দেশের বেসরকারি খাতের অর্ধেকের বেশি কর্মী মনে করেন, আর্থিক চাপ তাঁদের কর্মদক্ষতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তাঁদের মতে, বিমা ও স্বাস্থ্যসেবামূলক বিভিন্ন সুবিধা পেলে প্রতিষ্ঠানের প্রতি কর্মীদের কর্মস্পৃহা বা আনুগত্য বাড়ে। তবে এসব সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে বড় ঘাটতি রয়েছে। এ ছাড়া অধিকাংশ কর্মী জানান, অবসরকালীন কোনো পরিকল্পনা নেই তাঁদের।

বহুজাতিক বিমা কোম্পানি মেটলাইফ বাংলাদেশের করা ‘এমপ্লয়ি বেনিফিট ট্রেন্ড স্টাডি ২০২৫’ শীর্ষক এক জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই জরিপের ফল প্রকাশ করা হয়। এতে বেসরকারি খাতের কর্মী ও নিয়োগদাতাদের অগ্রাধিকার, চ্যালেঞ্জ ও প্রত্যাশা উঠে এসেছে।

২০০২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম এমন গবেষণা শুরু করেছিল মেটলাইফ। পরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এটি করা হয়। তবে বাংলাদেশে এই প্রথমবার এ ধরনের গবেষণা পরিচালনা করেছে কোম্পানিটি। এতে তৈরি পোশাক খাত, বেসরকারি সংস্থা (এনজিও), ব্যাংক, এফএমসিজি, টেলিকম, খুচরা বিক্রয়সহ বিভিন্ন খাতের ৫৭১ জন পূর্ণকালীন কর্মী এবং ১৪২ জন নিয়োগকর্তাসহ মোট ৭১৩ জনের মতামত নেওয়া হয়।

জরিপে দেখা গেছে, দেশের বেসরকারি খাতের ৫৬ শতাংশ কর্মী তাঁদের আর্থিক অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন। এই উদ্বেগের কারণে কর্মক্ষমতা ও উৎপাদনশীলতা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। প্রায় ৬৯ শতাংশ কর্মী মনে করেন, তাঁদের আর্থিক অবস্থার উন্নয়ন নিশ্চিতে নিয়োগকর্তাদের সক্রিয় ভূমিকা পালন করা উচিত। একইভাবে ৬৭ শতাংশ কর্মী চান, প্রতিষ্ঠান যেন তাঁদের অবসরকালীন সঞ্চয়ে সহায়তা করে।

দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক নিরাপত্তা নিয়ে কর্মীদের বড় উদ্বেগ রয়েছে। বড় খরচের জন্য সঞ্চয়, অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতিতে পরিবারের নিরাপত্তা, চিকিৎসা ব্যয়, বাড়ি বা ফ্ল্যাট ক্রয়, ঋণ পরিশোধ ও বয়স্ক নির্ভরশীলদের ব্যয়ই তাঁদের প্রধান চিন্তার বিষয়।

মানসিক ও আর্থিক উদ্বেগ বাড়ছে

মেটলাইফের জরিপে দেখা গেছে, কর্মক্ষেত্রে ইতিবাচক মনোভাব থাকলেও মানসিক ও আর্থিক নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। বেসরকারি খাতের ৩০ শতাংশ কর্মী নিজেদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তিত, আর ৩১ শতাংশ কর্মী তাঁদের আর্থিক নিরাপত্তা নিয়ে সন্তুষ্ট নন বলে জানান।

তবে আশার খবর হলো, দেশের বেসরকারি খাতের ৭২ শতাংশ কর্মী বিশ্বাস করেন, তাঁদের প্রতিষ্ঠান কর্মীদের প্রতি যত্নশীল। অঞ্চলভেদে দেখা যায়, চট্টগ্রাম অঞ্চলের কর্মীরা ঢাকার তুলনায় বেশি সন্তুষ্ট। যেমন মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে যেখানে ঢাকার ৬৯ শতাংশ কর্মী সন্তুষ্ট, সেখানে চট্টগ্রামে এই হার ৭৮ শতাংশ। নারী কর্মীদের ক্ষেত্রে এই সন্তুষ্টির মাত্রা অবশ্য পুরুষ কর্মীদের তুলনায় কম।

