পাঁচটি উপকরণ দিয়ে তৈরি করা যায় ‘দোসা’
Published: 29th, October 2025 GMT
বাংলাদেশের শহুরে সংস্কৃতিতেও ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে দক্ষিণ ভারতীয় খাবার দোসা। এই খাবারের প্রধান উপাদান চাল ও কলাইয়ের ডাল। আলুর তরকারি, ঘন ডাল, সবজি, পনির বা নারকেলের চাটনির সঙ্গে দোসা পরিবেশন করা হয়। বাংলাদেশের কোথাও কোথাও দোসা চাপটি, চাপাতি বা চাপড়ি নামেও পরিচিত। বিকেলের নাস্তায় কিংবা শিশুদের স্কুলের টিফিনে দিতে পারেন এই খাবার। জানিয়ে দিচ্ছি রেপিসি।
উপকরণ
আধা সেদ্ধ করা পোলাওয়ের চাল: ৩ কাপ
কলাইয়ের ডাল: ১ কাপ
খাবার সোডা: পরিমাণ মতো
লবণ:১ চা চামচ
চিনি: আধা চা চামচ
আরো পড়ুন:
জ্বরের রোগীর জন্য ভালো ‘আনারসের ফ্রাইড রাইস’
তিন ধাপে রান্না করুন প্রোটিনে ভরপুর ‘দই মাটন’
প্রথম ধাপ
চাল ও ডাল ৬ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে মিহি করে বেটে ফেলুন অথবা ব্লেন্ডারে মিহি করে ব্লেন্ড করে নিন। চাল-ডাল মিশ্রণটিতে লবণ, চিনি ও পরিমাণ মত পানি মিশিয়ে পাতলা করে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় আরো ৬/৭ ঘণ্টা রাখুন।
দ্বিতীয় ধাপ
এবার একটি নন স্টিক প্যানে তেল ব্রাশ করে হাল্কা আঁচে গরম করুন। তেল গরম হয়ে গেলে পাত্রে এক টেবিল চামচ দোসা তৈরির মিশ্রণ ঢালুন এবং পাত্রের চারদিকে চামচ দিয়ে পাতলা ও গোল করে ছড়িয়ে দিন। দোসার নিচের অংশ হালকা বাদামি হয়ে কোণাগুলো উঠে আসলে বুঝতে হবে দোসা হয়ে গেছে।
তৃতীয় ধাপ
দোসা প্যান থেকে উঠানোর সময় সাবধানে উঠাতে হবে। চাইলে গোল করে মুড়িয়ে দিতে পারেন অথবা সোজাও রাখতে পারেন।
উল্লেখ্য, প্রতিবার প্যানে দোসার ব্যাটার দেওয়ার আগে প্যানটি নরম তোয়ালে ও লবণ দিয়ে মুছে নিয়ে তেল ব্রাশ করে নিতে পারেন। তাহলে দোসা মুচমুচে হবে।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ফসলি জমিতে লাশ সদৃশ বস্তুর ভেতরে হাড়, লোহার টুকরা, সিঁদুর; এলাকায় চাঞ্চল্য
ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলায় ফসলি জমিতে কাফনের কাপড়ে মোড়ানো লাশ সদৃশ বস্তু উদ্ধার হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় আতঙ্ক ও কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে। বস্তুটির ভেতরে পাওয়া গেছে হাড়, লোহার টুকরা, সিঁদুর, কাঠসহ বিভিন্ন ধরনের উপকরণ। এলাকায় ছড়িয়েছে নানা গুঞ্জন ও চাঞ্চল্য।
আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগরকান্দা উপজেলার জুঙ্গুরদি গ্রামের বাসিন্দা নিজাম উদ্দিনের জমিতে এটি পাওয়া যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিজাম উদ্দিনের জমিতে কাজ করছিলেন মাহাবুর রহমান নামের এক দিনমজুর। কোদাল দিয়ে মাটি খুঁড়তে গিয়ে তিনি হঠাৎ কাফনের কাপড় সদৃশ সাদা কাপড়ে মোড়ানো বস্তুটি দেখতে পান। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি বিষয়টি জমির মালিককে জানান।
খবর পেয়ে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে যান। একপর্যায়ে কৌতূহলী জনতার অনুরোধে কাপড় খোলা হয়। পরে ভেতরে মেলে হাড়, লোহার টুকরা, সিঁদুর ও কাঠসহ বিভিন্ন উপকরণ। পরে আতঙ্ক ও সংশয়ের কারণে বস্তুটি আবার জমির পাশের একটি স্থানে পুঁতে রাখা হয়েছে।
খবরটি ছড়িয়ে পড়লে দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ঘটনাস্থলে ভিড় জমাতে থাকেন। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। কেউ কেউ দাবি করছেন, এটি কালো জাদু বা তান্ত্রিক কর্মকাণ্ডের অংশ। আবার কেউ বলছেন, এটি কোনো পুরোনো কুসংস্কারমূলক আচার। কেউ কেউ আবার ধারণা করছেন, এগুলো কোনো মৃতদেহের হাড় ও সিঁদুর হতে পারে।
তবে বস্তুটি আসলে কী, কে বা কারা এটি মাটির নিচে পুঁতে রেখেছিল—এ বিষয়ে এখনো নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরাজ শারবীন বলেন, ‘বিষয়টি আমরা জেনেছি এবং পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হচ্ছে। কারা বস্তুটি সেখানে রেখেছে এবং এর প্রকৃতি কী—তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
বিষয়টিকে রহস্যজনক উল্লেখ করে নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসুল সামদানী বলেন, তিনি খবর পেয়েছেন। বস্তুটির ভেতরে হাড় ও সিঁদুর পাওয়া গেছে, তবে কোনো মৃতদেহ ছিল না।