ছাত্র-আন্দোলনে নিহত রিয়াজের বাড়িতে নৌপরিবহন উপদেষ্টা
Published: 20th, January 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত মো. রিয়াজের বরিশালের বাড়িতে গিয়েছেন নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। সেখানে তিনি রিয়াজের নামে বরিশালের হিজলায় লঞ্চঘাটের পন্টুন উদ্বোধন করেন।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে বরিশালের হিজলাতে বিআরডব্লিওটিপি-১ প্রকল্পের আওতাধীন হিজলা লঞ্চঘাট নির্মাণ কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে রিয়াজের গ্রামের বাড়িতে যান নৌপরিবহন উপদেষ্টা।
এ সময় রিয়াজের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন এবং তাদের সান্ত্বনা দেন উপদেষ্টা। তিনি রিয়াজের পরিবারের হাতে নগদ আর্থিক সহায়তা তুলে দেন। সরকারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাসও দেন তিনি। শেষে উপদেষ্টা রিয়াজের কবর জিয়ারতও করেন।
চব্বিশের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে নিহত রিয়াজের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও তার স্মৃতিকে স্মরণীয় করে রাখতে রিয়াজের নামে বরিশালের হিজলায় একটি লঞ্চঘাটের পন্টুন উদ্বোধন করেন উপদেষ্টা। রবিবার সকালে উপজেলার গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের ঘোষের চর লঞ্চঘাটে ওই পন্টুন উদ্বোধন করেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান আরিফ আহমেদ মোস্তফা, বন্দর ও পরিবহন বিভাগের পরিচালক আরিফ উদ্দিন, প্রধান প্রকৌশলী মহিদুল ইসলাম, বরিশাল নৌ-পুলিশ সুপার এস এম নাজমুল হক, হিজলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গির হোসেন প্রমুখ।
রিয়াজ বরিশাল জেলার হিজলা উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের মাহমুদুল হকের ছেলে। তিনি বরিশাল মুলাদী ডিগ্রি কলেজের স্নাতক (সম্মান) শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ৪ আগস্ট ঢাকার জিগাতলা এলাকায় মিছিলে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) ভর্তি হন তিনি। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৭ আগস্ট তিনি মারা যান।
ঢাকা/আসাদ/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
বিবিসির বিশ্লেষণ: শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় কেন ভারতকে বিব্রত করবে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেওয়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মৃত্যুদণ্ডের রায় ভারতকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে দিয়েছে বলে মনে করছেন বিবিসির গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স রিপোর্টার অ্যানবারাসান ইথিরাজান।
তিনি লিখেছেন, এখন আশা করা হচ্ছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হাসিনাকে ফেরানোর জন্য প্রত্যর্পণের অনুরোধ পাঠাবে। ২০২৪ সালের আগস্টে দেশ ছাড়ার পর থেকে তিনি ভারতে বসবাস করছেন।
আরো পড়ুন:
শেখ হাসিনার রায় নিয়ে ভারতের প্রতিক্রিয়া
বিচার স্বচ্ছ ও আন্তর্জাতিকমানের, প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই: জামায়াত
ঢাকার আগের দাবিগুলোর জবাব ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে দেয়নি। দুই দেশের মধ্যে একটি প্রত্যর্পণ চুক্তিও রয়েছে।
তবে আইনি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি মনে হয় হাসিনার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বা সৎউদ্দেশ্যে করা হয়নি, তাহলে ভারত সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করতে পারে।
ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রিত্বের সময়ে তিনি ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। ভারতে তাকে ফেরত না পাঠানোর ব্যাপারে দেশটির সর্বদলীয় রাজনৈতিক পর্যায়েও এক ধরনের ঐকমত্য রয়েছে।
দিল্লির কাছে বাংলাদেশ শুধু প্রতিবেশী নয়, এটি কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সীমান্ত নিরাপত্তার জন্য।
অ্যানবারাসান ইথিরাজান লিখেছেন, ভারত যেন টানটান করে বাঁধা দড়ির ওপর হাঁটছে; কারণ হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে অস্বীকার করলে তা কূটনৈতিক অবজ্ঞা হিসেবে দেখা যেতে পারে, যা দুই দেশের সম্পর্ককে আরো খারাপ করতে পারে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে মামলায় সোমবার (১৭ নভেম্বর) ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকেও মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
এর আগে গত ১৩ নভেম্বর রায় ঘোষণার জন্য আজকের তারিখ নির্ধারণ করেন আদালত।
ঢাকা/রাসেল