কাজের চাপ বৃদ্ধি, উন্নতির সুযোগের অভাব, আর্থিক অনিশ্চয়তা, কাজের ওপর নিয়ন্ত্রণ না থাকা, অফিস সময়ের বাইরেও কাজের জন্য সময় দেওয়া, অফিসে ও বাসায় জীবনের ভারসাম্যহীনতা, কাজের পরিবেশ ভালো না হওয়া এবং চাকরির নিরাপত্তাহীনতাকে মানসিক স্বাস্থ্যে অবনতি ঘটার মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন কর্মীরা।

কী চান কর্মীরা

মেটলাইফের এই জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় ৪৩ শতাংশ বেসরকারি কর্মী বলেছেন, অপ্রত্যাশিত আর্থিক চাপে পড়লে প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়তি সহায়তা আশা করেন তাঁরা। কর্মীদের মতে, কর্মক্ষেত্রে যে ১০টি সুবিধা থাকা উচিত, তার মধ্যে রয়েছে—ছুটির নীতিতে নমনীয়তা, জরুরি মুহূর্তে ছুটির সংখ্যা বাড়ানো, মানোন্নয়নের প্রশিক্ষণ, মাতৃত্ব ও পিতৃত্বকালীন ছুটির সময় বৃদ্ধি, জীবনবিমা সুবিধা, মানসিক স্বাস্থ্যসেবা এবং ডে-কেয়ার বা দিবাযত্নের মতো সুবিধা ইত্যাদি।

এ ছাড়া কর্মীরা জানান, তাঁরা এমন ধরনের প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে আগ্রহী, যেখানে উন্নয়ন ও অগ্রগতির সুযোগ আছে, সহানুভূতিশীল সংস্কৃতি বিদ্যমান এবং প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য স্পষ্ট ও ইতিবাচক।

তবে অনেক কর্মী জানিয়েছেন, প্রতিষ্ঠান যেসব সুবিধা দেয়, সে সম্পর্কে তাঁদের পর্যাপ্ত ধারণা নেই। প্রায় ৭০ শতাংশ কর্মী জানিয়েছেন, যদি তাঁরা জানতেন সহকর্মীরা কীভাবে সুবিধা নিচ্ছেন, তাহলে তাঁরাও তা বেশি ব্যবহার করতেন।

জরিপ প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের বেসরকারি খাতের ৫২ শতাংশ কর্মীর নির্দিষ্ট কোনো অবসর পরিকল্পনা নেই। মেটলাইফের মতে, এটি কর্মীদের ভবিষ্যৎ আর্থিক স্থিতি এবং সংস্থার দীর্ঘমেয়াদি স্থায়িত্বের জন্য একটি উদ্বেগজনক দিক। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় অর্ধেক কর্মী চান নিয়োগদাতা তাঁদের সঞ্চয়কে আয়ে রূপান্তরের ক্ষেত্রে সহায়তা করুক।

নিয়োগকর্তাদের জন্য পরামর্শ

কর্মীদের সুস্বাস্থ্য ও প্রতিষ্ঠানের সাফল্যের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করতে মেটলাইফ পাঁচটি পদক্ষেপের সুপারিশ করেছে। এগুলো হচ্ছে বিমাসুবিধার ব্যবধান কমানো, কর্মীর আর্থিক চাপ মোকাবিলায় সামগ্রিক সমর্থন দেওয়া, সুবিধাগুলোকে ব্যক্তিগত ও ডিজিটালভাবে সহজলভ্য করা, সহানুভূতি ও নমনীয়তার সঙ্গে কর্মীর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনায় সহায়তা প্রদান, অবসরকালীন প্রস্তুতিতে কর্মীদের সহায়তা করা ইত্যাদি।

মেটলাইফ বাংলাদেশের মতে, দেশের কর্মক্ষেত্র দ্রুত বদলে যাচ্ছে। কর্মীরা শুধু এখন চাকরি নয়, বরং এমন কর্মক্ষেত্র চাইছেন, যেখানে তাঁরা মানসিক, আর্থিক ও সামাজিকভাবে নিরাপদ বোধ করেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দ শ র ব সরক র দ র আর থ ক সন ত ষ ট কর ম দ র কর ম র র জন য র কর ম উদ ব গ শ কর ম ন কর ম

