ধীর গতির উইকেট। বল একটু থেমে থেমে আসছিল। চাইলেই বড় শট খেলা যাচ্ছিল না।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা ঢাকা ক্যাপিটালস বড় কিছুর প্রত্যাশাতেও হয়তো ছিলেন না। সিলেটের বোলিংও শুরুর দিকে ও মাঝপথে ছিল নিয়ন্ত্রিত। কিন্তু ইনিংসের শেষ দিকে লিটন ও পেরেরা যা করলেন তাতে পাল্টে গেল সব হিসেব নিকেশ।

১৪.৩ ওভারে সাব্বির রহমান আউটের সময় ঢাকার রান ৪ উইকেটে ১০৪। সেখান থেকে শেষ ৩৩ বলে ৯২ রান যোগ করে ঢাকা। ২০ ওভার শেষে ঢাকার স্কোর ৬ উইকেটে ১৯৬। লিটন ও পারেরা পঞ্চম উইকেট জুটিতে মাত্র ২৮ বলে ৮১ রান জমা করেন। তাতেই পাল্টে যায় স্কোরবোর্ডের চিত্র।

আরো পড়ুন:

নাহিদের পরে পিএসএলে দল পেলেন লিটন

হঠাৎ দুবাইয়ে লিটন দাস

সিলেটের জার্সিতে প্রথমবার সুযোগ পাওয়া সুমন খান শুরুতে তানজিদের শাসনের শিকার হন। প্রথম ওভারে এক ছক্কার পর তৃতীয় ওভারে একটি করে চার ও ছক্কার তিক্ত স্বাদ পেতে হয় ডানহাতি পেসারকে। ভালো শুরু পাওয়া তানজিদ অবশ্য ইনিংসটি লম্বা করতে পারেননি। ১৬ বলে ২২ রান তুলে বাঁহাতি স্পিনার টিপু সুলতানের বলে সীমানায় ক্যাচ দেন। তরুণ স্পিনার পেয়ে যান নিজের প্রথম বিপিএল উইকেট।

পাওয়ার প্লে’ ভালোই কাটছিল সিলেটের। কিন্তু পঞ্চম ওভারে অ্যারোন ফিঞ্চকে বোলিংয়ে এনে সব ওলটপালট করেন আরিফুল। ডানহাতি স্পিনার ১৯ রান বিলিয়ে আসেন। লিটন দুটি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান। কোর্টজের ব্যাট থেকে আসে এক চার। তাতে পাওয়ার প্লে’তে ১ উইকেটে ঢাকার রান ৫৩। সিলেটের একাদশে ফেরা সামিউল্লাহ সেনাওয়ারি এরপর দুই উইকেট নিয়ে দলকে দারুণভাবে ম্যাচে ফেরান। কোর্টজেকে জাকের আলীর হাতে তালুবন্দি করানোর পর মোসাদ্দেককে ৪ রানে থামিয়ে দেন।

তখনও বোঝা যাচ্ছিল না ঢাকার রান দুইশর কাছাকাছি যাবে। দুইটি জুটি পাল্টে দেয় ঢাকার ব্যাটিং চিত্র। ৩৮ বলে ৪২ রানের জুটি গড়েন সাব্বির ও লিটন। এই জুটি গড়ার পথে লিটন তুলে নেন ফিফটি। সাব্বির ২ ছক্কায় দ্রুত ২৪ রান তুলে বিদায় নিলেও লিটন ইনিংস লম্বা করেন। তাকে নেমে দারুণ সঙ্গ দেন ঢাকার অধিনায়ক থিসারা পেরেরা। দুজন মাত্র ২৮ বলে ৮১ রান যোগ করেন স্কোরবোর্ডে। যেখানে ১৫ বলে পেরেরা করেন ৩১ রান। লিটন ১৩ বলে যোগ করেন ৩০ রান।

