বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত মো. রিয়াজের বরিশালের বাড়িতে গিয়েছেন নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। সেখানে তিনি রিয়াজের নামে বরিশালের হিজলায় লঞ্চঘাটের পন্টুন উদ্বোধন করেন।

রবিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে বরিশালের হিজলাতে বিআরডব্লিওটিপি-১ প্রকল্পের আওতাধীন হিজলা লঞ্চঘাট নির্মাণ কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে রিয়াজের গ্রামের বাড়িতে যান নৌপরিবহন উপদেষ্টা।

এ সময় রিয়াজের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন এবং তাদের সান্ত্বনা দেন উপদেষ্টা। তিনি রিয়াজের পরিবারের হাতে নগদ আর্থিক সহায়তা তুলে দেন। সরকারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাসও দেন তিনি। শেষে উপদেষ্টা রিয়াজের কবর জিয়ারতও করেন।

চব্বিশের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে নিহত রিয়াজের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও তার স্মৃতিকে স্মরণীয় করে রাখতে রিয়াজের নামে বরিশালের হিজলায় একটি লঞ্চঘাটের পন্টুন উদ্বোধন করেন উপদেষ্টা। রবিবার সকালে উপজেলার গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের ঘোষের চর লঞ্চঘাটে ওই পন্টুন উদ্বোধন করেন তিনি। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান আরিফ আহমেদ মোস্তফা, বন্দর ও পরিবহন বিভাগের পরিচালক আরিফ উদ্দিন, প্রধান প্রকৌশলী মহিদুল ইসলাম, বরিশাল নৌ-পুলিশ সুপার এস এম নাজমুল হক, হিজলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গির হোসেন প্রমুখ।

রিয়াজ বরিশাল জেলার হিজলা উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের মাহমুদুল হকের ছেলে। তিনি বরিশাল মুলাদী ডিগ্রি কলেজের স্নাতক (সম্মান) শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ৪ আগস্ট ঢাকার জিগাতলা এলাকায় মিছিলে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) ভর্তি হন তিনি। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৭ আগস্ট তিনি মারা যান।

ঢাকা/আসাদ/এনএইচ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

কাশবনের হাতছানিতে ব্রহ্মপুত্রের তীরে ভিড়

চারদিকে জেগে ওঠা ব্রহ্মপুত্র নদের বালুচর। এর মাঝখানে স্বচ্ছ পানির আধার। ওপরে নীল আকাশে ভেসে বেড়ানো সাদা মেঘ। আর চরজুড়ে শুভ্র কাশফুল। প্রকৃতির দানেই তৈরি হয়েছে এ মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। বাতাসে দুলতে থাকা কাশফুলের এ সৌন্দর্য ভ্রমণপিপাসুদের মনে দেয় একধরনের প্রশান্তি। তাই প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় করছেন এখানে।

এ অপার সৌন্দর্যের দেখা মিলবে জামালপুর শহরের ফৌজদারি এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে। প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত নদের ধারে ভিড় করছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষের। সবাই নিজেদের মতো করে ছবি তুলছেন, কেউবা কাশফুল ছিঁড়ে তৈরি করছেন তোড়া।

গত মঙ্গলবার বিকেলে গিয়ে দেখা যায়, শহরের মোড় থেকে শুরু করে নদের তীর পর্যন্ত মানুষের ভিড়। ছোট্ট একটি সেতু পার হয়ে সবাই ছুটছেন নদীর ধারে। প্রায় এক কিলোমিটারজুড়ে ফুটেছে কাশফুল। সবুজ লম্বা পাতার বুক থেকে বেরিয়ে আসা শুভ্র কাশফুল কোথাও থোকা থোকা, কোথাও গুচ্ছ আকারে। দূর থেকে মনে হবে, বালুচরে যেন সাদা চাদর বিছানো। হাওয়ায় দুলে ওঠা কাশফুলে মন ভরে যাচ্ছে দর্শনার্থীদের।
চরের যে অংশে কাশবনের সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে জনবসতি নেই। আছে স্বচ্ছ পানির লেকের মতো একটি ডোবা। কাশফুলঘেরা সেই পানিতে ডিঙিনৌকা নিয়ে ঘুরছেন দর্শনার্থীরা। শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মানুষ কেউ ছবি তুলছেন, কেউবা সন্তানদের নিয়ে খেলায় মেতে উঠেছেন।

ব্রহ্মপুত্র নদের চরের যে অংশে কাশবনের সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে জনবসতি নেই। আছে স্বচ্ছ পানির লেকের মতো একটি ডোবা

সম্পর্কিত নিবন্ধ