এছাড়াও পড়ুন:

৫৬ শতাংশ কর্মী তাঁদের আর্থিক অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন

দেশের বেসরকারি খাতের অর্ধেকের বেশি কর্মী মনে করেন, আর্থিক চাপ তাঁদের কর্মদক্ষতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তাঁদের মতে, বিমা ও স্বাস্থ্যসেবামূলক বিভিন্ন সুবিধা পেলে প্রতিষ্ঠানের প্রতি কর্মীদের কর্মস্পৃহা বা আনুগত্য বাড়ে। তবে এসব সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে বড় ঘাটতি রয়েছে। এ ছাড়া অধিকাংশ কর্মী জানান, অবসরকালীন কোনো পরিকল্পনা নেই তাঁদের।

বহুজাতিক বিমা কোম্পানি মেটলাইফ বাংলাদেশের করা ‘এমপ্লয়ি বেনিফিট ট্রেন্ড স্টাডি ২০২৫’ শীর্ষক এক জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই জরিপের ফল প্রকাশ করা হয়। এতে বেসরকারি খাতের কর্মী ও নিয়োগদাতাদের অগ্রাধিকার, চ্যালেঞ্জ ও প্রত্যাশা উঠে এসেছে।

২০০২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম এমন গবেষণা শুরু করেছিল মেটলাইফ। পরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এটি করা হয়। তবে বাংলাদেশে এই প্রথমবার এ ধরনের গবেষণা পরিচালনা করেছে কোম্পানিটি। এতে তৈরি পোশাক খাত, বেসরকারি সংস্থা (এনজিও), ব্যাংক, এফএমসিজি, টেলিকম, খুচরা বিক্রয়সহ বিভিন্ন খাতের ৫৭১ জন পূর্ণকালীন কর্মী এবং ১৪২ জন নিয়োগকর্তাসহ মোট ৭১৩ জনের মতামত নেওয়া হয়।

জরিপে দেখা গেছে, দেশের বেসরকারি খাতের ৫৬ শতাংশ কর্মী তাঁদের আর্থিক অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন। এই উদ্বেগের কারণে কর্মক্ষমতা ও উৎপাদনশীলতা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। প্রায় ৬৯ শতাংশ কর্মী মনে করেন, তাঁদের আর্থিক অবস্থার উন্নয়ন নিশ্চিতে নিয়োগকর্তাদের সক্রিয় ভূমিকা পালন করা উচিত। একইভাবে ৬৭ শতাংশ কর্মী চান, প্রতিষ্ঠান যেন তাঁদের অবসরকালীন সঞ্চয়ে সহায়তা করে।

দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক নিরাপত্তা নিয়ে কর্মীদের বড় উদ্বেগ রয়েছে। বড় খরচের জন্য সঞ্চয়, অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতিতে পরিবারের নিরাপত্তা, চিকিৎসা ব্যয়, বাড়ি বা ফ্ল্যাট ক্রয়, ঋণ পরিশোধ ও বয়স্ক নির্ভরশীলদের ব্যয়ই তাঁদের প্রধান চিন্তার বিষয়।

মানসিক ও আর্থিক উদ্বেগ বাড়ছে

মেটলাইফের জরিপে দেখা গেছে, কর্মক্ষেত্রে ইতিবাচক মনোভাব থাকলেও মানসিক ও আর্থিক নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। বেসরকারি খাতের ৩০ শতাংশ কর্মী নিজেদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তিত, আর ৩১ শতাংশ কর্মী তাঁদের আর্থিক নিরাপত্তা নিয়ে সন্তুষ্ট নন বলে জানান।

তবে আশার খবর হলো, দেশের বেসরকারি খাতের ৭২ শতাংশ কর্মী বিশ্বাস করেন, তাঁদের প্রতিষ্ঠান কর্মীদের প্রতি যত্নশীল। অঞ্চলভেদে দেখা যায়, চট্টগ্রাম অঞ্চলের কর্মীরা ঢাকার তুলনায় বেশি সন্তুষ্ট। যেমন মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে যেখানে ঢাকার ৬৯ শতাংশ কর্মী সন্তুষ্ট, সেখানে চট্টগ্রামে এই হার ৭৮ শতাংশ। নারী কর্মীদের ক্ষেত্রে এই সন্তুষ্টির মাত্রা অবশ্য পুরুষ কর্মীদের তুলনায় কম।

