পুলিশরাই ক্রিকেট খেলেন পুলিশ ক্লাবে
Published: 14th, December 2025 GMT
একসময় প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে খেলা ওল্ড ডিওএইচএসকে ৮ উইকেটে হারিয়ে প্রথম বিভাগ ক্রিকেটে শুভ সূচনা করেছে বাংলাদেশ পুলিশ ক্লাব। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আজ ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন দলের ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেন। চমকপ্রদ তথ্যটা তখনই দিলেন তিনি।
পুলিশ ক্লাব মানেই তাদের হয়ে খেলা সবাইকে পুলিশ হতে হবে, বিষয়টা তেমন নয়। পেশাগত দায়িত্ব পালনের ব্যস্ততায় খেলারই–বা সময় কই পুলিশদের! কিন্তু শাহাদাতের কাছ থেকে জানা গেল উল্টো তথ্য। প্রথম বিভাগ ক্রিকেটের দল বাংলাদেশ পুলিশ ক্লাবের স্কোয়াডে থাকা ১৮ জনের ১০ জনই পুলিশে চাকরি করেন। এক প্রশ্নে ‘আমরা পুলিশে চাকরি করি, আমি একজন পুলিশ সদস্য’ জানিয়ে ৩ ওভারে ১২ রানে ১ উইকেট পাওয়া এই বোলিং অলরাউন্ডার বললেন, ‘আমাদের আটজন খেলোয়াড় সিভিল, বাকি আমরা ১০ জনই পুলিশ।’
ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশে নায়েক পদে কর্মরত শাহাদাত জানালেন, চাকরি ও খেলা—দুটি একসঙ্গেই চালান তাঁরা। ছোটবেলা থেকে ক্রিকেট খেলা শাহাদাত খেলেছেন চট্টগ্রাম লিগেও। পুলিশে খেলোয়াড় কোটা বলে কিছু নেই, খেলার জন্য আলাদা কোনো ভাতাও নেই। নিজেদের আগ্রহ আর সামর্থ্য দিয়েই পুলিশ হয়েও খেলোয়াড় তাঁরা। শাহাদাত বলেছেন, ‘আমি ডিউটিও করি, পাশাপাশি খেলাধুলাও করি। আমাদের যখন ক্যাম্প শুরু হয়, তখন আমাদের স্যাররা আমাদের খেলার জন্য রিলিজ করেন।’ অবশ্য ক্রিকেট খেললেও তাঁদের কাছে পেশাগত দায়িত্বটাই আগে, ‘প্রথম হচ্ছে আমাদের ডিউটি। দেশ রক্ষায়, দেশের সাধারণ জনগণের জন্য আমরা নিবেদিতপ্রাণ। এরপর হচ্ছে আমাদের খেলা।’
বাংলাদেশ পুলিশ ক্লাবের ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেন.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
পাকিস্তানের সঙ্গে চীনের তামাশা
মহান মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যায় পর্যন্ত পাকিস্তানিরা আশা করেছিল, চীন হয়তো তাদের পক্ষ নিয়ে যুদ্ধে অংশ নেবে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জারের চীন সফরে মধ্যস্থতা করে তাদের সেই আশা আরও প্রবল হয়েছিল। কিন্তু সে আশায় গুড়েবালি।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রেহমান সোবহান বলেছেন, পাকিস্তানের প্রধান লক্ষ্য ও শেষ পর্যন্ত প্রবল আশা ছিল, যা তারা প্রকাশ্যে দেখাচ্ছিল, তা হলো চীন শেষ পর্যন্ত তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসবে। কিন্তু এটি ছিল একটি তামাশা। কারণ, চীনারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তারা সামরিকভাবে যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করবে না। সব ধরনের কূটনৈতিক সহায়তা দেবে।
রোববার দ্য ডেইলি স্টার মিলনায়তনে ‘মুক্তিযুদ্ধের বৈশ্বিক ইতিহাস’ শীর্ষক আলোচনায় অধ্যাপক রেহমান সোবহান এই মন্তব্য করেন।
ডেইলি স্টার ইতিহাসের বিভিন্ন বিষয় ও ব্যক্তির অবদান তুলে ধরতে ‘ইতিহাস আড্ডা’ শীর্ষক ধারাবাহিক আলোচনার আয়োজন করেছে। এটি ছিল সপ্তম আয়োজন। কবি ইমরান মাহফুজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
অনুষ্ঠানের নির্ধারিত আলোচক ছিলেন অধ্যাপক রেহমান সোবহান, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান ও অধ্যাপক নাভিন মুর্শিদ। অসুস্থতার কারণে আরেক আলোচক গবেষক–সাংবাদিক মঈদুল হাসান আসতে পারেননি।
চীনের তামাশা, যুক্তরাষ্ট্রের নাটকঅধ্যাপক রেহমান সোবহান মুক্তিযুদ্ধকালে তাঁর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ও ভূমিকার পরিপ্রেক্ষিতে দীর্ঘ আলোচনা করেন। তিনি বলেন, চীন পাকিস্তানের সঙ্গে যে তামাশা করছিল, সেই নাটক সাজিয়ে ছিল যুক্তরাষ্ট্র। চীনকে উসকে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল, যেন তারা যুদ্ধে যোগ দেয়। চীন যখন যুদ্ধে আসছিল না, তখন যুক্তরাষ্ট্র তাদের সপ্তম নৌবহর বঙ্গোপসাগরে পাঠানোর হুমকি দেয়। কিন্তু সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তাদের নৌবহরকে মার্কিন সপ্তম নৌবহরের গতিবিধি লক্ষ করতে নির্দেশ দিয়েছিল। সপ্তম নৌবহর আর আসেনি। এর পরিণতিতেই নিয়াজির চূড়ান্ত আত্মসমর্পণ এবং স্বাধীন বাংলাদেশের উত্থান।
‘মুক্তিযুদ্ধের বৈশ্বিক ইতিহাস’ শীর্ষক ইতিহাস আড্ডায় অধ্যাপক রেহমান সোবহান। রোববার দ্য ডেইলি স্টার মিলনায়তনে