শেখ হাসিনা–আসাদুজ্জামান–মামুন কে কোন অপরাধে সাজা পেলেন
Published: 18th, November 2025 GMT
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কীভাবে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন, সেটা রায়ে উল্লেখ করেছেন ট্রাইব্যুনাল। তিনিসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল পাঁচটি। অভিযোগের কোনটিতে কী সাজা, সেটিও রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
গণ-অভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ডসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় এই প্রথম কোনো মামলার রায় হলো। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১–এর চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল গতকাল সোমবার এ রায় দেন।
শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামাল.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অপর ধ
এছাড়াও পড়ুন:
‘আউট’ লিখে ভিডিও দেওয়া ছাত্রদল কর্মীকে আসামি করে মামলা
লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম ওরফে জহির হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় ‘আউট’ লিখে ক্রিকেট খেলার ভিডিও পোস্ট করা ছাত্রদল কর্মী কাউসার মানিক বাদল ওরফে ছোট কাউসারসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে নিহতের দ্বিতীয় স্ত্রী আইরিন আক্তার বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
আরো পড়ুন:
রাজধানীর পল্লবীতে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা
গোপালগঞ্জে গরু চুরি: গণপিটুনে আহত আরেকজনের মৃত্যু
আরো পড়ুন: বিএনপি নেতা খুন: অভিযুক্ত ছাত্রদল কর্মী ফেসবুকে লিখলেন ‘আউট’
পুলিশ জানায়, চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশ উপজেলার পশ্চিম লতিফপুর এলাকা থেকে কাউসারের তিন সহযোগী হুমায়ূন কবির সেলিম (৫০), আলমগীর হোসেন (৪০) ও ইমন হোসেনকে (২১) গ্রেপ্তার করে। তাদের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
হত্যাকাণ্ডের আধা ঘণ্টা পর কাউসার তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে ‘আউট’ লিখে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকসহ একটি ক্রিকেট খেলার ভিডিও পোস্ট করেন। এই পোস্টকে কেন্দ্র করে এলাকায় আলোচনার সৃষ্টি হয় এবং নিহত ব্যক্তির পরিবার তাকে হত্যার অন্যতম দায়ী ব্যক্তি হিসেবে উল্লেখ করেন। হত্যা মামলায় কাউসারকে ২ নম্বর আসামি করা হয়।
আবুল কালাম চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। গত শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে চন্দ্রগঞ্জের মোস্তফার দোকান এলাকায় তাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়।
অভিযুক্ত কাউসার স্থানীয় ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয়। তিনি চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদস্য। গত বছরের ৭ আগস্ট বিভিন্ন অভিযোগে চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদস্য কাউসারকে ছাত্রদল থেকে বহিষ্কার করে লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রদল। পরবর্তীতে ৩ নভেম্বর পুনরায় কাউসারের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রদল। এলাকায় বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
তিনি একটি হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলার আসামি। এ ছাড়া ছাত্রদল নেতা কাউসারের সঙ্গে এলাকায় প্রভাব বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধ ছিল আবুল কালামের।
চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ফয়েজুল আজীম বলেন, “নিহতের স্ত্রী খুনের ঘটনায় মামলা করেছেন। ইতোমধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রিমান্ডের আবেদন করে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হবে। কাউসারের পোস্টটি তদন্তের গুরুত্বপূর্ণ আলামত হিসেবে সংগ্রহ করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই এই হত্যাকাণ্ডের পেছনের সব কারণ ও জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করা হবে।”
ঢাকা/জাহাঙ্গীর/মাসুদ