বনানীতে স্পা সেন্টারে অভিযানে গ্রেপ্তার ৬, ভুক্তভোগী ১২ নারীকে উদ্ধার
Published: 11th, December 2025 GMT
দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে কম বয়সের নারীদের ঢাকায় এনে বাধ্যতামূলকভাবে যৌনকর্মে নিয়োজিত করার অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর বনানীর ‘রিলাক জোন বিউটি পারলার অ্যান্ড সেলুন’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের স্পা সেন্টারে অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়। এ সময় ১২ জন ভুক্তভোগী নারীকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে সাতজন অপ্রাপ্তবয়স্ক।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন জাহাঙ্গীর আলম (৩৭), রাকিবুল ইসলাম (২৫), গোলাম মোর্শেদ ওরফে সৌমিক (২৬), রাব্বি ইব্রাহীম (২৩), জহিরুল (৩৩) ও শ্যামল কুমার (৪৭)।
সিআইডির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বনানী এলাকায় একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে রিলাক জোন বিউটি পারলার অ্যান্ড সেলুন পরিচালনা করা হচ্ছিল। অভিযানের সময় দেখা যায়, ফ্ল্যাটের একাধিক কক্ষে নানা জেলা থেকে আনা কম বয়সী নারীদের জড়ো করে রাখা হয়েছে। এ সময় ১২ জন ভুক্তভোগী নারীকে উদ্ধার করা হয়। আটক করা হয় ছয়জনকে।
আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বনানী থানায় মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা করা হয়েছে। এ মামলায় পারলারটির স্পা সেন্টারের মালিক মোবারক আলী ওরফে সবুজকেও (৩৬) আসামি করা হয়েছে।
সিআইডি বলছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উচ্চ বেতনের চাকরি, বিউটি পারলারে নিরাপদ কাজ, থাকার ব্যবস্থাসহ বৈধ কর্মসংস্থানের প্রলোভন দেখিয়ে প্রত্যন্ত এলাকা থেকে এসব নারীকে ঢাকায় আনা হয়েছে। পরে তাঁদের চাপ প্রয়োগ, ভয়ভীতি ও মিথ্যা প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে নানা কৌশলে স্পা সেন্টারের আড়ালে যৌনকর্মে বাধ্য করা হচ্ছিল।
ভবনের মালিক দেলোয়ার হোসেন পলাতক। তিনি অবৈধ ও অনৈতিক কাজে ব্যবহার করা হবে জেনেও ফ্ল্যাটটি ভাড়া দিয়েছেন বলে সিআইডির তদন্তে প্রাথমিকভাবে উঠে এসেছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স আইড
এছাড়াও পড়ুন:
চানখাঁরপুলে ছয়জনকে হত্যার মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ, যুক্তিতর্ক ১৫ ডিসেম্বর
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর চানখাঁরপুল এলাকায় ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ বুধবার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। ১৫ ডিসেম্বর থেকে এ মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হবে।
আজ এ মামলার আসামি শাহবাগ থানার সাবেক পরিদর্শক মো. আরশাদ হোসেনের পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য দেন জুয়েল মাহমুদ। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ আজ তাঁর সাক্ষ্য গ্রহণ হয়। এর মধ্য দিয়ে এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
গত বছরের ৫ আগস্ট রাজধানীর চানখাঁরপুল এলাকায় ছয়জনকে হত্যার মধ্য দিয়ে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ আটজনকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে হাবিবুর রহমানসহ চার আসামি পলাতক। আর আরশাদ হোসেন, সাবেক কনস্টেবল সুজন হোসেন, ইমাজ হোসেন ও মো. নাসিরুল ইসলাম গ্রেপ্তার আছেন। আরশাদের পক্ষে গতকাল মঙ্গলবার দুজন ও আজ একজন সাফাই সাক্ষ্য দিলেন।
আরও পড়ুনচানখাঁরপুলে ছয়জনকে হত্যা করে মানবতাবিরোধী অপরাধ করা হয়েছে: চিফ প্রসিকিউটর১১ আগস্ট ২০২৫জবানবন্দিতে সাফাই সাক্ষ্যতে জুয়েল মাহমুদ বলেন, তিনি জামায়াতে ইসলামীর একজন কর্মী এবং জুলাই যোদ্ধা। গত বছরের ৫ আগস্ট হাইকোর্টের সামনে পৌঁছালে তাঁরা সেনাবাহিনীর বাধার মুখে পড়েন। পরে তাঁরা ১০-১৪ জন আন্দোলনকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের সামনের চেকপোস্টে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন। সেখানে তিনি পূর্বপরিচিত তৎকালীন পরিদর্শক আরশাদকে দেখতে পান। আরশাদ তাঁদের শহীদ মিনারের দিকে যেতে দেন।