সুনামগঞ্জের ধোপাজান নদীর বালু লুট বন্ধসহ বিভিন্ন দাবিতে এনসিপির মানববন্ধন
Published: 29th, October 2025 GMT
সুনামগঞ্জের ধোপাজান নদীর বালু লুট বন্ধ, সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়ক চার লেনে উন্নীত করাসহ বিভিন্ন দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জেলা শাখার নেতা–কর্মীরা।
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের আলফাত স্কয়ার এলাকায় আজ বুধবার দুপুরে এই কর্মসূচি পালন করেন এনসিপির নেতা-কর্মীরা। এতে বিভিন্ন উপজেলা থেকে সংগঠনের নেতা–কর্মীরা এসে যোগ দেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সুনামগঞ্জ সদর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলাজুড়ে ধোপাজান নদীর অবস্থান। ২০১৮ সাল থেকে এই নদীর ইজারা বন্ধ আছে। এর মধ্যেও বিভিন্ন সময় অবৈধভাবে বালু তোলা হয়েছে। বিশেষ করে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর এই নদীতে প্রকাশ্যে বালু লুট শুরু হয়।
টানা আড়াই মাসে প্রায় ১০০ কোটি টাকার বালু লুট হয়েছে এই নদী থেকে। এর মধ্যেই গত মাসে এই নদী থেকে ‘লিমপিড ইঞ্জিনিয়ারিং’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে ১ কোটি ২১ লাখ ঘনফুট বালু (বিটি বালু) উত্তোলনের অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। ওই প্রতিষ্ঠান সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের চলমান কাজে এই বালু ব্যবহার করবে বলে জানানো হয়েছে। কিন্তু এখন নদী থেকে অবাধে ড্রেজার দিয়ে বালু তুলে বিক্রি করছে তারা। এতে এলাকার প্রকৃতি ও পরিবেশ হুমকির মুখে পড়েছে।
মানববন্ধনে বলা হয়, ড্রেজারে বালু তোলা সাধারণ শ্রমিকেরা বিপাকে পড়েছেন। অথচ এই নদী থেকে বালু উত্তোলনের অনুমতি দেওয়ার এখতিয়ার নেই বিআইডব্লিউটিএর। একটি বালুখেকো সিন্ডিকেট এখানে বালু লুটে জড়িত আছে।
বক্তারা বলেন, সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে গত ৯ মাসে দুর্ঘটনায় ৭০ জন মানুষ মারা গেছেন। সড়কটি সরু হওয়ার কারণে দুর্ঘটনা বেশি ঘটছে। সড়কটি চার লেনে উন্নীত না করলে দুর্ঘটনা কমবে না। এ ছাড়া সুনামগঞ্জের হাওর এলাকার মানুষের স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির ভরসার জায়গা জেলা সদর হাসপাতাল। অথচ এই হাসপাতালে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক নেই। আছে নানা অব্যবস্থাপনা। এতে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন মানুষ।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন এনসিপির জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ছালেহ মো.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী অজয় চন্দ্র বর্মণের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
আজ মঙ্গলবার বেলা পৌনে একটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মিছিল শুরু করেন বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি প্রশাসনিক ভবনের সামনে দিয়ে ঘুরে গোলচত্বরে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেন—‘প্রহসনের বহিষ্কার, মানি না মানব না’, ‘অজয়ের বহিষ্কারাদেশ, প্রত্যাহার করতেই হবে’, ‘জাস্টিস ফর অজয় বর্মণ’ ইত্যাদি।
মানববন্ধনে বাংলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী জুয়েল হোসেন বলেন, ‘অজয় জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সামনের সারিতে ছিল। অস্ত্র ও মাদকসংশ্লিষ্টতার অভিযোগে প্রশাসনের এই অযৌক্তিক বহিষ্কার পুনর্বিবেচনার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা প্রশাসনের কাছে কয়েকবার গিয়েছি, কিন্তু কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।’
একই বর্ষের আরেক শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ বলেন, ‘প্রশাসন আপিলের সুযোগ দিয়েছে। আমরা বলছি, অজয় কোনো মাদক ও অস্ত্রের সঙ্গে জড়িত নয়। এই বহিষ্কারাদেশ অন্যায্য। আমাদের জুনিয়রের ওপর এমন অবিচার হতে দেব না। আমরা বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দিচ্ছি, দ্রুত সময়ে অজয়ের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করতে হবে। তা না হলে আমরা কঠোর আন্দোলনের দিকে যাব।’
২৫ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ২৩৭তম সভায় জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা এবং আবাসিক হলে অস্ত্র ও মাদক রাখার দায়ে ৫৪ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করে কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে শাহপরাণ হলের কক্ষে অস্ত্র ও মাদক রাখার অভিযোগে অজয় চন্দ্র বর্মণকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়। অজয় চন্দ্র বর্মণ বাংলা বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।