প্রাথমিক শিক্ষার বিষয়ে সরকার জন–আকাঙ্ক্ষার পরিপন্থী কোনো পদক্ষেপ নেবে না বলে জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, সরকার জুলাই বিপ্লবের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে একটি বৈষম্যমুক্ত, ন্যায়ানুগ ও ইনসাফভিত্তিক সমৃদ্ধ রাষ্ট্র গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এ নতুন অভিযাত্রায় সরকার গণমানুষের আকাঙ্ক্ষাকে মাথায় রেখেই পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। কোনো ইস্যুকে ঘিরে সমাজে বিশৃঙ্খলা কিংবা জনরোষের সৃষ্টি হয়—এমন কোনো সিদ্ধান্ত সরকার নেবে না।

আরও পড়ুনহার্ভার্ডের গবেষণা বলছে, মূল্য হারাতে বসেছে ১০ ডিগ্রি২৮ অক্টোবর ২০২৫

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টাকে উদ্ধৃত করে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, সরকারের নীতি ও পলিসিকে বিবেচনায় রেখেই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সব ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকে। এ মন্ত্রণালয়ের যেকোনো প্রদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে জনস্বার্থ ও গণ–আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে। তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে প্রাথমিক স্তরে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার ক্লাসের সংখ্যা আগের চেয়ে বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিতদের পাশাপাশি মাদ্রাসা শিক্ষায় শিক্ষিত স্নাতক ডিগ্রিধারীদেরও সমান সুযোগ রয়েছে।

আরও পড়ুনআইডিবিতে ৭২০ ঘণ্টা প্রশিক্ষণ, মেলে হাতখরচও, আবেদন শেষ ৩০ অক্টোবর৩ ঘণ্টা আগে

এর আগে দুই উপদেষ্টা প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন, ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার প্রসার, শিক্ষক নিয়োগ প্রভৃতি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। এ সময় অন্যান্যর মধ্যে ধর্ম উপদেষ্টার একান্ত সচিব ছাদেক আহমদ উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুনঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে আবেদন শুরু আজ, ৫ ইউনিটের আদ্যপান্ত জেনে নিন ১ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে হেবা সম্পত্তী সাইনবোর্ড উপড়ে ফেলায় থানায় অভিযোগ 

বন্দরে হেবা সম্পত্তী সাইনবোর্ড উপড়ে ফেলার ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে হেবা সম্পত্তী মালিক আতাউর রহমান বাদী হয়ে প্রতিপক্ষ ফারুকের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।

এর আগে গত শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর)  রাতে বন্দর ইউনিয়নের কুশিয়ারা মৌজাস্থ পদুঘর এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।

অভিযোগের তথ্য সূত্রে জানা গেছে, গত গত ২১ সেপ্টেম্বর বন্দর থানার কদম রসুল রোড এলাকার গোলাম মোস্তফা মিয়ার ছেলে আতাউর রহমানের চাচী ফিরোজা বেগম তার পৈত্রিক সম্পত্তী ১৬ শতাংশ ১৬ পয়েন্ট জায়গা বিল এওয়াজ হেবা দলিল নং- ৬৩৯১ মূলে তার ভাতিজা আতাউর রহমানকে বুঝিয়ে দেয়। যার নামজারী নং- ৮৩৯(১ী-১) / ২০২৫-২৬।

এদিকে উল্লেখিত সম্পত্তী ভাতিজা আতাউর রহমান প্রাপ্ত হয়ে সে  নামজারী নং-৪৬৬৭(১ী-১) ২০২৫-২৬ করে উক্ত সম্পত্তি ভোগ দখলে আছে।

সম্প্রতি ভাতিজা আতাউর রহমান তার প্রাপ্ত সম্পত্তী উপর সাইনবোর্ড স্থাপন করলে এর জের ধরে গত শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বন্দর থানার নবীগঞ্জ উত্তরপাড়া এলাকার মৃত নুরু মিয়া কন্ট্রাকটারের ছেলে ফারুকসহ অজ্ঞাত নামা ভূমিদৎসুরা জমিতে লাগানো সাইনবোর্ড উপরে ফেলে দেয়।

এ ছাড়াও প্রতিপক্ষ ফারুক মিয়া গত শুক্রবার বিকেলে তার ব্যবহারকৃত ০১৭২৭৪০৮১৬০ নাম্বার থেকে আতাউর রহমানের ব্যবহারকৃত ০১৭১১৪৭৭৪৪৫ নাম্বারের সাইনবোর্ড নিয়ে গেলাম পারলে কিছু করিস। এ বিষয়ে বেশী বারাবারি করলে প্রানে মেরে ফেলবে বলে হুমকি প্রদান করে। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