তাদের ওই ঝড়ে সিলেটের বোলাররা বেহিসেবী রান দেন। লিটন ও পেরেরা কেউই শেষ পর্যন্ত টিকতে পারেননি। ৪৮ বলে ৪টি করে চার ও ছক্কায় ৭০ রান করেন লিটন। ৩টি করে চার ও ছক্কায় ১৭ বলে ৩৭ রান আসে পেরেরার ব্যাট থেকে। তার ক্যাচ নিতে গিয়ে শেষ ওভারে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন সিলেটের অধিনায়ক আরিফুল। সীমানায় দারুণ ক্ষীপ্রতায় দৌড়ে বল তালুবন্দি করেন আরিফুল। শরীরের ভারসাম্য রাখতে গিয়ে সেখানে চোট পান। 
সিলেটের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন টিপু সুলমান ও সামিউল্লাহ শেনওয়ারি। 
 

চট্টগ্রাম/ইয়াসিন/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল টন দ স ব প এল উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকা পোস্টের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কামরুল ইসলাম

নিউজ পোর্টাল ঢাকা পোস্টের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মো. কামরুল ইসলাম।

শনিবার (২ আগস্ট) ঢাকা পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন দায়িত্ব গ্রহণের সময় তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা। এ সময় ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক পেশাগত কাজে সহযোগিতা করতে প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের প্রতি অনুরোধ জানান।

মো. কামরুল ইসলাম একজন অভিজ্ঞ জনসংযোগ বিশেষজ্ঞ, যিনি কৌশলগত যোগাযোগ, মিডিয়া ব্যবস্থাপনা এবং ব্র্যান্ডিংয়ের ক্ষেত্রে প্রায় তিন দশকের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। তিনি ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের জেনারেল ম্যানেজার (পাবলিক রিলেশনস) হিসেবে কর্মরত।

আরো পড়ুন:

সাংবাদিক সাঈদুর রহমান রিমনের জানাজা অনুষ্ঠিত

অনুমতি ছাড়া কাউন্সিলে নাম, প্রত্যাহার চেয়ে ক্ষোভ নূরুল কবীরের

তিনি ইউনাইটেড এয়ারওয়েজে ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (পিআর ও মার্কেটিং সাপোর্ট) এবং জিএমজি এয়ারলাইন্সে বিভিন্ন দায়িত্বশীল পদে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। মিডিয়া সম্পর্ক উন্নয়ন, সংকট মোকাবিলা এবং সোশ্যাল মিডিয়া কৌশল নির্ধারণে তার দক্ষতা প্রতিষ্ঠানগুলোর ভাবমূর্তি গঠনে সহায়ক হয়েছে।

কামরুল ইসলাম শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।তার লেখালেখি দক্ষতাও প্রশংসনীয়—বিমান ও পর্যটন বিষয়ে ‘Blackbox’ নামক বই এবং প্রায় ১০০টি পত্রিকায় কলাম প্রকাশিত হয়েছে। তিনি একজন জনপ্রিয় পাবলিক স্পিকার, যিনি নিয়মিত টক শো এবং কমিউনিকেশন বিষয়ক সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন।

তার অসামান্য কর্মদক্ষতার স্বীকৃতি হিসেবে তিনি অ্যাভিয়েশন পার্সোনালিটি অব দ্যা ইয়ার-২০২৪ সহ একাধিক আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। কামরুল ইসলাম একজন দক্ষ সংগঠক, যিনি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশি অ্যাভিয়েশন ব্র্যান্ডিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন।

কামরুল ইসলাম ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সে মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) হিসেবে কাজ করছেন দীর্ঘ সময় ধরে। তিনি জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্য। এছাড়া তিনি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (শাকসু) জিএস ছিলেন (১৯৯৪-৯৫), সাস্ট ক্লাব লিমিটেডের (২০১৯-২১) সাবেক প্রেসিডেন্ট।

ঢাকা/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