আল হারামাইন সিকিউরিটিজের শেয়ার লেনদেনের সনদ বাতিল করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ বা ডিএসই কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানটি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নিয়ম অনুযায়ী মূলধন ও দায়দেনার শর্ত যথাযথভাবে পূরণ করতে না পারায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিএসই। আজ বৃহস্পতিবার ডিএসইর ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এ তথ্য বিনিয়োগকারীদের জানানো হয়েছে।

ডিএসই সূত্রে জানা যায়, বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম আল হারামাইন সিকিউরিটিজকে শেয়ারবাজারে শেয়ার লেনদেনের জন্য ট্রেক সনদ দিয়েছিল। বিএসইসির অনুমোদনের পর প্রতিষ্ঠানটি তাদের কার্যক্রমও শুরু করে। কিন্তু ট্রেক সনদধারী হিসেবে বিএসইসির আইন অনুযায়ী, মূলধন ও দায়দেনার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম পরিপালন করতে হয়। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি সেই নিয়ম পরিপালনে ব্যর্থ হয়। এ কারণে কয়েক দফা তাদের সময় দেওয়া হয়। তারপরও শর্ত পূরণ করতে না পারায় ডিএসই কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানটির লেনদেনের সনদ বাতিল করেছে। এর ফলে প্রতিষ্ঠানটি শেয়ারবাজারে আর শেয়ার লেনদেনে অংশ নিতে পারবে না।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আল হারামাইন সিকিউরিটিজের প্রায় শতাধিক বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) হিসাবধারী গ্রাহক ছিলেন। এখন লেনদেন সনদ বাতিল হওয়ায় এসব বিনিয়োগকারী আর প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমে শেয়ারবাজারে কোনো ধরনের লেনদেন করতে পারবেন না। ডিএসই জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানটিতে কোনো বিনিয়োগকারী বা গ্রাহকের তহবিল ও সিকিউরিটিজ নিষ্পত্তি–সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ থাকলে, তা সংশ্লিষ্ট নথিপত্রসহ ১৩ নভেম্বরের মধ্যে সংস্থাটিকে লিখিতভাবে জানাতে হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: শ য় র ল নদ ন র ল নদ ন র সনদ ব ত ল ব এসইস র ড এসই

এছাড়াও পড়ুন:

‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর ৩ কোম্পানি

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত তিনটি কোম্পানির ক্যাটাগরি পরিবর্তন করা হয়েছে। কোম্পানি তিনটি হলো- মেঘনা সিমেন্ট লিমিটেড, বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড ও স্টাইল ক্রাফট লিমিটেড।

বুধবার (২৯ অক্টোবর) ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই-সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

মেঘনা সিমেন্ট: কোম্পানিটিকে ‘এ’ থেকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্ত করা হয়েছে। বিএসইসির শর্ত অনুযায়ী পরপর দুই বছর লভ্যাংশ ঘোষণা করতে ব্যর্থ হওয়ায় কোম্পানিটিকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হয়। বুধবার থেকে কোম্পানিটি ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করছে। এদিকে ক্যাটাগরি পরিবর্তনের কারণে কোম্পানিটিকে ঋণ সুবিধা দিতে ব্রোকার হাউজ এবং মার্চেন্ট ব্যাংককে নিষেধ করেছে ডিএসই, যা আজ থেকে কার্যকর হয়েছে।

বসুন্ধরা পেপার মিলস: কোম্পানিটিকে ‘এ’ থেকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্ত করা হয়েছে। বিএসইসির শর্ত অনুযায়ী পরপর দুই বছর লভ্যাংশ ঘোষণা করতে ব্যর্থ হওয়ায় কোম্পানিটিকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হয়। বুধবার থেকে কোম্পানিটি ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করছে। এদিকে ক্যাটাগরি পরিবর্তনের কারণে কোম্পানিটিকে ঋণ সুবিধা দিতে ব্রোকার হাউজ এবং মার্চেন্ট ব্যাংককে নিষেধ করেছে ডিএসই, যা আজ থেকে কার্যকর হয়েছে।

স্টাইল ক্রাফট: কোম্পানিটিকে ‘বি’ থেকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্ত করা হয়েছে। বিএসইসির শর্ত অনুযায়ী পরপর দুই বছর লভ্যাংশ ঘোষণা করতে ব্যর্থ হওয়ায় কোম্পানিটিকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হয়। বুধবার থেকে কোম্পানিটি ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করছে। এদিকে ক্যাটাগরি পরিবর্তনের কারণে কোম্পানিটিকে ঋণ সুবিধা দিতে ব্রোকার হাউজ এবং মার্চেন্ট ব্যাংককে নিষেধ করেছে ডিএসই, যা আজ থেকে কার্যকর হয়েছে।

ঢাকা/এনটি/ইভা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিএসইসির চেয়ারম্যানের সঙ্গে আইসিএসবির প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
  • ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর ৩ কোম্পানি