বন্দরে কার্গো চাপায় শ্রমিক নিহতের ঘটনায় মামলা
Published: 23rd, January 2025 GMT
বন্দরে রাস্তা পারাপারের সময় কার্গো চাপায় ইয়াসিন আরাফাত (২০) নামে এক শ্রমিক নিহতের ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের হয়েছে।
এ ব্যাপারে নিহত শ্রমিকের মা শাহিনূর আক্তার রুনা বেগম বাদী হয়ে গত বুধবার (২২ জানুয়ারী) রাতে আটককৃত চালক রিয়াদ হোসেনকে আসামী করে বন্দর থানায় সড়ক র্দূঘটনা আইনে এ মামলা দায়েরের করেন।যার মামলা নং- ৩১(১)২৪।
আটককৃত চালক রিয়াদ হোসেন লক্ষীপুর জেলার সদর থানার বালাইশপুর এলাকার আক্তার হোসেন মিয়ার ছেলে। আটককৃতকে উল্লেখিত মামলায় বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারী) দুপুরে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।
এর আগে গত বুধবার (২২ জানুয়ারী) সকাল ১০টায় বন্দর উপজেলার ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের কেওঢালা পেপার মিলের সামনে এ র্দূঘটনাটি ঘটে।
নিহত শ্রমিক ইয়াসিন আরাফাত বন্দর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের লাউসার এলাকার মৃত আকরাম হোসেন মিয়ার ছেলে। সে কেওঢালা এলাকায় অবস্থিত রহমান স্পোর্টস ওয়ার লিমিটেডের নির্মাণ শ্রমিক।
উল্লেখ্য ,গত বুধবার সকাল ১০ টার দিকে ইয়াসিন আরাফাত রাস্তা পার পার হচ্ছিল। এসময় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী লামিয়া মাইশা কার্গো সার্ভিস (ঢাকা মেট্রো ট ১৮-৫৯৫৫) একটি কার্গো চাপা দিলে ঘটনাস্থলে মারা যায় ইয়াসিন।
খবর পেয়ে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার এস আই মতিউর রহমানসহ সঙ্গীয় ফোর্স দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে ময়না তদন্তের জন্য লাশ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা ঘাতক চালক রিয়াদকে আটক করে পরে পুলিশে সোর্পদ করে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
গজারিয়ায় জনতার হাতে আটক ৩, অস্ত্র-গুলি উদ্ধার
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ২১ রাউন্ড কার্তুজ, ৩টি রামদা, ২০টি ককটেল ও ৬টি পেট্রলবোমাসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের শিমুলিয়া গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়ার ছেলে আবু হানিফ (৪২), চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার হাঁপানিয়া গ্রামের জসীম ব্যাপারীর ছেলে রাসেল (২৫) এবং গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের বালুয়াকান্দি গ্রামের মুজাফফর ব্যাপারীর ছেলে লোকমান (৩০)।
আরো পড়ুন:
ঢামেক হাসপাতালে নিরাপত্তা জোরদার
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সম্প্রতি এলাকায় চুরি-ডাকাতি বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয়ভাবে গ্রাম পাহারার ব্যবস্থা করা হয়। গত রাত আড়াইটার দিকে ১০-১২ জন লোকের উপস্থিতি টের পায় পাহারাদার দল। এ সময় তাদের ধাওয়া দেওয়া হলে কয়েকজন পালিয়ে গেলেও জনতার হাতে আটক হন তিনজন। পরে আটককৃতদের কাছ থেকে ২১টি কার্তুজ, ৩টি রামদা, ২০টি ককটেল ও ৬টি পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়। গণপিটুনি দিয়ে তাদের আটকে রাখে উত্তেজিত জনতা। শুক্রবার তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নূরে আলম জিকু বলেন, ‘‘আহত তিনজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তবে, কারো আঘাতই গুরুতর নয়। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের পুলিশের কাছে দেওয়া হয়েছে।’’
গজারিয়া থানার ওসি মো. হাসান আলী বলেন, ‘‘জনতার হাতে আটক তিনজনকে থানায় আনা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে কিছু অস্ত্র-গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’’
ঢাকা/রতন/রাজীব