মৌলভীবাজারের মাঠজুড়ে শুধু নবান্নের সোনার ধান
Published: 18th, November 2025 GMT
‘কার্তিকের নবান্নের দেশে’ এখন মাঠের যেদিকে তাকানো যায়, যেন আর কিছু নেই। মাঠজুড়ে গালিচার মতো কেবলই শুয়ে আছে সোনার মতো ধান আর ধান। মাঠের কোথাও হেমন্তের রোদ গায়ে মেখে ধানের গাছ খাড়া হয়ে আছে, কোথাও হেলে পড়েছে ধানের গোছা। সবখানেই হেসে খেলে সময় পার করছে এখন ধানের মাঠ। সড়কের পাশে, গ্রামের ভেতর, যেদিকেই যাওয়া যায়; দেখা মিলছে সোনালি ধানের।
মাঠ এখন জীবনানন্দ দাশের কবিতার মতো অনেকটা—‘শুয়েছে ভোরের রোদ ধানের উপরে মাথা পেতে/ অলস গেঁয়োর মতো এইখানে কার্তিকের খেতে/ মাঠের ঘাসের গন্ধ বুকে তার—চোখে তার শিশিরের ঘ্রাণ/ তাহার আস্বাদ পেয়ে অবসাদে পেকে ওঠে ধান।’.
মৌলভীবাজারের সবুজ মাঠগুলো এখন ধান পাকার সুখে সোনালি হয়ে উঠছে। পাকা ধানের মাঠ যেন ‘আর কটা দিন সবুর করো’—কৃষকের ঘরে এমন বার্তা পাঠাচ্ছে। আর কটা দিন পরই মাঠে মাঠে শুরু হবে ধান কাটা, ধান তোলার উৎসব।
রাতের শিশির জমে আছে ধানের পাতায়। মৌলভীবাজার সদর উপজেলার বরমান মাঠেউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
‘আউট’ লিখে ভিডিও দেওয়া ছাত্রদল কর্মীকে আসামি করে মামলা
লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম ওরফে জহির হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় ‘আউট’ লিখে ক্রিকেট খেলার ভিডিও পোস্ট করা ছাত্রদল কর্মী কাউসার মানিক বাদল ওরফে ছোট কাউসারসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে নিহতের দ্বিতীয় স্ত্রী আইরিন আক্তার বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
আরো পড়ুন:
রাজধানীর পল্লবীতে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা
গোপালগঞ্জে গরু চুরি: গণপিটুনে আহত আরেকজনের মৃত্যু
আরো পড়ুন: বিএনপি নেতা খুন: অভিযুক্ত ছাত্রদল কর্মী ফেসবুকে লিখলেন ‘আউট’
পুলিশ জানায়, চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশ উপজেলার পশ্চিম লতিফপুর এলাকা থেকে কাউসারের তিন সহযোগী হুমায়ূন কবির সেলিম (৫০), আলমগীর হোসেন (৪০) ও ইমন হোসেনকে (২১) গ্রেপ্তার করে। তাদের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
হত্যাকাণ্ডের আধা ঘণ্টা পর কাউসার তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে ‘আউট’ লিখে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকসহ একটি ক্রিকেট খেলার ভিডিও পোস্ট করেন। এই পোস্টকে কেন্দ্র করে এলাকায় আলোচনার সৃষ্টি হয় এবং নিহত ব্যক্তির পরিবার তাকে হত্যার অন্যতম দায়ী ব্যক্তি হিসেবে উল্লেখ করেন। হত্যা মামলায় কাউসারকে ২ নম্বর আসামি করা হয়।
আবুল কালাম চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। গত শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে চন্দ্রগঞ্জের মোস্তফার দোকান এলাকায় তাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়।
অভিযুক্ত কাউসার স্থানীয় ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয়। তিনি চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদস্য। গত বছরের ৭ আগস্ট বিভিন্ন অভিযোগে চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদস্য কাউসারকে ছাত্রদল থেকে বহিষ্কার করে লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রদল। পরবর্তীতে ৩ নভেম্বর পুনরায় কাউসারের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রদল। এলাকায় বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
তিনি একটি হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলার আসামি। এ ছাড়া ছাত্রদল নেতা কাউসারের সঙ্গে এলাকায় প্রভাব বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধ ছিল আবুল কালামের।
চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ফয়েজুল আজীম বলেন, “নিহতের স্ত্রী খুনের ঘটনায় মামলা করেছেন। ইতোমধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রিমান্ডের আবেদন করে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হবে। কাউসারের পোস্টটি তদন্তের গুরুত্বপূর্ণ আলামত হিসেবে সংগ্রহ করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই এই হত্যাকাণ্ডের পেছনের সব কারণ ও জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করা হবে।”
ঢাকা/জাহাঙ্গীর/মাসুদ