নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম আজাদের বিরুদ্ধে ছাত্রদলের এক নেতাকে ফোন করে হাত-পা ভেঙে এলাকাছাড়া করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই ছাত্রদল নেতার দাবি, বিএনপির অন্য মনোনয়নপ্রত্যাশীর সঙ্গে কাজ করায় গত শুক্রবার তাঁকে এ হুমকি দেওয়া হয়। ওই কথোপকথনের তিন মিনিট তিন সেকেন্ডের একটি অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ওই ছাত্রদল নেতার নাম মো.

আবু হানিফ রাসেল ভূঁইয়া। তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি। স্থানীয় রাজনীতিতে তিনি নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-অর্থবিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের (সুমন) অনুসারী। অভিযুক্ত নজরুল ইসলাম বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ঢাকা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক।

উপজেলার পাঁচরুখী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি আরিফের মুঠোফোন নম্বর থেকে ওই ছাত্রদল নেতাকে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। অডিওটি যাচাই করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে কথা বলতে বিএনপি নেতা নজরুল ইসলামের ব্যবহৃত চারটি মুঠোফোন নম্বরে কল করলেও তিনি সাড়া দেননি। যুবদল নেতা আরিফের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘রাসেল (ছাত্রদল নেতা) আমার মামা হয়। আমি তাঁকে ফোন করেছি। আমিই কথা বলেছি। আজাদ ভাই কথা বলেননি।’

ছড়িয়ে পড়া অডিও কথোপকথনে ছাত্রদল নেতার উদ্দেশে বলতে শোনা যায়, ‘তুমি আমার কথা রেকর্ড কইরা রাইখো। আমি তোমাকে বললাম, কালকে থেইকা তুমি হাইজাদীতে (বিএনপির অন্য মনোনয়নপ্রত্যাশী মাহমুদুর রহমানের বাড়ি) থাকবা অথবা ধানমন্ডিতে। যদি মনোনয়ন চেঞ্জ হয়ে যায়, তাহলে তো ভাই ফাইন, পাচরুখীতে চলে আসবা। আর যদি চেঞ্জ না হয় তাহলে আর কোনো দিন তুমি পাচরুখীতে আসবা না, তোমার কোনো প্রতিষ্ঠান, কোনো ব্যবসা-বাণিজ্য কিছু থাকবে না পাঁচরুখীতে। আমি বললাম, আমার বাপ-চাচা, আমার পরিবারের কাউকে কোনো কিছু বললেও কোনো লাভ হবে না।’

অডিওতে আরও বলতে শোনা যায়, ‘তুমি অনেক বড় বেয়াদব, তোমার অনেক বেয়াদবি আমি দেখছি। তুমি তোমার ওস্তাদের সাথে কথা বলো। কথা বইলা তোমাকে যেটা বললাম এটা করো। নয়তো বা কিন্তু তোমার হাত-পা কিছু থাকবে না। আমি তো ডাইরেক্টই বললাম, কোনো ভায়া মিডিয়া না, আমি তোমাকে মিন করে বললাম, আমি তোমাকে বুঝাইতে পারছি?’

তখন ছাত্রদল নেতা আবু হানিফ বলেন, ‘আমি তো ভাই আপনার কোনো ক্ষতি করি নাই।’ জবাবে অপর প্রান্ত থেকে বলা হয়, ‘তুমি আমার ক্ষতি না করলে তো তোমাকে আমি এত সুন্দর কথা বলতাম না। তুমি থাকবা না কালকে থেকে। সুমনের মনোনয়ন যদি চেঞ্জ হয়, যদি ও মনোনয়ন পায় তারপর আসবা। আর যদি চেঞ্জ না হয় তাহলে তুমি পার্মানেন্টলি চলে যাবা। এদিকে আর আসবা না।’

