হলান্ডের জোড়া গোলে আর্সেনালের ওপর চাপ বাড়াল সিটি
Published: 14th, December 2025 GMT
ক্রিস্টাল প্যালেস ০–৩ ম্যানচেস্টার সিটি
সেলহার্স্ট পার্কে ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে ম্যাচের প্রথমার্ধ। আর্লিং হলান্ড এ সময় প্রতিপক্ষের বক্সে মাত্র দুবার বল স্পর্শ করতে পারলেন। কিন্তু হলান্ডের মতো স্ট্রাইকারের জন্য গোল করতে দুবার বল স্পর্শ করতে পারার সুযোগই যথেষ্ট।
সেটাই দেখা গেল ৪১ মিনিটে। ম্যানচেস্টার সিটি রাইটব্যাক মাতেউস নুনেস ডান প্রান্ত থেকে ক্রস করেন ক্রিস্টালের বক্সে। উদ্দেশ্য ছিলেন বক্সের ভেতর দাঁড়ানো হলান্ড। ম্যানচেস্টার সিটির ৯ নম্বর তখন বল পাওয়ার আগে একবারও বল স্পর্শ করতে পারেননি। কিন্তু প্রথমবার পাওয়া সুযোগেই করলেন ‘টেক্সটবুক হেড’—বল ক্রিস্টালের গোলকিপার ডিন হেন্ডারসনের বাঁ প্রান্ত গলে জালে। গোল!
খেলার ধারার বিপরীতে পাওয়া এই গোলকে পুঁজি করে সিটি বসে থাকেনি। বিরতির পর ৬৯ মিনিটে এবং ৮৯ মিনিটে আরও দুটি গোল আদায় করে পেপ গার্দিওলার দল। ৬৯ মিনিটে রায়ান চেরকির পাস পেয়ে বক্সের বাইরে থেকে ফিল ফোডেনের বাঁ পায়ের শট ঠেকাতে পারেননি ক্রিস্টাল গোলকিপার। ২–০ গোলে এগিয়ে যায় সিটি।
৮৮ মিনিটে বল নিয়ে ক্রিস্টালের বক্সে ঢুকে পড়েন সিটির ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার সাভিনিও। বিপদ টের পেয়ে তাঁকে ফাউল করতে বাধ্য হন ক্রিস্টাল গোলকিপার হেন্ডারসন। পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পটকিক থেকে ৮৯ মিনিটে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোলটি পেয়ে যান হলান্ড। সিটির হয়ে চলতি মৌসুমে ২৭ ম্যাচে ৩৭ গোল করার পাশাপাশি আরও ৫ গোল বানালেন নরওয়ে তারকা। ৩–০ গোলের এই জয়ে ১৬ ম্যাচে ৩৪ পয়েন্ট হলো সিটির। সমান ম্যাচে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা আর্সেনালের সঙ্গে তাঁরা পিছিয়ে ২ পয়েন্ট ব্যবধানে।
বিস্তারিত আসছে.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: হল ন ড
এছাড়াও পড়ুন:
পাকিস্তানের সঙ্গে চীনের তামাশা
মহান মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যায় পর্যন্ত পাকিস্তানিরা আশা করেছিল, চীন হয়তো তাদের পক্ষ নিয়ে যুদ্ধে অংশ নেবে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জারের চীন সফরে মধ্যস্থতা করে তাদের সেই আশা আরও প্রবল হয়েছিল। কিন্তু সে আশায় গুড়েবালি।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রেহমান সোবহান বলেছেন, পাকিস্তানের প্রধান লক্ষ্য ও শেষ পর্যন্ত প্রবল আশা ছিল, যা তারা প্রকাশ্যে দেখাচ্ছিল, তা হলো চীন শেষ পর্যন্ত তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসবে। কিন্তু এটি ছিল একটি তামাশা। কারণ, চীনারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তারা সামরিকভাবে যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করবে না। সব ধরনের কূটনৈতিক সহায়তা দেবে।
রোববার দ্য ডেইলি স্টার মিলনায়তনে ‘মুক্তিযুদ্ধের বৈশ্বিক ইতিহাস’ শীর্ষক আলোচনায় অধ্যাপক রেহমান সোবহান এই মন্তব্য করেন।
ডেইলি স্টার ইতিহাসের বিভিন্ন বিষয় ও ব্যক্তির অবদান তুলে ধরতে ‘ইতিহাস আড্ডা’ শীর্ষক ধারাবাহিক আলোচনার আয়োজন করেছে। এটি ছিল সপ্তম আয়োজন। কবি ইমরান মাহফুজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
অনুষ্ঠানের নির্ধারিত আলোচক ছিলেন অধ্যাপক রেহমান সোবহান, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান ও অধ্যাপক নাভিন মুর্শিদ। অসুস্থতার কারণে আরেক আলোচক গবেষক–সাংবাদিক মঈদুল হাসান আসতে পারেননি।
চীনের তামাশা, যুক্তরাষ্ট্রের নাটকঅধ্যাপক রেহমান সোবহান মুক্তিযুদ্ধকালে তাঁর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ও ভূমিকার পরিপ্রেক্ষিতে দীর্ঘ আলোচনা করেন। তিনি বলেন, চীন পাকিস্তানের সঙ্গে যে তামাশা করছিল, সেই নাটক সাজিয়ে ছিল যুক্তরাষ্ট্র। চীনকে উসকে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল, যেন তারা যুদ্ধে যোগ দেয়। চীন যখন যুদ্ধে আসছিল না, তখন যুক্তরাষ্ট্র তাদের সপ্তম নৌবহর বঙ্গোপসাগরে পাঠানোর হুমকি দেয়। কিন্তু সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তাদের নৌবহরকে মার্কিন সপ্তম নৌবহরের গতিবিধি লক্ষ করতে নির্দেশ দিয়েছিল। সপ্তম নৌবহর আর আসেনি। এর পরিণতিতেই নিয়াজির চূড়ান্ত আত্মসমর্পণ এবং স্বাধীন বাংলাদেশের উত্থান।
‘মুক্তিযুদ্ধের বৈশ্বিক ইতিহাস’ শীর্ষক ইতিহাস আড্ডায় অধ্যাপক রেহমান সোবহান। রোববার দ্য ডেইলি স্টার মিলনায়তনে