ম্যানুয়েল ফ্রান্সিসকো দস সান্তোস—এই নামে তাঁকে না চেনাই স্বাভাবিক। যদি বলা হয় ‘গারিঞ্চা’ তাহলে কেউ কেউ উচ্ছ্বসিত হয়ে বলতে পারেন, ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের সেই ‘ছোট পাখি’! কিন্তু ফুটবল মাঠে সর্বকালের সেরাদের একজন। দুবার বিশ্বকাপজয়ী। ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের ‘জয় অব পিপল।’ পঞ্চাশ দশক থেকে সত্তর দশকের শুরু পর্যন্ত ফুটবলপ্রেমীদের আনন্দের খোরাক জোগানো গারিঞ্চার আজ জন্মদিন। রাইট উইংয়ে ড্রিবলিংয়ের ফুল ফোটানো প্রয়াত এই কিংবদন্তিকে নিয়ে লেখাটি পুনরায় প্রকাশ করা হলো।
২২ অক্টোবর, ২০০১। সেদিন আফগানিস্তান হামলা, অ্যানথ্রাক্স জীবাণু কিংবা বিশ্বকাপে খেলা না খেলা নিয়ে তেমন আগ্রহ ছিল না ব্রাজিলিয়ানদের। পেয়ালায় ঝড় তুলেছিল রগরগে এক কাহিনী। তার বিস্তারিত এখানে না লেখাই ভালো। শুধু এটুকু জানতে পারেন। কাহিনীর কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল এক বিশেষ ব্যক্তির বিশেষ কিছুর আকার। গারিঞ্চার!
ব্রাজিলে রিও ডি জেনিরো থেকে দূরবর্তী গ্রাম পাউ গ্রান্দে'র সমাধিস্থলে চিরঘুমে তিনি। কবির (ভিনিসিয়াস ডি মোরায়েস) চোখে গারিঞ্চা বাঁকানো পায়ের দেবদূত, কারও কাছে ছোট পাখি, কেউ ডেকেছেন 'জয় অব পিপল' বা জনগনের আনন্দ। তাঁর খেলার সঙ্গে এ কথার সাযুজ্যই সবচেয়ে বেশি। গারিঞ্চা ব্রাজিলিয়ানদের কাছে আপনজন। ঘরের ছেলে।
ফুটবল, সাম্বা, নারী, কাশাচা, সুমদ্র, সৈকত, মোটাদাগে এই তো একজন ব্রাজিলিয়ানের জীবন! গারিঞ্চার জীবনে সুমদ্রটা ড্রিবলিংয়ের, সৈকত নারীর। মানুষকে 'সুমদ্র' দেখিয়ে কাশাচায় চুর হয়ে পড়ে থেকেছেন সেই 'সৈকতে'। এভাবে একদিন টের পেলেন- তিনি নিঃসঙ্গ, কর্পদকশূন্য, যে কি না খুনীও!
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
‘প্রতারক পুরুষ বিশ্বাসঘাতকতা গোপন রাখে, তবে আল্লাহ সব দেখেন’
ছোট পর্দা থেকে বড় পর্দা—দু’জায়গাতেই অভিনয় গুণে জায়গা করে নিয়েছেন অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা। পর্দার চরিত্রে যেমন সাহসী, বাস্তব জীবনেও তেমনি সরব ও স্পষ্টভাষী।
বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাবনার উপস্থিতি সবসময়ই আলোচনায় থাকে। নিয়মিত ছবি ও ভাবনার টুকরো অংশ প্রকাশ করায় অনেক সময় কটাক্ষের মুখেও পড়েছেন এই অভিনেত্রী। গতকাল রাতে ভাবনা তার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট দিয়েছেন। তাতে নারীর সঙ্গে পুরুষের বিশ্বাসঘাতকতার একটি চিত্রায়ণ করেছেন এই অভিনেত্রী।
আরো পড়ুন:
‘খুকুমণির’ বিয়ে
রাজবাড়িতে বসবে মধুমিতার বিয়ের আসর!
এ বিষয়ে আশনা হাবিব ভাবনা বলেন, “একজন প্রতারক পুরুষ তার বিশ্বাসঘাতকতা গোপন রাখে। কিন্তু যে নারীকে সে আঘাত করেছে, তাকে রক্ষা করার জন্য আল্লাহ তা প্রকাশ করেন। প্রতিটি মিথ্যা, যা সে পেছনে বলেছে, নীরবে ভাঙা প্রতিটি প্রতিশ্রুতি, কান্নার প্রতিটি মুহূর্ত, অথচ পুরুষটি ভান করেছে সব ঠিক আছে। তবে আল্লাহ সব দেখেন, যা সে দেখতে পায় না।”
কোনো গোপন বিষয় চিরকাল গোপন থাকে না। এমন তথ্য স্মরণ করে ভাবনা বলেন, “একজন পুরুষ ভাবেন, তার কর্ম ঢাকতে সে যথেষ্ট চতুর। কিন্তু কোনো গোপন বিষয় চিরকাল গোপন থাকে না। তাকে ধ্বংস করার জন্য আল্লাহ সত্য প্রকাশ করেন না। বরং সেই নারীকে জীবনভর কষ্ট পাওয়া থেকে রক্ষা করার জন্য এটি করেন।”
খানিকটা ব্যাখ্যা করে আশনা হাবিব ভাবনা বলেন, “বিশ্বাসঘাতকতা হয়তো গোপনে করা হয়। কিন্তু তার প্রকাশ হলো ঐশ্বরিক সুরক্ষা। আল্লাহ যখন পর্দা সরিয়ে দেন, তা শাস্তি নয় বরং এটা উদ্ধার। আমি এখন গর্বের সঙ্গে বলতে পারি, আলহামদুলিল্লাহ।”
তবে ভাবনা কেন এ ধরনের একটি পোস্ট নিজের ফেসবুকে দিয়েছেন, তার পেছনের কারণ জানা যায়নি। কিন্তু তার ভাবনার সঙ্গে সহমত পোষণ করছেন নেটিজেনরা।
ঢাকা/শান্ত