মাদারীপুর জেলার শিবচরে স্কুলে যাওয়ার সময় বেপরোয়া গতির একটি বালুবাহী ড্রামট্রাকের ধাক্কায় মো. বাইজিদ হোসাইন (৯) নামে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। 

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। 

এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে শিবচরের পাঁচ্চরে যাত্রী ছাউনির কাছে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় বালুবাহী ট্রাক শিশুটিকে ধাক্কা দিলে গুরুতর আহত হয়।

নিহত বাইজিদ শিবচর উপজেলার সন্ন্যাসীরচর ইউনিয়নের মো.

ফারুক শরিফ ও মুন্নি আক্তার দম্পতির ছেলে। সে পাঁচ্চরের এক্সপ্রেসওয়ের সংযোগ সড়কের পাশে সাইন প্রি ক্যাডেট স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র।

 

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে অটো রিকশায় করে বাইজিদকে নিয়ে তার মা মুন্নি আক্তার স্কুল সংলগ্ন যাত্রী ছাউনির কাছে নামেন। সংযোগ সড়ক পার হওয়ার জন্য সড়কের পাশেই দাঁড়িয়ে ছিল শিশু বাইজিদ। এ সময় পাঁচ্চর থেকে ছেড়ে আসা বালু বোঝাই একটি ড্রামট্রাক বেপরোয়া গতিতে এসে শিশুটিকে ধাক্কা দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে পাঁচ্চর রয়েল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। সেখানে শনিবার রাতে তার মৃত্যু হয়। 

স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিনই এক্সপ্রেসওয়ের সংযোগ সড়কে অসংখ্য ড্রামট্রাক বালু নিয়ে যাওয়া-আসা করে। এ সকল ট্রাকের বেশির ভাগ চালকই অপ্রাপ্ত বয়স্ক। কোনো ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই এসকল চালকদের। সড়কে বেপরোয়া গতিতে চলাচল করে তারা। বৃহস্পতিবার সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় শিশুকে ধাক্কা দেয় একটি ড্রামট্রাক। এগুলো বন্ধ করা জরুরী।

শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রতন শেখ বলেন, “মো. বাইজিদ হোসাইন নামের তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্র গত বৃহস্পতিবার ট্রাকের ধাক্কায় আহত হলে শনিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অবস থ য়

এছাড়াও পড়ুন:

গাজীপুরে এটিএম বুথে ধর্ষণের অভিযোগ, অভিযুক্ত পলাতক

গাজীপুরের শ্রীপুরে অধিক বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এক নারী পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে একটি এটিএম বুথের নিরাপত্তা প্রহরীর বিরুদ্ধে।

সোমবার (১৬ জুন) সকালে ওই নারী শ্রমিকের বাবা বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। 

রবিবার (১৫ জুন) সকালে শ্রীপুর উপজেলার মুলাইদ গ্রামের এমসি বাজার এলাকায় তালহা স্পিনিং মিল সংলগ্ন একটি ব্যাংকের এটিএম বুথে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ ।

ভুক্তভোগী নারী স্থানীয় একটি কারখানায় ৬ হাজার টাকা বেতনে কাজ করতেন। অভিযুক্ত নিরাপত্তা প্রহরী মো. লিটন (৩৫) তালহা স্পিনিং মিল সংলগ্ন বুথে দায়িত্ব পালন করতেন। 

লিটন ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার ডুবাইল গ্রামের মৃত আব্দুল আউয়ালের ছেলে। বর্তমানে তিনি মুলাইদ গ্রামের আতাব উদ্দিনের বাড়িতে ভাড়া থাকেন এবং ফাস্ট সলিউশন লিমিটেড নামের একটি নিরাপত্তা নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের অধীনে চাকরি করতেন।

থানায় দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, এটিএম বুথে টাকা তোলার সূত্র ধরে এই নারী শ্রমিকের সঙ্গে পরিচয় হয় লিটনের। একপর্যায়ে লিটন ভুক্তভোগীকে ১২ হাজার টাকা বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে রবিবার সকালে তার বাবার মোবাইলে ফোন করে ডেকে আনেন। সকাল ৬টার দিকে বুথে গেলে লিটন তাকে ভেতরে একটি ছোট কক্ষে বসিয়ে রাখেন এবং জানান যে, নতুন চাকরির উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এসে তার সাক্ষাৎকার নেবেন।

ভিকটিমের বাবা দুইবার মেয়ে চাকরির বিষয়ে খোঁজ নিলে লিটন জানান, চিন্তার কিছু নেই, সব ঠিক আছে। তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেব। এরপর আনুমানিক সকাল ১০টার দিকে লিটন কক্ষে ঢুকে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। বাড়ি ফেরার পথে মেয়ে তার বাবাকে ঘটনাটি জানায়।

ঘটনার বিষয়ে ফাস্ট সলিউশন লিমিটেডের সুপারভাইজার মো. হানিফের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি মোবাইল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল বারিক জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং অভিযুক্ত লিটন পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে। দ্রুতই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরো জানান, ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষা গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সম্পন্ন করা হয়েছে।

ঢাকা/রফিক/টিপু  

সম্পর্কিত নিবন্ধ