ষষ্ঠ কিস্তির অর্থ ছাড় নিয়ে আইএমএফের সঙ্গে আলোচনা শুরু
Published: 29th, October 2025 GMT
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) আর্টিকেল ফোর মিশন ঢাকা এসেছে। পাশাপাশি আইএমএফের সঙ্গে বাংলাদেশের চলমান ৫৫০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ কর্মসূচির ষষ্ঠ কিস্তির অর্থ ছাড় নিয়ে পঞ্চম পর্যালোচনা করতে সংস্থাটির আরেকটি দলও এখন ঢাকায় আছে। উভয় দলই এসেছে দুই সপ্তাহের সফরে। তারা বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করবে।
আজ বুধবার আইএমএফ মিশনের বৈঠক ছিল বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ বিভাগ ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সঙ্গে। বাংলাদেশের দিক থেকে অর্থসচিব মো.
আইএমএফের গবেষণা বিভাগের ডেভেলপমেন্ট ম্যাক্রো ইকোনমিকসের প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিওর নেতৃত্বে আসা প্রতিনিধিদলটি আজ অর্থসচিবের সঙ্গে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী বৈঠকে এবারের মিশনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরে। আগেরবারের মিশনের নেতৃত্বও দিয়েছিলেন এই ক্রিস পাপাজর্জিও।
জানা গেছে, আইএমএফের ‘পরিমাণগত কর্মক্ষমতা মানদণ্ড’ (কোয়ান্টিটেটিভ পারফরম্যান্স ক্রাইটেরিয়া বা কিউপিসি) কতটা পূরণ করেছে, তা নিয়ে সংস্থাটি এবার বেশি আলোচনা করবে। কিউপিসি হচ্ছে আইএমএফের বাধ্যতামূলক শর্ত।
আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত আইএমএফকে দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো পূরণে সরকার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে সেগুলো জানতে চাইবে আইএমএফের আর্টিকেল ফোর মিশন। বৈঠকে বিশেষ গুরুত্ব পাবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, বিদ্যুৎ খাতের বকেয়া কমানো, প্রবাসী আয়ের (রেমিট্যান্স) বিপরীতে প্রণোদনা দেওয়া কমিয়ে আনা ইত্যাদি।
অর্থ বিভাগের শীর্ষ পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানান, বিদ্যুৎ খাতের বকেয়া কমিয়ে ২৮ হাজার কোটি টাকার নিচে আনতে বলেছিল আইএমএফ। এটা পূরণ হয়েছে বেশ আগেই। তবে এটা যেহেতু চলমান প্রক্রিয়া, তাই নতুন বকেয়াও জমছে।
আইএমএফের সঙ্গে চলমান ৫৫০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ কর্মসূচি থেকে ষষ্ঠ কিস্তির অর্থ বাংলাদেশের পাওয়ার কথা চলতি বছরের ডিসেম্বরের দিকে। কিন্তু ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এরপর আসবে নির্বাচিত সরকার। সে কারণে এবার পঞ্চম পর্যালোচনা হলেও সংস্থাটি ষষ্ঠ কিস্তির অর্থ ছাড়ের সিদ্ধান্ত নির্বাচিত সরকারের সময়ই নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জানতে চাইলে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, একটা কথা শোনা যাচ্ছে যে পরের কিস্তি পাওয়া যাবে নির্বাচিত সরকারের সময়। কর্মসূচির আকার বাড়ল গত জুনে। তখনো তো ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে যে নির্বাচন হবে এ তথ্য সবার জানা। তাহলে নির্বাচিত সরকারের সময় ষষ্ঠ কিস্তির অর্থ ছাড়ের বিষয়টি আসছে কেন, তা বোধগম্য নয়।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন র ব চ ত সরক র আইএমএফ র সরক র র
এছাড়াও পড়ুন:
২০২৬ সালে চাকরিতে বেতন বাড়াতে চান? চার দক্ষতার অনুশীলন শুরু করুন এখনই
বছর শেষে ডিসেম্বর মাস এলেই প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে কাজের গতি অনেকটাই কমে আসে। কর্মস্থলে চলে মন্থরগতিতে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই মাসটিই হতে পারে নতুন বছরে পেশাগত সাফল্যের জন্য এগিয়ে থাকার সেরা সময়। মনে রাখবেন আপনার প্রতিষ্ঠান নতুন বছরে নিয়োগের পরিকল্পনা, পদন্নোতি ও বাজেট কিন্তু চূড়ান্ত করছে। ফলে আপনি যদি নিজেকে ঠিকঠাক দক্ষ করে তুলতে পারেন, তবে তা সরাসরি আপনার ভবিষ্যৎ বেতন ও কর্মজীবনের সম্ভাবনাকে প্রভাবিত করবে।
বিশেষ করে প্রযুক্তির দ্রুত পরিবর্তনের এই সময়ে কিছু দক্ষতা দ্রুত অপরিহার্য হয়ে উঠছে। যেমন টমস গাইডের এক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, যাঁরা দৈনন্দিন কাজে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ব্যবহার করেন, তাঁরা সহকর্মীদের তুলনায় প্রায় ৪০ শতাংশ বেশি উপার্জন করেন। লাইটকাস্টের প্রতিবেদন অনুসারে, এআই দক্ষতার উল্লেখ থাকা চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে সাধারণত ২৮ শতাংশ বেশি বেতন দেওয়া হয়।
অনুশীলন শুরু করুন এখনই, ২০২৬ সালে ফল পাবেন—এআই প্রম্পটিংয়ে দক্ষতা বাড়ান—
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এখন আর কেবল ভবিষ্যতের ধারণা নয়; বর্তমানে প্রায় প্রতিটি আধুনিক প্রতিষ্ঠান এটির ব্যবহার শুরু করেছে। নিয়োগকর্তারা এখন এমন কর্মী খুঁজছেন, যারা জটিল ডেটা থেকে নতুন ধারণা তৈরি করতে পারে। পুনরাবৃত্তিমূলক কাজগুলো স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়ায় করতে এআই টুলস কার্যকরভাবে ব্যবহার করার দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
আপনার হাতের কাছে থাকা এআই টুলস যেমন চ্যাটজিপিটি বা জেমিনি দিয়ে শুরু করুন। প্রতিদিনের একটি পুনরাবৃত্তিমূলক কাজ (যেমন রুটিন রিপোর্ট বা ইমেল টেমপ্লেট তৈরি) বেছে নিন। এরপর সেই কাজটির মান উন্নত করতে দুইটি ভিন্ন প্রম্পট ব্যবহার করে দেখুন। উদাহরণস্বরূপ, দীর্ঘ ই–মেইলকে সংক্ষিপ্ত বার্তায় পরিণত করতে মডেলকে নির্দেশ দিতে পারেন। এক মাসের মধ্যে আপনি দেখবেন, আপনার কাজের গতি বেড়েছে এবং আপনি ধারাবাহিকভাবে উচ্চ মানের আউটপুট তৈরি করতে পারছেন। এটি কর্মস্থলে আপনার মূল্য সরাসরি বাড়িয়ে দেবে।
ছবি: রয়টার্স