লিটন-পেরেরা ২৮ বলে ৮১ রানের জুটিতে ঢাকার চ্যালেঞ্জিং স্কোর
Published: 20th, January 2025 GMT
ধীর গতির উইকেট। বল একটু থেমে থেমে আসছিল। চাইলেই বড় শট খেলা যাচ্ছিল না।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা ঢাকা ক্যাপিটালস বড় কিছুর প্রত্যাশাতেও হয়তো ছিলেন না। সিলেটের বোলিংও শুরুর দিকে ও মাঝপথে ছিল নিয়ন্ত্রিত। কিন্তু ইনিংসের শেষ দিকে লিটন ও পেরেরা যা করলেন তাতে পাল্টে গেল সব হিসেব নিকেশ।
১৪.৩ ওভারে সাব্বির রহমান আউটের সময় ঢাকার রান ৪ উইকেটে ১০৪। সেখান থেকে শেষ ৩৩ বলে ৯২ রান যোগ করে ঢাকা। ২০ ওভার শেষে ঢাকার স্কোর ৬ উইকেটে ১৯৬। লিটন ও পারেরা পঞ্চম উইকেট জুটিতে মাত্র ২৮ বলে ৮১ রান জমা করেন। তাতেই পাল্টে যায় স্কোরবোর্ডের চিত্র।
আরো পড়ুন:
নাহিদের পরে পিএসএলে দল পেলেন লিটন
হঠাৎ দুবাইয়ে লিটন দাস
সিলেটের জার্সিতে প্রথমবার সুযোগ পাওয়া সুমন খান শুরুতে তানজিদের শাসনের শিকার হন। প্রথম ওভারে এক ছক্কার পর তৃতীয় ওভারে একটি করে চার ও ছক্কার তিক্ত স্বাদ পেতে হয় ডানহাতি পেসারকে। ভালো শুরু পাওয়া তানজিদ অবশ্য ইনিংসটি লম্বা করতে পারেননি। ১৬ বলে ২২ রান তুলে বাঁহাতি স্পিনার টিপু সুলতানের বলে সীমানায় ক্যাচ দেন। তরুণ স্পিনার পেয়ে যান নিজের প্রথম বিপিএল উইকেট।
পাওয়ার প্লে’ ভালোই কাটছিল সিলেটের। কিন্তু পঞ্চম ওভারে অ্যারোন ফিঞ্চকে বোলিংয়ে এনে সব ওলটপালট করেন আরিফুল। ডানহাতি স্পিনার ১৯ রান বিলিয়ে আসেন। লিটন দুটি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান। কোর্টজের ব্যাট থেকে আসে এক চার। তাতে পাওয়ার প্লে’তে ১ উইকেটে ঢাকার রান ৫৩। সিলেটের একাদশে ফেরা সামিউল্লাহ সেনাওয়ারি এরপর দুই উইকেট নিয়ে দলকে দারুণভাবে ম্যাচে ফেরান। কোর্টজেকে জাকের আলীর হাতে তালুবন্দি করানোর পর মোসাদ্দেককে ৪ রানে থামিয়ে দেন।
তখনও বোঝা যাচ্ছিল না ঢাকার রান দুইশর কাছাকাছি যাবে। দুইটি জুটি পাল্টে দেয় ঢাকার ব্যাটিং চিত্র। ৩৮ বলে ৪২ রানের জুটি গড়েন সাব্বির ও লিটন। এই জুটি গড়ার পথে লিটন তুলে নেন ফিফটি। সাব্বির ২ ছক্কায় দ্রুত ২৪ রান তুলে বিদায় নিলেও লিটন ইনিংস লম্বা করেন। তাকে নেমে দারুণ সঙ্গ দেন ঢাকার অধিনায়ক থিসারা পেরেরা। দুজন মাত্র ২৮ বলে ৮১ রান যোগ করেন স্কোরবোর্ডে। যেখানে ১৫ বলে পেরেরা করেন ৩১ রান। লিটন ১৩ বলে যোগ করেন ৩০ রান।
তাদের ওই ঝড়ে সিলেটের বোলাররা বেহিসেবী রান দেন। লিটন ও পেরেরা কেউই শেষ পর্যন্ত টিকতে পারেননি। ৪৮ বলে ৪টি করে চার ও ছক্কায় ৭০ রান করেন লিটন। ৩টি করে চার ও ছক্কায় ১৭ বলে ৩৭ রান আসে পেরেরার ব্যাট থেকে। তার ক্যাচ নিতে গিয়ে শেষ ওভারে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন সিলেটের অধিনায়ক আরিফুল। সীমানায় দারুণ ক্ষীপ্রতায় দৌড়ে বল তালুবন্দি করেন আরিফুল। শরীরের ভারসাম্য রাখতে গিয়ে সেখানে চোট পান।
সিলেটের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন টিপু সুলমান ও সামিউল্লাহ শেনওয়ারি।
