মাঠের খেলায় সেরা। রংপুর রাইডার্স টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচ খেলে জিতেছে সব কটিতে। মাঠের বাইরেও দলটি আছে ফুরফুরে মেজাজে। আর সেটি ধরা পড়ছে তাদের ফেসবুক পেজে। এবার দলের দুই তারকা ইফতিখার আহমেদ ও অ্যালেক্স হেলসকে অভিনয় করতেও দেখা গেল। এই দুই বিদেশি ক্রিকেটারের মুখে শোনা গেল সেই বিখ্যাত সংলাপ—মুরব্বি মুরব্বি.

..উঁহুহু..!

রংপুর ভিডিওটি প্রকাশ করেছে গতকাল। ভিডিওতে ওপেনার হেলস করছিলেন ব্যাটিং অনুশীলন আর ইফতিখার ফিটনেস ট্রেনিং। পাকিস্তানি ক্রিকেটার ইফতিখার চেয়ারের ওপরে রাখা কফি কাপ নিতে গেলে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা হেলস বলে ওঠেন—‘মুরব্বি মুরব্বি...উঁহুহ উঁহু..!’

ইফতিখার আর চুপ থাকবেন কেন, তিনিও জুড়ে দিয়েছেন—‘সোনামণি সোনামণি, বসো বসো...!’ জনপ্রিয় এ সংলাপটি বেশ কয়েক মাস ধরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রেন্ডিং।

স্ক্রিনশট/রংপুর রাইডার্স

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

হাসপাতালে গিয়ে খালেদা জিয়াকে দেখে এলেন জামায়াত আমির শফিকুর রহমান

বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ার হাসপাতালে গেলেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিনি হাসপাতালে যান। বিএনপির চেয়ারপারসনের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। পরে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

শফিকুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন। এভারকেয়ারে আগেও তিনি বহুবার এসেছেন। কিন্তু এবারের মতো এমন সংকটজনক পরিস্থিতি আগে তৈরি হয়নি।

জামায়াতের আমির বলেন, ‘আমি ধৈর্য ধরছিলাম, বাইরে থেকে দোয়া করছিলাম। ধারণা ছিল, হাসপাতালে এসে ডিস্টার্ব (বিরক্ত) না করি। বিএনপির পক্ষ থেকেও সেই ধরনের আহ্বান জানানো হয়েছিল। কিন্তু আজকে আর কোনোভাবে মনকে বোঝাতে পারিনি। এ জন্য এসেছি। আমি ওনাকে দেখে এসেছি।’

খালেদা জিয়ার পরিস্থিতি তুলে ধরে শফিকুর রহমান বলেন, ‘এখন ওনার ডায়ালাইসিস চলছে। তিনি আসলে “ডিপ সেডেশনে” আছেন। সারা দুনিয়ার মানুষের সঙ্গে আমরাও ওনার জন্য দোয়া করছি। আল্লাহ তায়ালা যেন ওনাকে সুস্থতার নেয়ামত দান করুন। সুস্থ হয়ে ফিরে এসে বাকি জীবনটা যেন জাতির খেদমতে কাটাতে পারেন।’

শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘এমন পরিস্থিতিতে তাঁর আপনজনদের জন্য ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা অনেক কঠিন। তারা যেন ধৈর্যের সঙ্গে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারেন, সেই দোয়া করি। আমরা আশা রাখি, উনি সুস্থ হয়ে উঠবেন। আমি মাত্র দেড় মিনিটের মতো সেখানে ছিলাম। কারও সুযোগ থাকলেও দীর্ঘক্ষণ এখানে দাঁড়ানো উচিত নয়। হাসপাতালের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করা উচিত নয়। আমি দুই চোখে একটু দেখে আসতে পেরেছি, এটাই আমার সান্ত্বনা।’

৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্‌রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে গত ২৩ নভেম্বর রাতে তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। মেডিকেল বোর্ডের দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর চিকিৎসা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