চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ১৩ ম্যাচ খেলেছে রিয়াল মাদ্রিদ। এর মধ্যে মাত্র ৩ ম্যাচে পুরো ৯০ মিনিট খেলার সুযোগ পেয়েছেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। নিজের পছন্দমতো খেলার সময় না পাওয়ায় আগে থেকেই বেশ বিরক্ত ছিলেন ভিনি, এ নিয়ে প্রকাশ করেছিলেন ক্ষোভও। ইউরোপিয়ান সংবাদমাধ্যমগুলোতেও বিষয়টি নিয়ে অনেক লেখালেখি হয়েছে।

তবে গত রোববার সর্বশেষ ‘এল ক্লাসিকো’য় সব উত্তেজনা যেন সীমা ছাড়িয়েছে। বার্সেলোনার বিপক্ষে ৭২ মিনিটে বদলি হয়ে মাঠ ছাড়ার পর নিজের হতাশা আড়াল করতে পারেননি ভিনিসিয়ুস। বেশ ক্ষিপ্ত হয়েই মাঠ ছাড়েন তিনি। ম্যাচের পর এই ঘটনা এখন রিয়াল শিবিরে আলোচনার কেন্দ্রে। যদিও এই ঘটনায় ভিনিসিয়ুসকে কোনো শাস্তি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রিয়াল কর্তৃপক্ষ।

সংবাদমাধ্যম ইএসপিএনের খবর, ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়ুস ও কোচ জাবি আলোনসোর সম্পর্ক এখন বেশ খারাপের দিকে। ক্লাসিকোতে বদলি হিসেবে তুলে নেওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশের পর সম্পর্কের টানাপোড়েন আরও স্পষ্ট হয়েছে বলে ইএসপিএনকে জানিয়েছে ক্লাবের ঘনিষ্ঠ সূত্র। মৌসুমের শুরু থেকেই একের পর এক ম্যাচে ভিনিসিয়ুসকে শুরুর একাদশের বাইরে রেখেছিলেন আলোনসো। স্বাভাবিকভাবেই দলের অন্যতম সেরা তারকার কোচের এই সিদ্ধান্ত পছন্ত হয়নি, যার চূড়ান্ত বিস্ফোরণ দেখা গেছে বার্সার বিপক্ষে ম্যাচে।

আরও পড়ুনক্লাসিকোর আগুনে ঘি ঢেলেছিলেন ইয়ামাল, পুড়ে গেল বার্সাই২১ ঘণ্টা আগে

সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে বার্সার বিপক্ষে ম্যাচ শেষ হওয়ার প্রায় আধঘণ্টা আগে রদ্রিগোকে নামিয়ে তুলে নেওয়া হয় ভিনিসিয়ুসকে। তখন রিয়াল ২-১ গোলে এগিয়ে। বদলি হওয়ার সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ ভিনি মাঠ ছাড়ার সময় বলেন, ‘সব সময় আমি! আমি দল ছাড়ছি! আমি গেলে যদি ভালো হয়, আমি যাচ্ছি।’ এরপর বেঞ্চে না বসে সরাসরি টানেল ধরে চলে যান। যদিও পরে আবার ফিরে এসেছেন।

মাঠ ছাড়ার সময় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ভিনিসিয়ুস.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ, জড়িতদের গ্রেপ্তারে আল্টিমেটাম

ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পৃথকভাবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন ও শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারী ও নির্দেশদাতাদের গ্রেপ্তারের সময় বেঁধে দিয়েছে।

আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় ডাকসু, বিকেলে ‘সন্ত্রাসবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দ’ এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল পৃথক কর্মসূচি পালন করে।

সন্ধ্যা সাতটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ করে ডাকসু। সমাবেশ থেকে ডাকসুর সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) মহিউদ্দিন খান বলেন, ‘আগামী ২৪ ঘণ্টার ভেতরে এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত এবং এই ন্যক্কারজনক ঘটনার নির্দেশদাতাদের গ্রেপ্তার করে বিচার কার্যকর করতে হবে।’

ডাকসুর এজিএস আরও বলেন, ‘যারা এ ধরনের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত, তাদের যদি এই সরকার দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করতে না পারে, তাহলে এই সরকার জনতার নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে বলে প্রমাণিত হবে।’

ডাকসুর পরিবহন সম্পাদক আসিফ আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে হুঁশিয়ার করতে চাই—যদি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের শনাক্ত করা না হয় এবং এর পেছনের রাঘববোয়ালদের গ্রেপ্তার করা না হয়, তবে বাংলাদেশে দাবানল জ্বলবে।’

এর আগে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে রাজু ভাস্কর্যের সামনে সন্ত্রাসবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দর ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। এতে সংগঠনের আহ্বায়ক রিয়াদুস জুবাহ ওসমান বলেন, ‘এই হামলার সঙ্গে জড়িত সব ব্যক্তিকে দ্রুততম সময়ে গ্রেপ্তার করতে হবে। যারা এ ঘটনার নেপথ্যের পরিকল্পনাকারী, সেই মাস্টারমাইন্ডদেরও দৃশ্যমান আইনি প্রক্রিয়ার আওতায় আনতে হবে। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাই এখন একমাত্র পথ।’

এদিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ করেছে। বিকেলে ছাত্রদল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি শিববাড়ি ও জগন্নাথ হল এলাকা ঘুরে আবার জরুরি বিভাগের সামনে এসে শেষ হয়।

বিক্ষোভে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় নেতা–কর্মীরা ‘হাদিকে গুলি কেন, ইন্টেরিম জবাব দে’, ‘হাদির ওপর হামলা কেন, ইন্টেরিম জবাব দে’, ‘ছাত্রদলের অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

ছাত্রদলের নেতারা ওসমান হাদির ওপর হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