এ বিষয়ে ছাত্রদল নেতা আবু হানিফ বলেন, তিনি ও নজরুল ইসলাম একই এলাকার বাসিন্দা হলেও স্থানীয় রাজনীতিতে ভিন্ন অবস্থানে আছেন। এ কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে গত শুক্রবার নজরুল ইসলাম তাঁর এক অনুসারীর মুঠোফোন থেকে তাঁকে ফোন করে হুমকি দেন। এখন তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। নিজের নিরাপত্তার জন্য আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করবেন বলে তিনি জানান।

যোগাযোগ করলে বিএনপির অন্য মনোনয়নপ্রত্যাশী মাহমুদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি অডিও রেকর্ডটি শুনেছি। ভিন্নমতের প্রতি সহনশীলতা জাতীয়তাবাদী রাজনীতির প্রাথমিক গুণ। একজন দলীয় কর্মীর সঙ্গে দলের একজন পদধারী নেতার এমন আচরণ আমাকে মর্মাহত করেছে। এ বিষয়ে দল যা ভালো মনে করে তা–ই করবে।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: নজর ল ইসল ম ছ ত রদল ন ত ব এনপ র বলল ম

এছাড়াও পড়ুন:

ওসমান হাদি ও এরশাদ উল্লাহর উপরে হামলার প্রতিবাদে মহানগর বিএনপির মিছিল

‎ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি ও চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপি’র মনোনয়নপ্রাপ্ত এরশাদ উল্লাহর উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ -৫ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামানের নেতৃত্বে মহানগর বিএনপি’র উদ্যোগে শহরে প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‎

শনিবার ( ১৩ ডিসেম্বর) বিকেল চারটায় শহরের মিশনপাড়া হোসিয়ারি সমিতির সামনে থেকে ‎প্রতিবাদ মিছিল বের করা হয়। প্রতিবাদ মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে চাষাড়া বিজয়স্তম্ভে গিয়ে শেষ হয়।

এসময়ে প্রতিবাদ মিছিল থেকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক এরশাদ উল্লাকে গণসংযোগকালে হামলা পরিকল্পিত হামলা ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান এবং প্রকৃত দোষীদের দ্রুত শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানান তারা।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এড. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ -৫ আসনে বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মাসুদুজ্জামান।

‎আরো উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এড. রফিক আহমেদ, ডা. মজিবুর রহমান, বরকত উল্লাহ, ফারুক হোসেন, শওকত হাসেম শকু, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাখাওয়াত ইসলাম রানা, সদস্য সচিব মমিনুর রহমান বাবু, মহানগর শ্রমিকদলের আহ্বায়ক এস এম আসলাম, সদস্য সচিব ফারুক হোসেন, মহানগর কৃষক দলের সভাপতি খন্দকার এনামুল হক স্বপন, সাধারণ সম্পাদক হলেন সাইফুদ্দিন মাহমুদ ফয়সাল, বিএনপি নেতা আল আমিন প্রধান, সাইফুল ইসলাম বাবু, হিরা সরদার, মহানগর মহিলাদলের সভানেত্রী দিলারা মাসুদ ময়না, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহাদুল্লাহ মুকুল, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, গোগনগর বিএনপির সভাপতি আক্তার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন মিয়াজী, আলীরটেক ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আঃ রহমান, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তাঁরা মিয়া,ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহিদ খন্দকার, মদনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মামুন ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক শাহেন শাহ্ মিঠু, বন্দর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রাজু আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহাজাদা আলম রতন, মহানগর ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ শিবলীসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে যুবশক্তির আলোচনা ও দোয়া মাহফিল
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব না’গঞ্জ এর কমিটি ঘোষণা
  • অসুস্থ প্রভাতকে দেখতে গেলেন এনসিপির নেতারা
  • বন্দরে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস পালিত 
  • অসুস্থ প্রভাতকে দেখতে গেলেন এনসিপির আল আলামিন 
  • শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে ছাত্র ফেডারেশনের শ্রদ্ধাঞ্জলি
  • নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত
  • নির্বাচন চাই পরিবর্তনের লক্ষ্যে  সুজনের গোল টেবিলে বক্তারা
  • ওসমান হাদি ও এরশাদ উল্লাহর উপরে হামলার প্রতিবাদে মহানগর বিএনপির মিছিল