বাংলাদেশের শহুরে সংস্কৃতিতেও ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে দক্ষিণ ভারতীয় খাবার দোসা।  এই খাবারের প্রধান উপাদান চাল ও কলাইয়ের ডাল।  আলুর তরকারি, ঘন ডাল, সবজি, পনির বা নারকেলের চাটনির সঙ্গে দোসা পরিবেশন করা হয়।  বাংলাদেশের কোথাও কোথাও দোসা চাপটি, চাপাতি বা চাপড়ি নামেও পরিচিত। বিকেলের নাস্তায় কিংবা শিশুদের স্কুলের টিফিনে দিতে পারেন এই খাবার। জানিয়ে দিচ্ছি রেপিসি।

উপকরণ
আধা সেদ্ধ করা পোলাওয়ের চাল: ৩ কাপ
কলাইয়ের ডাল: ১ কাপ
খাবার সোডা: পরিমাণ মতো
লবণ:১ চা চামচ
চিনি: আধা চা চামচ

আরো পড়ুন:

জ্বরের রোগীর জন্য ভালো ‘আনারসের ফ্রাইড রাইস’

তিন ধাপে রান্না করুন প্রোটিনে ভরপুর ‘দই মাটন’

প্রথম ধাপ

চাল ও ডাল ৬ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে মিহি করে বেটে ফেলুন অথবা ব্লেন্ডারে মিহি করে ব্লেন্ড করে নিন। চাল-ডাল মিশ্রণটিতে লবণ, চিনি ও পরিমাণ মত পানি মিশিয়ে পাতলা করে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় আরো ৬/৭ ঘণ্টা রাখুন।

দ্বিতীয় ধাপ

এবার একটি নন স্টিক প্যানে তেল ব্রাশ করে হাল্কা আঁচে গরম করুন। তেল গরম হয়ে গেলে পাত্রে এক টেবিল চামচ দোসা তৈরির মিশ্রণ ঢালুন এবং পাত্রের চারদিকে চামচ দিয়ে পাতলা ও গোল করে ছড়িয়ে দিন। দোসার নিচের অংশ হালকা বাদামি হয়ে কোণাগুলো উঠে আসলে বুঝতে হবে দোসা হয়ে গেছে। 

তৃতীয় ধাপ

দোসা প্যান থেকে উঠানোর সময় সাবধানে উঠাতে হবে। চাইলে গোল করে মুড়িয়ে দিতে পারেন অথবা সোজাও রাখতে পারেন।

উল্লেখ্য, প্রতিবার প্যানে দোসার ব্যাটার দেওয়ার আগে প্যানটি নরম তোয়ালে ও লবণ দিয়ে মুছে নিয়ে তেল ব্রাশ করে নিতে পারেন। তাহলে দোসা মুচমুচে হবে।

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

‘এক জলেই সব হয় গো শুচি’—হরিজনপল্লিতে বন্ধুসভার দিনভর আনন্দ আয়োজন

‘এক জলেই সব হয় গো শুচি’—লালনের এই চরণকে সামনে রেখে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমনূরা রেলওয়ে সুইপার কলোনিতে (হরিজনপল্লি) গতকাল শনিবার দিনব্যাপী আয়োজন হয় আনন্দ-আড্ডা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ভূরিভোজের। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ বন্ধুসভা। প্রথম আলোর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘একটি ভালো কাজ’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে এটি ছিল বন্ধুসভার এ বছরের শততম আয়োজন।

সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের আমনূরা জংশন–সংলগ্ন রেলওয়ে কলোনির সুইপার মহল্লার বাসিন্দারা বহু বছর ধরে সামাজিক বৈষম্যের শিকার। স্থানীয় হোটেল-রেস্তোরাঁয় বসে খাওয়ার সুযোগ পান না তাঁরা। এ বৈষম্যের ক্ষত ভুলে তাঁদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে বন্ধুসভার সদস্যরা পল্লিতে যান।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহর থেকে ট্রেনে করে বন্ধুরা আমনূরায় পৌঁছান। স্থানীয় বাজার থেকে খিচুড়ির উপকরণ কিনে কলোনিতে যান তাঁরা। উপকরণ কেটেছেঁটে দেন পল্লির তরুণেরা, রান্নাও করেন তাঁরাই। দুপুরে সবাই মিলে খিচুড়ি ও মুরগির মাংস খেয়ে আনন্দ ভাগাভাগি করেন।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে হরিজনপল্লির শিশুদের সঙ্গে বন্ধুসভার বন্ধুরা একসঙ্গে খাবার খান। গতকাল শনিবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমনূরা রেলওয়ে সুইপার কলোনিতে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘এক জলেই সব হয় গো শুচি’—হরিজনপল্লিতে বন্ধুসভার দিনভর আনন্দ আয়োজন