‘মুরব্বি মুরব্বি...উঁহু উঁহু...সোনামণি সোনামণি, বসো বসো’
Published: 11th, January 2025 GMT
মাঠের খেলায় সেরা। রংপুর রাইডার্স টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচ খেলে জিতেছে সব কটিতে। মাঠের বাইরেও দলটি আছে ফুরফুরে মেজাজে। আর সেটি ধরা পড়ছে তাদের ফেসবুক পেজে। এবার দলের দুই তারকা ইফতিখার আহমেদ ও অ্যালেক্স হেলসকে অভিনয় করতেও দেখা গেল। এই দুই বিদেশি ক্রিকেটারের মুখে শোনা গেল সেই বিখ্যাত সংলাপ—মুরব্বি মুরব্বি.
রংপুর ভিডিওটি প্রকাশ করেছে গতকাল। ভিডিওতে ওপেনার হেলস করছিলেন ব্যাটিং অনুশীলন আর ইফতিখার ফিটনেস ট্রেনিং। পাকিস্তানি ক্রিকেটার ইফতিখার চেয়ারের ওপরে রাখা কফি কাপ নিতে গেলে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা হেলস বলে ওঠেন—‘মুরব্বি মুরব্বি...উঁহুহ উঁহু..!’
ইফতিখার আর চুপ থাকবেন কেন, তিনিও জুড়ে দিয়েছেন—‘সোনামণি সোনামণি, বসো বসো...!’ জনপ্রিয় এ সংলাপটি বেশ কয়েক মাস ধরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রেন্ডিং।
স্ক্রিনশট/রংপুর রাইডার্সউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়ক ভেঙে দুর্ভোগ চা বাগানের শ্রমিকরা
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার সুরমা চা বাগানের প্রায় ১০ হাজার মানুষের যাতায়াত সুবিধার্থে ছড়ার ওপর ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি করা হয় একটি সেতু। নির্মাণের মাত্র তিন বছরের মধ্যেই সেতুর দুই পাশের অ্যাপ্রোচ সড়ক ধসে পড়ছে। ফলে প্রতিদিন শ্রমিক, শিক্ষার্থী ও রোগীদের বালুকাদা মাড়িয়ে শুকিয়ে যাওয়া ছড়ার মধ্যদিয়ে পায়ে হেঁটে চলাচল করতে হচ্ছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ২০২২ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে সুরমা চা বাগানের ছড়ার ওপর সেতুটি নির্মিত হয়। নিম্নমানের কাজ ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে সেতুর দুই পাশের সংযোগ সড়কের মাটি বৃষ্টির পানিতে ধসে পড়ে। ফলে সেতুটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
আরো পড়ুন:
লংমার্চে অংশ নেওয়া ১০ যুবকের সাঁতরে পদ্মা পাড়ির চেষ্টা
মরণফাঁদের নাম বগির খাল ব্রিজ
চা শ্রমিক নির্মলা দেবী বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে এ সেতুর কারণে আমাদের জীবন কষ্টের মধ্যে কাটছে। বৃষ্টি নামলে ছড়া পার হওয়া যায় না। অনেক সময় পা পিছলে পড়ে যেতে হয়।”
টিংকু সাঁওতাল বলেন, “ব্রিজটি এখন আমাদের জন্য বিপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা চাই দ্রুত সেতুটির সংযোগ সড়ক তৈরি করা হোক। যাতে এলাকাবাসী নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারেন।”
স্থানীয় ইউপি সদস্য লতিফ হোসেন বলেন, “সেতুটি স্থানীয় জনগণের দীর্ঘদিনের চাহিদা পূরণ করেছিল। এখন তা অভিশাপে পরিণত হয়েছে।”
সুরমা চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক কমল সরকার বলেন, “অ্যাপ্রোচ সড়ক ধসে যাওয়ার পর আমরা উপজেলা প্রশাসন ও এলজিইডি দপ্তরে বারবার লিখিতভাবে জানিয়েছি। কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। শ্রমিকরা প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।”
মাধবপুর উপজেলা প্রকৌশলী মো. রেজাউন নবী বলেন, “ব্রিজের কাজ এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি। এটি চলমান প্রকল্প। বরাদ্দ এনে বাকি কাজ শেষ করার পর আমরা সেতুটি চালু করার চেষ্টা করছি।”
ঢাকা/মামুন/মাসুদ