অস্ট্রেলিয়া এখন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের অন্যতম জনপ্রিয় একটি গন্তব্য। সরকারি-বেসরকারি নানা বৃত্তি নিয়ে অনেক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা করছেন। দেশটির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজস্ব শিক্ষাবৃত্তি আছে। তেমনই একটি স্কলারশিপ ‘গ্র্যাজুয়েট রিসার্চ স্কলারশিপ’ । এটি দেশটির মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয় দেয় বিদেশি শিক্ষার্থীদের।

এ স্কলারশিপের আওতায় বিদেশি শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডিতে পড়ার সুযোগ দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়টি। বাংলাদেশসহ যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। ১৮৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়। অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে অবস্থিত এটি একটি পাবলিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট। এর মূল ক্যাম্পাসটি পার্কভিলে অবস্থিত।

আরও পড়ুনহার্ভার্ডের গবেষণা বলছে, মূল্য হারাতে বসেছে ১০ ডিগ্রি২৮ অক্টোবর ২০২৫

সুযোগ-সুবিধা-

*সম্পূর্ণ টিউশন ফি প্রদান করবে;

*প্রতি বছর আবাসন ভাতা হিসেবে ৩৮,৫০০ মার্কিন ডলার দেবে;

*আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের স্থানান্তর অনুদান হিসেবে ৩০০০ ডলার দেবে;

*স্বাস্থ্য বিমা প্রদান করবে।

স্কলারশিপের সংখ্যা—

ইউনিভার্সিটি অব মেলবোর্ন গ্র্যাজুয়েট রিসার্চ স্কলারশিপসের আওতায় ৬০০টি স্কলারশিপ দেয়। স্কলারশিপগুলো দেশীয় ও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা অর্জন করতে পারবেন।

আবেদনের যোগ্যতা—

*আবেদনকারীকে অবশ্যই মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা ডিগ্রিতে স্নাতক অথবা পিএইচডির জন্য নির্বাচিত হতে হবে

*স্নাতকোত্তরের জন্য স্নাতক এবং পিএইচডির জন্য স্নাতকোত্তর পাস হতে হবে

*একাডেমিক ফলাফল ভালো হতে হবে

*ইংরেজি ভাষায় দক্ষ হতে হবে

*এ স্কলারশিপ পুরো বিশ্বের শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত;

আরও পড়ুনঅস্ট্রেলিয়ার ডেকিন বিশ্ববিদ্যালয় দেবে ৪০০ বৃত্তি, নগদ অর্থের সঙ্গে চিকিৎসা–বিমানভাড়াও মিলবে২৬ আগস্ট ২০২৩ফাইল ছবি.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন ব শ বব দ য র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

যবিপ্রবি প্রক্টর ওঠা মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে মানববন্ধন

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি (এনএফটি) বিভাগের শিক্ষক।

এসব সংবাদকে মিথ্যা ও বানোয়াট দাবি করে এর প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি (এনএফটি) বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

আরো পড়ুন:

ড্যাফোডিল-সিটি ইউনিভার্সিটি সংঘাত, ক্ষতিপূরণ পাবে সিটি

রাবি উপাচার্যের আশ্বাসে অনশন স্থগিত, শাটডাউন বহাল

সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

সম্প্রতি গণমাধ্যমে (গ্রামের কাগজ, দৈনিক জনকণ্ঠ) প্রকাশিত সংবাদে অধ্যাপক ড. মো. ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে ‘অবৈধভাবে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি’, ‘বারডেমে চাকরিরত অবস্থায় নিয়মবহির্ভূতভাবে পিএইচডি সম্পন্ন’ এবং ‘অস্তিত্ববিহীন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন’ এর মতো গুরুতর অভিযোগ আনা হয়।

কর্মসূচিতে বক্তারা একযোগে অধ্যাপক ড. মো. ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে উত্থাপিত নানা এসব অভিযোগের তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং তা যুক্তি ও প্রমাণের মাধ্যমে খণ্ডন করেন। এসব অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করে তারা জানান, একজন সম্মানিত শিক্ষকের মানহানি করার অপচেষ্টা।

পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ঐত্রী বলেন, “স্যারের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা অভিযোগগুলো আনা হয়েছে, তা সম্পূর্ণই ব্যক্তিগত আক্রোশ ও প্রতিহিংসার ফল। স্যার সম্পূর্ণ নিয়ম মেনেই অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। তিনি টানা ৯ বছর সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী ৫ বছর পূর্ণ হলেই অধ্যাপক পদে উন্নীত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করা যায়।”

তিনি আরো বলেন, “চাকরিরত অবস্থায় পিএইচডি সম্পন্ন করা কোনো নিয়মবহির্ভূত কাজ নয়। দেশের নিয়ম অনুযায়ী যেকোনো চাকরিজীবী পিএইচডি করতে পারেন। স্যার সম্পূর্ণ নিয়ম মেনেই তার গবেষণা সম্পন্ন করেছেন। আর যারা বলছেন স্যারের পিএইচডিকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্তিত্ব নেই, তারা প্রকৃতপক্ষে অজ্ঞ। স্যার ফ্রান্সের বিখ্যাত ‘ইউনিভার্সিটি ডি মন্টপেলিয়ার’ থেকে পিএইচডি করেছেন, যা প্রায় ৮০০ বছরের পুরোনো একটি বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়।”

ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন এবং পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. শিরীন নিগার বলেন, “কিছু পত্রিকায় স্যারকে নিয়ে যে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, তার প্রতিবাদে আমরা এখানে একত্রিত হয়েছি। কোনো অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত কাউকে অপরাধী বলা নৈতিক নয়। এটি শিক্ষক সমাজের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।”

মানববন্ধন শেষে অংশগ্রহণকারীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

ঢাকা/ইমদাদুল/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নিউজিল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা ও ক্যারিয়ারের সুযোগ এবং সম্ভাবনা কেমন
  • যবিপ্রবি প্রক্টর ওঠা মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে মানববন্ধন
  • বিদেশে উচ্চশিক্ষা: মাস্টার্স থেকে পিএইচডি ও রিসার্চের সাতসতেরো