মানিকগঞ্জে বাউলশিল্পীদের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন। দলটি বলেছে, অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

আজ রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রত্যেক নাগরিকের নিজের ধর্ম ও জীবনচর্চার অধিকার নিশ্চিতে গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’ বিবৃতিতে যেকোনো জবরদস্তিমূলক মতামত চাপিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানায় গণসংহতি আন্দোলন।

অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে বিবৃতিতে গণসংহতি আন্দোলনের নেতারা বলেন, বাউলদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারায় অন্তর্বর্তী সরকারকে জবাবদিহির পাশাপাশি অবিলম্বে সারা দেশে বাউলদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

দেড় মাসে ৫০০ বার যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে ইসরায়েল

ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরুর পর থেকে গত ৪৪ দিনে ইসরায়েল অন্তত ৪৯৭ বার চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। এ সময় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৩৪২ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন; যাঁদের অধিকাংশই নারী, শিশু ও প্রবীণ। গত শনিবার গাজার গণমাধ্যম দপ্তর এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা ইসরায়েলি দখলদার কর্তৃপক্ষের গুরুতর ও পরিকল্পিত যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের তীব্র নিন্দা জানাই। এসব ঘটনা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ও শান্তিচুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন। এর মধ্যে শুধু শনিবারই ২৭টি ঘটনা ঘটেছে। এদিন ২৪ জন নিহত ও ৮৭ জন আহত হয়েছেন।’ গণমাধ্যম দপ্তর আরও জানিয়েছে, চুক্তি লঙ্ঘনের কারণে সৃষ্ট মানবিক ও নিরাপত্তাজনিত সব দুর্ভোগের দায় ইসরায়েলের ওপর বর্তাবে। কারণ, যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও ইসরায়েল এখনো গাজা উপত্যকায় অত্যাবশ্যকীয় সহায়তা ও চিকিৎসা সরঞ্জাম প্রবেশে বাধা দিচ্ছে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গাজায় ‘তথাকথিত হলুদ সীমারেখার’ ভেতরে ইসরায়েলি সেনাদের ওপর হামাসের হামলার পর এ অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানে হামাসের পাঁচজন জ্যেষ্ঠ যোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছে। এদিকে ‘কথিত’ ওই যোদ্ধার পরিচয় প্রকাশ করতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে হামাস। দলের রাজনৈতিক ব্যুরোর জ্যেষ্ঠ সদস্য ইজ্জাত আল-রিশেক শান্তিচুক্তির মধ্যস্থতাকারী ও মার্কিন প্রশাসনকে ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টির আহ্বান জানিয়েছে।

ইজ্জাত আল-রিশেক এক বিবৃতিতে বলেন, ইসরায়েল শান্তিচুক্তি এড়িয়ে যাওয়ার অজুহাত তৈরি করছে এবং ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের দিকে এগোচ্ছে। তারা প্রতিদিন পরিকল্পিতভাবে চুক্তি লঙ্ঘন করছে। এ সময় হামাস যুদ্ধবিরতি বাতিল করেছে, এমন কথিত প্রতিবেদন নাকচ করে দিয়েছেন তিনি। যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন নিয়ে দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্যেই গতকাল রোববার গাজা যুদ্ধের মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে কায়রো পৌঁছেছে হামাসের একটি প্রতিনিধিদল। নাম প্রকাশ না করার শর্তে হামাসের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, প্রতিনিধিদলটি ইসরায়েলের ধারাবাহিক যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন নিয়ে আলোচনা করবে।

উল্লেখ্য, গত ১০ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও কাতার ও মিসর এতে মধ্যস্থতা করেছিল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