পেরি বলেন, এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সমাধান জরুরি, কারণ কানাডার বিভিন্ন বিমানবন্দরে ইতিমধ্যেই বিলম্ব ও অনিশ্চয়তা বাড়ছে।

দূর পরবাস-এ জীবনের গল্প, নানা আয়োজনের খবর, ভিডিও, ছবি ও লেখা পাঠাতে পারবেন পাঠকেরা। ই-মেইল: [email protected]

উত্তর আমেরিকাজুড়ে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার সংকট নতুন নয়। যুক্তরাষ্ট্রেও একই কারণে ফ্লাইট বিলম্ব দেখা দিচ্ছে বলে জানা গেছে।

কানাডার বিমান চলাচল ব্যবস্থায় চলমান এই সংকট দ্রুত না কাটলে যাত্রী ভোগান্তি আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ভেনেজুয়েলা নিয়ে ট্রাম্প কী লক্ষ্য অর্জন করতে চান

দুই মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্র ক্যারিবীয় সাগরে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় সামরিক সমাবেশ ঘটাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, মাদকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য এ আয়োজন। কিন্তু ওয়াশিংটনের প্রকৃত উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে কারাকাসকে বার্তা দিতে চায়।

যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ছোট ছোট নৌযানে হামলা চালিয়ে কয়েকজনকে হত্যা করেছে। এই হামলাগুলোকে ঘিরে লাতিন আমেরিকা অঞ্চলজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা প্রশ্ন তুলেছেন এর বৈধতা নিয়ে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকাণ্ড আসলে ইঙ্গিত দিচ্ছে—ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরোকে ভয় দেখাতে অভিযান চালানো হচ্ছে।

লন্ডনভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান চ্যাথাম হাউসের লাতিন আমেরিকা-বিষয়ক সিনিয়র ফেলো ক্রিস্টোফার সাবাতিনি বলেন, এটি মূলত সরকার পরিবর্তনের প্রচেষ্টা। তারা হয়তো সরাসরি আগ্রাসনে যাবে না, বরং শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে বার্তা দিতে চায়।

সাবাতিনির মতে, এই সামরিক আয়োজন আসলে শক্তি প্রদর্শন। এর উদ্দেশ্য ভেনেজুয়েলার সেনাবাহিনী ও মাদুরোর ঘনিষ্ঠ মহলে ভয় সৃষ্টি করা, যাতে তারা তাঁর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

সম্পর্কিত নিবন্ধ