চট্টগ্রাম/ইয়াসিন/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল টন দ স ব প এল উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
চাষাঢ়ায় আওয়ামী লীগ অফিসে বোমা হামলার রায় ১ আগষ্ট
নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় আওয়ামী লীগ অফিসে বর্বরোচিত বোমা হামলার রায় আগামী ১ আগষ্ট। দীর্ঘ ২৪ বছর পরে অবশেষে আলোচিত এই মামলাটির বিচার কাজ শেষ হতে যাচ্ছে।
২০০১ সালের ১৬ জুন চাষাঢ়া আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ভয়াবহ বোমা হামলার ঘটনায় ২০ জন নেতাকর্মী নিহত হয়। সেদিন নিহত হয়েছিল শহর ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুল হাসান বাপ্পী, সরকারী তোলারাম কলেজ ছাত্র-ছাত্রী সংসদের সাবেক জিএস আকতার হোসেন ও তার ভাই সঙ্গীত শিল্পী মোশাররফ হোসেন মশু, সঙ্গীত শিল্পী নজরুল ইসলাম বাচ্চু, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের তৎকালীন যুগ্ম সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন ভাসানী, নারায়ণগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এ বি এম নজরুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা সাইদুর রহমান সবুজ মোল্লা, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী পলি বেগম, ছাত্রলীগ কর্মী স্বপন দাসসহ ২০ জন।
নৃশংস এ বোমা হামলার ঘটনায় দু’টি মামলা দায়ের করা হয়। এক যুগ পরে ২০১৩ সালে ৬জনকে অভিযুক্ত ও ৩১জনকে অব্যাহতি প্রদান করে চার্জশীটটি দাখিল করে তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি।
অভিযুক্ত ৬জন হলেন সেচ্ছাসেবক দলের সাবেক নেতা শাহাদাতউল্লাহ জুয়েল, হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি আব্দুল হান্নান (ইতোমধ্যে অপর এক মামলায় মৃত্যুদন্ড কার্যকর), জঙ্গী নেতা ওবায়দুল্লাহ রহমান, ভারতের দিল্লী কারাগারে আটক সহোদর আনিসুল মোরসালিন, মুহিবুল মুত্তাকিন ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এর ১২নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু।
দু’টি মামলায় ১৩৮ জনকে সাক্ষী করা হলেও গত ১২ বছরে সাক্ষ্যগ্রহণের কাজও চলেছে অনেক ঢিমেতালে। গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় থাকলেও চাঞ্চল্যকর এই মামলার বিচার করা নিয়ে সদিচ্ছার অভাব ছিল। সাক্ষ্যগ্রহণ অত্যন্ত ধীরগতিতে হওয়ায় নিহত ও আহতদের স্বজনরাও ছিলেন চরম হতাশ।
মামলাটির বিচার কার্যক্রম প্রসঙ্গে আদালতের ভারপ্রাপ্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক নয়ন জানান, বিগত সরকারের আমলে মামলাটির বিচার কাজে দীর্ঘসূত্রিতা ছিল।
আলোচিত এই মামলায় ১৯ জন সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। আমরা রাষ্ট্রপক্ষ মামলাটি দ্রুত নিস্পত্তির চেষ্টা করেছি। আশা করছি আগামী ১ আগস্ট মামলাটির রায় ঘোষণা করবেন আদালত।