কাজের চাপ বৃদ্ধি, উন্নতির সুযোগের অভাব, আর্থিক অনিশ্চয়তা, কাজের ওপর নিয়ন্ত্রণ না থাকা, অফিস সময়ের বাইরেও কাজের জন্য সময় দেওয়া, অফিসে ও বাসায় জীবনের ভারসাম্যহীনতা, কাজের পরিবেশ ভালো না হওয়া এবং চাকরির নিরাপত্তাহীনতাকে মানসিক স্বাস্থ্যে অবনতি ঘটার মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন কর্মীরা।

কী চান কর্মীরা

মেটলাইফের এই জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় ৪৩ শতাংশ বেসরকারি কর্মী বলেছেন, অপ্রত্যাশিত আর্থিক চাপে পড়লে প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়তি সহায়তা আশা করেন তাঁরা। কর্মীদের মতে, কর্মক্ষেত্রে যে ১০টি সুবিধা থাকা উচিত, তার মধ্যে রয়েছে—ছুটির নীতিতে নমনীয়তা, জরুরি মুহূর্তে ছুটির সংখ্যা বাড়ানো, মানোন্নয়নের প্রশিক্ষণ, মাতৃত্ব ও পিতৃত্বকালীন ছুটির সময় বৃদ্ধি, জীবনবিমা সুবিধা, মানসিক স্বাস্থ্যসেবা এবং ডে-কেয়ার বা দিবাযত্নের মতো সুবিধা ইত্যাদি।

এ ছাড়া কর্মীরা জানান, তাঁরা এমন ধরনের প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে আগ্রহী, যেখানে উন্নয়ন ও অগ্রগতির সুযোগ আছে, সহানুভূতিশীল সংস্কৃতি বিদ্যমান এবং প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য স্পষ্ট ও ইতিবাচক।

তবে অনেক কর্মী জানিয়েছেন, প্রতিষ্ঠান যেসব সুবিধা দেয়, সে সম্পর্কে তাঁদের পর্যাপ্ত ধারণা নেই। প্রায় ৭০ শতাংশ কর্মী জানিয়েছেন, যদি তাঁরা জানতেন সহকর্মীরা কীভাবে সুবিধা নিচ্ছেন, তাহলে তাঁরাও তা বেশি ব্যবহার করতেন।

জরিপ প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের বেসরকারি খাতের ৫২ শতাংশ কর্মীর নির্দিষ্ট কোনো অবসর পরিকল্পনা নেই। মেটলাইফের মতে, এটি কর্মীদের ভবিষ্যৎ আর্থিক স্থিতি এবং সংস্থার দীর্ঘমেয়াদি স্থায়িত্বের জন্য একটি উদ্বেগজনক দিক। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় অর্ধেক কর্মী চান নিয়োগদাতা তাঁদের সঞ্চয়কে আয়ে রূপান্তরের ক্ষেত্রে সহায়তা করুক।

নিয়োগকর্তাদের জন্য পরামর্শ

কর্মীদের সুস্বাস্থ্য ও প্রতিষ্ঠানের সাফল্যের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করতে মেটলাইফ পাঁচটি পদক্ষেপের সুপারিশ করেছে। এগুলো হচ্ছে বিমাসুবিধার ব্যবধান কমানো, কর্মীর আর্থিক চাপ মোকাবিলায় সামগ্রিক সমর্থন দেওয়া, সুবিধাগুলোকে ব্যক্তিগত ও ডিজিটালভাবে সহজলভ্য করা, সহানুভূতি ও নমনীয়তার সঙ্গে কর্মীর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনায় সহায়তা প্রদান, অবসরকালীন প্রস্তুতিতে কর্মীদের সহায়তা করা ইত্যাদি।

মেটলাইফ বাংলাদেশের মতে, দেশের কর্মক্ষেত্র দ্রুত বদলে যাচ্ছে। কর্মীরা শুধু এখন চাকরি নয়, বরং এমন কর্মক্ষেত্র চাইছেন, যেখানে তাঁরা মানসিক, আর্থিক ও সামাজিকভাবে নিরাপদ বোধ করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