খেলাধুলা শুধু ছোটদের না, বড়দেরও দরকার: কাদের গনি চৌধুরী
Published: 25th, January 2025 GMT
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেছেন, ইন্টারনেটের এই যুগে আমরা স্মার্টফোনের গেম খেলতে খেলতে সত্যিকারের খেলা প্রায় ভুলতেই বসেছি। কিন্তু খেলাধুলা করা দেহের জন্য যেমন দরকারি তেমনি মনের সুস্থতায়ও উপকারী। আর হ্যাঁ, খেলাধুলা শুধু ছোট বাচ্চাদের জন্য না, বড়দের জন্যও অনেক দরকার।
তিনি বলেন, ছোট বাচ্চাদের খেলার উপকারিতা শেখাতে গিয়ে নিজের ব্যাপারটাও ভুলে যাবেন না। ঘর ও কাজের মাঝে প্রতিদিন ৩০ মিনিট সময় বের করুন খেলার জন্য, পরিবারের সবাইকে উদ্বুদ্ধ করুন এই ব্যাপারে। আর অবশ্যই একে বাধ্যবাধকতা না মনে করে খেলাকে শখ হিসেবে গ্রহণ করুন, পরিবারের সঙ্গে খেললে পারিবারিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে সেই সঙ্গে সময়টাও আনন্দে কাটবে।
শনিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির শাহনগরে প্রগতি সংঘ আয়োজিত শফিউল আজম স্মৃতি প্রগতি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।
কাদের গনি চৌধুরী বলেন, খেলাধুলা ও শারীরিক শিক্ষা এমন একটি মাধ্যম, যার মাধ্যমে শারীরিক ও মানসিক পরিপূর্ণতা, সুস্থতা ও বিকাশ সাধন সম্ভব। দুর্ভাগ্যের বিষয়, আমাদের দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে খেলার মাঠ ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। খেলাধুলার প্রতি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা আগ্রহ হারাচ্ছেন। অথচ বুদ্ধির বিকাশে লেখাপড়ার পাশাপাশি ভূমিকা রাখে খেলাধুলা। খেলাধুলা শিশুর শারীরিক, মানসিক, সামাজিক বিকাশসহ বিভিন্ন উপায়ে শিখতে এবং বেড়ে উঠতে সাহায্য করে। খেলাধুলা শিশুর সৃজনশীলতা ও কল্পনা বিকাশেও সহায়তা করে।
খেলাধুলা শুধু শারীরিক কার্যকলাপ নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি একটি উন্নত শিল্পও বটে। স্বাস্থ্য ভালো থাকলে মনও ভালো থাকে। সুস্থ দেহ ও মন কাজের প্রতি আগ্রহ এবং কাজের গতি বাড়ায়। খেলাধুলার মাধ্যমে একজন মানুষ শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা লাভের পাশাপাশি ভ্রাতৃত্ব, সহমর্মিতা ও নেতৃত্বের গুণ অর্জন করে। কিন্তু আমাদের দেশে খেলাধুলা ও শারীরিক শিক্ষার পর্যাপ্ত সুযোগ না থাকায় বর্তমান প্রজন্ম শারীরিকভাবে দুর্বল হয় এবং মানসিকভাবে বিষণ্নতায় ভোগে, বিপথগামী ও মাদকাসক্ত হয়ে ওঠে এবং নিজেদের কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে যুক্ত করে। আবার অনেকে আত্মহত্যার পথও বেছে নেয়।
তিনি বলেন, দেশ ও জাতিগঠনে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলাকেও গুরুত্ব দিতে হবে। প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষার স্তরগুলোয় খেলাধুলা ও শারীরিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন। তা না হলে বছরে দুই-চারটি টুর্নামেন্টের আয়োজন করা রাষ্ট্রের অর্থের অপচয় ছাড়া আর কিছু নয়। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় শারীরিক শিক্ষার প্রশিক্ষিত শিক্ষক থাকা সত্ত্বেও শারীরিক শিক্ষা ও খেলাধুলা অবহেলিত, উপেক্ষিত, বিশেষ করে কলেজ পর্যায়ে। কলেজ পর্যায়ে শুধু শারীরিক শিক্ষা ও খেলাধুলাই অবহেলিত নয়, শারীরিক শিক্ষার শিক্ষকরাও চরমভাবে অবহেলিত। কলেজ পর্যায়ে শারীরিক শিক্ষা বিষয়টি চালুর মাধ্যমে এ বিষয়ের শিক্ষকদের প্রভাষক পদমর্যাদায় উন্নীত করে তাদের মেধা ও দক্ষতার বিকাশ ঘটনোর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা, মেধা, শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঘটানো সম্ভব। আর এর ইতিবাচক ফল ভোগ করবে সমগ্র জাতি।
