শিক্ষার্থী সম্মেলনে ব্র্যাক, ইউল্যাব ও শান্ত–মারিয়ামের জয়লাভ
Published: 26th, October 2025 GMT
ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব) তাদের বার্ষিক আয়োজন আন্তবিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সম্মেলন ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা সম্পন্ন করেছে। এবার ছিল আয়োজনটির ১১তম সংস্করণ। দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানটি ২৩-২৪ অক্টোবর ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়। এবারের সম্মেলন ছিল ফেইরি টেলস ও লোকগাথা ঘিরে, যেখানে বাংলাদেশের ২৫টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগত শিক্ষার্থীরা তাঁদের সম্মিলিত একাডেমিক ও সৃজনশীল প্রতিভা প্রদর্শন করেছেন।
সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুদানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) আবুল ফয়েজ মো.
এরপর এ এফ এম আলাউদ্দিন খান প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। বিজয়ীদের সম্মাননা হিসেবে ক্রেস্ট, স্বীকৃতির সনদ ও অর্থ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির রোমানা রুহিন হৃদি অর্জন করেন সেরা গবেষণাপত্র পুরস্কার এবং ইউল্যাবের রাইসা আনান পান রানারআপ গবেষণাপত্র পুরস্কার। সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় ইউল্যাবের প্রযোজনা ‘The Rizzlers of Fairy Tales’-এ চ্যাম্পিয়ন হয় এবং শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজির পরিবেশনা ‘What is Beauty and Who is the Beast?’ অর্জন করে রানার্সআপ পুরস্কার।
ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের ডিপার্টমেন্ট অব ইংলিশ অ্যান্ড মডার্ন ল্যাঙ্গুয়েজের সহযোগী অধ্যাপক সরকার হাসান আল জায়েদ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক রাবিতা রহমান গবেষণাপত্রগুলো মূল্যায়ন করেন এবং সাংস্কৃতিক পরিবেশনাগুলো বিচার করেন সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটির ডিপার্টমেন্ট অব ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ-লিটারেচারের চেয়ার অধ্যাপক আবদুস সেলিম ও ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের ডিপার্টমেন্ট অব ইংলিশ অ্যান্ড মডার্ন ল্যাঙ্গুয়েজের অ্যাডভাইজার অধ্যাপক রাজিয়া সুলতানা খান। বিজ্ঞপ্তি
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইউন ভ র স ট প রস ক র ইউল য ব
এছাড়াও পড়ুন:
বগুড়ার মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতাদের ঢাকায় ডেকেছে বিএনপি, কাল বৈঠক
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়ার সাতটি আসনে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশীসহ জেলা বিএনপির ২৩ নেতাকে ঢাকায় ডেকেছে বিএনপি। আগামীকাল সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম (বাদশা) বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নির্বাচনী প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ১২ অক্টোবর বিকেলে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জেলার সব আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে বৈঠক করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। আগামী নির্বাচনে দলের মনোনয়ন যাঁকেই দেওয়া হোক না কেন, তাঁর পক্ষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।
রেজাউল করিম আরও বলেন, ওই বৈঠকের পর বগুড়া-৬ (সদর) ও বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) আসন বাদে অন্য পাঁচটি আসনে পাঁচজন নেতাকে ফোন করে নির্বাচনের জন্য মাঠে কাজ করার নির্দেশ দেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। ধারাবাহিক সাংগঠনিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ওই পাঁচ নেতাসহ মনোনয়নপ্রত্যাশী ও জেলা বিএনপির ২৩ নেতাকে আগামীকাল গুলশান কার্যালয়ে ডাকা হয়েছে। সেখানে মনোনয়নের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা ছাড়াও নির্বাচন ঘিরে দলীয় কর্মপন্থা ও ধানের শীষকে বিজয়ী করতে নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা আসতে পারে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, গত বৈঠকে তারেক রহমান স্পষ্ট নির্দেশ দেন, ধানের শীষের মনোনয়ন যাঁকে দেওয়া হবে, তাঁকে বিজয়ী করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। মনোনয়ন না পেলে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। পৌরসভা, সিটি করপোরেশন, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদসহ স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে প্রার্থী করা ছাড়াও দলীয়ভাবে মূল্যায়ন করা হবে। তবে দলে কোনো বিশৃঙ্খলা করা চলবে না।
জেলা বিএনপির একাধিক নেতা বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন পাঁচটি আসনে দলের পাঁচ নেতাকে টেলিফোন করে নির্বাচনের জন্য মাঠে নামার নির্দেশ দেওয়ায় মনোনয়নপ্রত্যাশী অন্যরা ভেতরে-ভেতরে হতাশ হন। তবে এ নিয়ে কেউ এখনো প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেননি।
গত বৈঠকে আলোচনার একপর্যায়ে উঠে আসে বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনে শরিক দলের প্রার্থী ও নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার প্রসঙ্গ। এবারের বৈঠকে বিষয়টি চূড়ান্ত হতে পারে জানিয়েছেন জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম। তিনি বলেন, শরিক দলকে আসন ছেড়ে দিলে আইন সংশোধন না করা পর্যন্ত ধানের শীষ প্রতীকে অন্য দলের কেউ নির্বাচন করতে পারবেন না। এ অবস্থায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ইতিমধ্যে জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মীর শাহে আলমকে এ আসনে মাঠে নামতে বলেছেন। আগামীকালের বৈঠকে এ বিষয়েও চূড়ান্ত নির্দেশনা আসতে পারে।
ঢাকায় ডাক পাওয়া নেতাদের মধ্যে আছেন বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনে তারেক রহমানের ফোন পাওয়া সাবেক সংসদ সদস্য কাজী রফিকুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সহিদ-উন-নবী (সালাম), সোনাতলা উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ কে এম আহসানুল তৈয়ব (জাকির), সারিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান ও জেলা বিএনপির উপদেষ্টা শাহ মো. শাহজাহান আলী।
বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনে তারেক রহমানের টেলিফোন পাওয়া জেলা বিএনপির সহসভাপতি মীর শাহে আলম, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী সমিতির জেলা সভাপতি আবদুল বাছেদ ও জেলা বিএনপির সহসভাপতি এম আর ইসলাম (স্বাধীন)। বগুড়া-৩ (দুপচাঁচিয়া ও আদমদীঘি) আসনে তারেক রহমানের ফোন পাওয়া আদমদীঘি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল মহিত তালুকদার, জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ফজলুল বারী তালুকদার ও বগুড়া শহর বিএনপির সভাপতি হামিদুল হক চৌধুরী।
বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের ফোন পাওয়া একমাত্র নেতা হিসেবে বৈঠকে ডাক পেয়েছেন জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন। বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনে তারেক রহমানের টেলিফোন পাওয়া জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক গোলাম মো. সিরাজ ছাড়াও কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মাহবুবুর রহমান (হারেজ), ধুনট উপজেলা বিএনপির সভাপতি তৌহিদুল আলম (মামুন), কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফজলুর রহমান (খোকন) ও শেরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম বৈঠকে ডাক পেয়েছেন।
বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৭ আসনে প্রার্থী হওয়ার কথা আছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। এ দুটি আসন থেকে বৈঠকে ডাক পেয়েছেন দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মাহবুবর রহমান, জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম (বাদশা), জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন এবং আলী আজগর তালুকদার (হেনা), দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হেলালুজ্জামান তালুকদার (লালু) এবং গাবতলী উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোরশেদ মিলটন।
জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, দলের হাইকমান্ড থেকে টেলিফোন করে আগামীকাল চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে বিকেল চারটায় বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। বৈঠকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্দেশনা দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।