‘মুরব্বি মুরব্বি...উঁহু উঁহু...সোনামণি সোনামণি, বসো বসো’
Published: 11th, January 2025 GMT
মাঠের খেলায় সেরা। রংপুর রাইডার্স টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচ খেলে জিতেছে সব কটিতে। মাঠের বাইরেও দলটি আছে ফুরফুরে মেজাজে। আর সেটি ধরা পড়ছে তাদের ফেসবুক পেজে। এবার দলের দুই তারকা ইফতিখার আহমেদ ও অ্যালেক্স হেলসকে অভিনয় করতেও দেখা গেল। এই দুই বিদেশি ক্রিকেটারের মুখে শোনা গেল সেই বিখ্যাত সংলাপ—মুরব্বি মুরব্বি.
রংপুর ভিডিওটি প্রকাশ করেছে গতকাল। ভিডিওতে ওপেনার হেলস করছিলেন ব্যাটিং অনুশীলন আর ইফতিখার ফিটনেস ট্রেনিং। পাকিস্তানি ক্রিকেটার ইফতিখার চেয়ারের ওপরে রাখা কফি কাপ নিতে গেলে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা হেলস বলে ওঠেন—‘মুরব্বি মুরব্বি...উঁহুহ উঁহু..!’
ইফতিখার আর চুপ থাকবেন কেন, তিনিও জুড়ে দিয়েছেন—‘সোনামণি সোনামণি, বসো বসো...!’ জনপ্রিয় এ সংলাপটি বেশ কয়েক মাস ধরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রেন্ডিং।
স্ক্রিনশট/রংপুর রাইডার্সউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কিছু কিছু দলের কথায় মনে হয়, তারাই সব করেছে: নজরুল ইসলাম খান
২০২৪ সালের জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে বিএনপি এবং এর সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীরা বেশি শহীদ হয়েছেন বলে দাবি করেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, অথচ কিছু লোকের কথায় মনে হয় তারাই সব করেছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আন্দোলনে কারা বেশি অংশগ্রহণ করেছে, সে অনুযায়ী গুরুত্ব পাওয়া উচিত না? কিন্তু আমাদের কিছু কিছু সংগঠনের, কিছু লোকের কথায় মনে হয়, তারাই সব করেছে। কথার ভেতরে মনে হয় তারাই সব করেছে আরকি। ভাই ভেতরে ভেতরে করেছেন কিন্তু বাহিরে আসার সাহস পাননি কেন?’
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী গণ–আন্দোলনে শহীদ ডা. মিলন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় নজরুল ইসলাম খান এসব কথা বলেন। আলোচনা সভার আয়োজন করে ’৯০–র ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য।
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে অর্জিত বিজয়কে বিভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার নানা অপচেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেন নজরুল ইসলাম খান বলেন, সে অপচেষ্টাকে মোকাবিলা করতে হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, বিএনপিই একমাত্র দল, যাদের দীর্ঘ সময় রাষ্ট্র পরিচালনার অভিজ্ঞতা আছে। জনগণের সমর্থন পেলে সেসব অভিজ্ঞতা জনকল্যাণে কাজে লাগানো হবে। একই সঙ্গে অতীতের ভুলগুলো থেকে পাওয়া শিক্ষা কাজে লাগানো হবে।
বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক ফোরামের এ নেতা বলেন, ‘আমাদের লড়াইকে বিভ্রান্ত করার অনেক চেষ্টা হয়েছে, কিন্তু তা সফল হয়নি। একবার ভাবুন, এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন যখন অত্যন্ত শক্তিশালী, সেই সময়ে জাতির সঙ্গে বেইমানি করে দুটি রাজনৈতিক দল—আওয়ামী লীগ এবং জামায়াতে ইসলামী—এরশাদের সঙ্গে নির্বাচনে গিয়েছিল।’
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। প্লট দুর্নীতির মামলায় শেখ হাসিনার ২১ বছরের কারাদণ্ডের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্লট বরাদ্দের মামলায় তাঁর (শেখ হাসিনার) ২১ বছরের সাজা হয়েছে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে কারও আইন আদালতে কোনো হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই। রাজনৈতিক দলগুলোর সেখানে প্রভাব বিস্তার করার কিছু নেই। হাসিনার গড়া আদালত, হাসিনার গড়া ট্রাইব্যুনালে তাঁর বিচার হয়েছে।’
সভায় সভাপতির বক্তব্যে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান বলেন, নিরেপক্ষ সরকারের মাধ্যমে শেখ হাসিনা এবং তাঁর দোসরদের বিচার শুরু হয়েছে। এ রায় অবিলম্বে কার্যকর করতে হবে। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষ স্বস্তি পাবে, শহীদ পরিবার স্বস্তি পাবে।
আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল কবির খোকন। এতে আরও বক্তব্য দেন ’৯০–এর সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের নেতারা।