অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই জাতীয় সনদের সঠিক বাস্তবায়ন জাতিকে অতীতের বোঝা থেকে মুক্ত করবে এবং নতুন বাংলাদেশের পথ দেখাবে।

আজ মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে করা সুপারিশ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন। এ সময় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ও অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রিয়াজের নেতৃত্বে কমিশনের সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টার হাতে এই সুপারিশমালা তুলে ধরেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘কমিশন আজ আমাদের হাতে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের যে কাঠামো তুলে দিচ্ছে, সেটি যদি আমরা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে পারি এবং কাজ এগিয়ে নিতে পারি, তাহলে বাংলাদেশ অতীতের বোঝা থেকে মুক্তি পাবে। আমরা চাই নতুনভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে নিজেদের যুক্ত করতে, এই সনদ সেই পথ দেখাবে।’

‘জাতির ইতিহাসে আজকের দিনটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ’ উল্লেখ করে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমরা যে অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলাম, তার পরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় ছিল জুলাই ঘোষণা। এরপর এসেছিল জুলাই সনদ। আজ তার বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার সূচনা—এটাই আমাদের নতুন অধ্যায়ের শুরু।’

প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রিয়াজসহ সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘তাদের দীর্ঘ ও নিরলস পরিশ্রমের ফলেই আজ আমরা এই ঐতিহাসিক দিনটির সাক্ষী হতে পেরেছি। আজ আমরা তাদের প্রস্তুত করা সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানব এবং তা নিয়ে আলোচনা করব।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ই সনদ

এছাড়াও পড়ুন:

এ দেশে উদ্যোক্তাদের ‘ক্রিমিনাল’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়: রেনাটা এমডি

দেশের উদ্যোক্তাদের ক্রিমিনাল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, সেটি বাদ দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির সহসভাপতি ও রেনাটার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ এস কায়সার কবির। তিনি বলেন, ‘দেশের উদ্যোক্তাদের ক্রিমিনাল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, সেটি বাদ দিতে হবে। উদ্যোক্তাদের স্বীকৃতি দিতে হবে।’

সৈয়দ এস কায়সার কবির আরও বলেন, পণ্য রপ্তানি করে বাড়তি ডলার পেতে হলে ডলারকে বাইরে যেতে দিতে হবে। অর্থাৎ বিদেশে বিনিয়োগ সহজ করতে হবে।

আজ বুধবার প্রথম আলোর আয়োজনে ‘রপ্তানি বৈচিত্র্যকরণ: চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ কথা বলেন বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির সহসভাপতি ও রেনাটার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ এস কায়সার কবির। কারওয়ান বাজারে প্রথম আলোর কার্যালয়ে আজ গোলটেবিল বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। গোলটেবিল বৈঠক আয়োজনে সহায়তা করেছে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ।

সৈয়দ এস কায়সার কবির বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, বিনিয়োগ করবেন না; ওষুধের দাম কমান। ওষুধের দাম কম বললে মন্ত্রণালয় বলে, দাম আরও কমান; আপানারা চুষে খাচ্ছেন। অথচ সময়ের ব্যবধানে ওষুধে নিট মুনাফা ১৫ শতাংশ থেকে কমে ৫ শতাংশ হয়েছে। দুনিয়ার মধ্যে ওষুধের দাম সবচেয়ে কম বাংলাদেশে। দয়া করে আমাদের রক্তচোষা বলবেন না। উদ্যোক্তাদের স্বীকৃতি দিন।’

সৈয়দ এস কায়সার কবির আরও বলেন, ‘ওষুধশিল্পের বৈচিত্র্যকরণ করা উচিত। কারণ, ওষুধে মূল্য সংযোজন অনেক বেশি। আমরা যদি ওষুধ রপ্তানির জন্য আমাদের কোম্পানিগুলো মার্কিন বাজারের সব অনুমোদন করে, তাহলে বাংলাদেশের পণ্যের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়বে। তখন পণ্যের মান নিয়ে কেউ প্রশ্ন করবে না। সে জন্য ওষুধশিল্পের উন্নয়নে জোর দিন।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জকসু প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ ৪২, আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন ৩ জন
  • বিএনপির প্রার্থী বদল চেয়ে নারীদের ঝাড়ু মিছিল
  • এ দেশে উদ্যোক্তাদের ‘ক্রিমিনাল’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়: রেনাটা এমডি
  • হাসিখুশি ছেলেটার এমন মৃত্যু মানতে পারছেন না কেউ