ক্রিকেটার মুশফিককে তো চেনেন, মানুষ মুশফিককে চেনেন কতটা
Published: 18th, November 2025 GMT
তাঁর টেস্ট অভিষেক হয়েছিল লর্ডসে, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে, ২০০৫ সালের ২৬ মে। ২০ বছর পর সেই মুশফিকুর রহিম দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্ট খেলার দুয়ারে। বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যানের পুরো ক্যারিয়ারই কাছ থেকে দেখেছেন প্রথম আলোর প্রধান ক্রীড়া সম্পাদক উৎপল শুভ্র। বাংলাদেশের ১১ ক্রিকেটারের গল্প নিয়ে ২০১৯ সালে প্রকাশিত উৎপল শুভ্রর লেখা 'এগারো' বইয়ের এক চরিত্রও মুশফিক। তাঁকে নিয়ে লেখাটাতে ক্রিকেটার মুশফিকের সঙ্গে মানুষ মুশফিককেও কিছুটা চিনতে পারবেন।
লর্ডস দিয়ে শুরু করব, না ওয়েলিংটন? নাকি দুবাই?
খুব স্বাভাবিক হয় গল আর মিরপুর দিয়ে শুরু করলে। মুশফিকুর রহিম বললে প্রথমে হয়তো সবার তা-ই মনে হয়। তাঁর সবচেয়ে বড় দুটি কীর্তির সাক্ষী তো এই দুটি স্টেডিয়াম। এমন কীর্তি, বাংলাদেশের সীমানা ছাড়িয়ে যা উঠে গেছে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসের পাতায়।
এক পাশে সাগর আর আরেক পাশে চার শ বছরের বেশি বয়সী এক ডাচ দুর্গ নিয়ে শুয়ে থাকা ছবির মতো গল স্টেডিয়ামে টেস্টে তাঁর প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি। ৭৬তম টেস্টে এসে বাংলাদেশের পক্ষেও যা প্রথম। ইতিহাস তাই সেখানেও হয়েছিল, তবে সেটি চিরকালীন কিছুর রূপ পায়নি। যা পেল মিরপুরে। অপরাজিত ২১৯ টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ, এটা নিছকই একটা তথ্য। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ তো, কী হয়েছে! প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে, রানটাই-বা এমন কী! ক্রিকেট বিশ্বে এটি শোরগোল তোলার মতো কিছু নয়। তারপরও ঠিকই তা তুলল। কত শত ডাবল সেঞ্চুরির মধ্যে এটির অনন্যতা তো অন্য কারণে। প্রায় দেড় শ বছরের বুড়ো টেস্ট ক্রিকেট অবিশ্বাসে চোখ কচলে এই প্রথম দেখল, উইকেটকিপিংয়ের দায়িত্ব সামলেও কোনো ব্যাটসম্যান দুটি ডাবল সেঞ্চুরি করতে পারে! বাকি সব ছাপিয়ে মুশফিকুর রহিমের পরিচয় তাই ডাবল সেঞ্চুরি দিয়েই। তা হলে তো মুশফিক নিয়ে লিখতে গেলে গল আর মিরপুরই সবার আগে চোখের সামনে এসে দাঁড়ায়।
মুশফিকুর রহিম। ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের ভরসার অন্য নাম.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ড বল স ঞ চ র প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
ক্রিকেটার মুশফিককে তো চেনেন, মানুষ মুশফিককে চেনেন কতটা
তাঁর টেস্ট অভিষেক হয়েছিল লর্ডসে, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে, ২০০৫ সালের ২৬ মে। ২০ বছর পর সেই মুশফিকুর রহিম দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্ট খেলার দুয়ারে। বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যানের পুরো ক্যারিয়ারই কাছ থেকে দেখেছেন প্রথম আলোর প্রধান ক্রীড়া সম্পাদক উৎপল শুভ্র। বাংলাদেশের ১১ ক্রিকেটারের গল্প নিয়ে ২০১৯ সালে প্রকাশিত উৎপল শুভ্রর লেখা 'এগারো' বইয়ের এক চরিত্রও মুশফিক। তাঁকে নিয়ে লেখাটাতে ক্রিকেটার মুশফিকের সঙ্গে মানুষ মুশফিককেও কিছুটা চিনতে পারবেন।
লর্ডস দিয়ে শুরু করব, না ওয়েলিংটন? নাকি দুবাই?
খুব স্বাভাবিক হয় গল আর মিরপুর দিয়ে শুরু করলে। মুশফিকুর রহিম বললে প্রথমে হয়তো সবার তা-ই মনে হয়। তাঁর সবচেয়ে বড় দুটি কীর্তির সাক্ষী তো এই দুটি স্টেডিয়াম। এমন কীর্তি, বাংলাদেশের সীমানা ছাড়িয়ে যা উঠে গেছে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসের পাতায়।
এক পাশে সাগর আর আরেক পাশে চার শ বছরের বেশি বয়সী এক ডাচ দুর্গ নিয়ে শুয়ে থাকা ছবির মতো গল স্টেডিয়ামে টেস্টে তাঁর প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি। ৭৬তম টেস্টে এসে বাংলাদেশের পক্ষেও যা প্রথম। ইতিহাস তাই সেখানেও হয়েছিল, তবে সেটি চিরকালীন কিছুর রূপ পায়নি। যা পেল মিরপুরে। অপরাজিত ২১৯ টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ, এটা নিছকই একটা তথ্য। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ তো, কী হয়েছে! প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে, রানটাই-বা এমন কী! ক্রিকেট বিশ্বে এটি শোরগোল তোলার মতো কিছু নয়। তারপরও ঠিকই তা তুলল। কত শত ডাবল সেঞ্চুরির মধ্যে এটির অনন্যতা তো অন্য কারণে। প্রায় দেড় শ বছরের বুড়ো টেস্ট ক্রিকেট অবিশ্বাসে চোখ কচলে এই প্রথম দেখল, উইকেটকিপিংয়ের দায়িত্ব সামলেও কোনো ব্যাটসম্যান দুটি ডাবল সেঞ্চুরি করতে পারে! বাকি সব ছাপিয়ে মুশফিকুর রহিমের পরিচয় তাই ডাবল সেঞ্চুরি দিয়েই। তা হলে তো মুশফিক নিয়ে লিখতে গেলে গল আর মিরপুরই সবার আগে চোখের সামনে এসে দাঁড়ায়।
মুশফিকুর রহিম। ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের ভরসার অন্য নাম