তিনি আরও বলেন, শারীরিক শিক্ষার শিক্ষকদের মেধা ও দক্ষতাকে কাজে লাগাতে পারলে আমরা আগামী দিনে একটি শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ, দক্ষ এবং অর্থনৈতিকসমৃদ্ধ দেশ গঠন করতে পারব।
প্যানেল চেয়ারম্যান সারোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক মোস্তফা কামরুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জহির আজম চৌধুরী, অধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম, বোরহান উদ্দিন, এম মোরশেদ হাজারী, সৈয়দ জাহেদ কুরেশী, মুন্সী আকতার হোসেন, মাহবুবুল আলম, নাছির উদ্দিন, মোস্তফা কামাল, ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী, ওসমান তাহের সম্রাট, নাসির শিকদার, আমিন তালুকদার প্রমুখ।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ঠিক কতটুকু ডিটারজেন্ট ব্যবহার করলে কাপড় হবে পরিষ্কার, অপচয়ও কমবে
ডিটারজেন্ট কতটুকু ব্যবহার করবেন
গড়পড়তা ২–৩ কেজি কাপড়ের জন্য ২ টেবিল চামচের বেশি ডিটারজেন্ট লাগে না।
ডিটারজেন্টের মাপার ক্যাপ কখনো পূর্ণ করবেন না। অধিকাংশ সময় এত কাপড় একসঙ্গে ধোওয়া হয় না।
একটি মাত্র পোশাক ভিজিয়ে রাখতে চাইলে প্রতি গ্যালন (৩ দশমিক ৭৮ লিটার)
পানিতে ১ চা–চামচ ডিটারজেন্ট যথেষ্ট।
অতিরিক্ত ডিটারজেন্ট ব্যবহারের লক্ষণকাপড়ে ডিটারজেন্টের আস্তর লেগে থাকবে।
কাপড় শক্ত, খসখসে বা আঠালো হয়ে যাবে।
রঙিন কাপড় ম্লান ও সাদা কাপড় ধূসর হয়ে যাবে।
ওয়াশিং মেশিন থেকে দুর্গন্ধ আসবে।
আরও পড়ুনধোয়ার পর কাপড়ের ক্ষতি হবে না, যদি মেনে চলেন এসব উপায়১৪ অক্টোবর ২০২৪কোন কোন বিষয়ের ওপর নির্ভর করবে ডিটারজেন্টের পরিমাণকাপড়ের পরিমাণ ও ধরন: তোয়ালে, বিছানার চাদরের মতো ভারী কাপড়ের জন্য ডিটারজেন্ট একটু বেশি দরকার হয়।
কাপড় কতটা নোংরা: দাগযুক্ত কাপড়ে সামান্য বাড়তি ডিটারজেন্ট দিন।
পানির খরতা: খর পানিতে ডিটারজেন্ট বেশি লাগে, মৃদু পানিতে কম।
হাতে কাপড় ধোওয়ার সময়ছোট বালতি (৩–৮ লিটার পানি): ১ চা–চামচ
মাঝারি বালতি (৯–১৪ লিটার পানি): ২ চা–চামচ
বড় বালতি (১৫ লিটারের বেশি পানি): ১ টেবিল চামচ
কাপড় দেওয়ার আগে পানিতে ডিটারজেন্ট ভালোভাবে গুলিয়ে নিন। তাতে অবশিষ্টাংশ কাপড়ে আটকে থাকবে না।আরও পড়ুনধোয়া কাপড় থেকেও দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে? জেনে রাখুন সমাধান০২ অক্টোবর ২০২৩কাপড়ের ধরন অনুযায়ীসিল্ক ও পশমি কাপড়: ১/২–১ চা–চামচ (প্রতি ৩–৮ লিটার পানি)
সুতি ও সিনথেটিক কাপড়: ১ চা–চামচ (ময়লা বেশি হলে সামান্য বাড়ান)
খুব নোংরা কাপড়: আগে দাগ পরিষ্কার করে নিন, তারপর ১.৫ চা–চামচ পর্যন্ত ডিটারজেন্ট দিন।
দাগ দূর করার টিপসকোনো দাগ সহজে না উঠলে তার ওপর সরাসরি সামান্য ডিটারজেন্ট লাগিয়ে আলতো করে ঘষুন।
পরে পানিতে ভিজিয়ে নিন।
এতে পুরো বালতিতে অতিরিক্ত ডিটারজেন্ট দিতে হবে না।
পর্যাপ্ত ডিটারজেন্ট ব্যবহার করছেন কি না বুঝবেন যেভাবেকাপড় ধোয়ার পর সাবানের আস্তর বা গন্ধ থাকবে না।
কাপড় হবে নরম ও আরামদায়ক।
লন্ড্রি পড ব্যবহার করলেছোট লোড: ১ পড
মাঝারি লোড: ২ পড
বড় লোড: ৩ পড
সূত্র: গুড হাউসকিপিং
আরও পড়ুনবডি স্প্রে নাকি পারফিউম—কখন, কোথায়, কোনটা ব্যবহার করবেন২ ঘণ্টা আগে