শীতের স্নিগ্ধ হাওয়ায় মিষ্টি রোদ মেখে কাটুক আপনার শনিবার। সেটা এমন এক জায়গায়, যেখানে অপেক্ষা করছে সুস্বাদু খাবারের সমারোহ আর আনন্দে ভরা এক মনোমুগ্ধকর অভিজ্ঞতা। হলিডে ইন ঢাকা সিটি সেন্টার-এর বিশেষ ব্রাঞ্চ উৎসব আপনার ও আপনার পরিবারের জন্য নিয়ে এসেছে এমন কিছু চমক যা স্মৃতিতে রয়ে যাবে চিরকাল।

শীতের মিষ্টি বাতাসে ঘুড়ি উড়ানোর আনন্দ নিতে পারেন পরিবারসহ। এই ব্রাঞ্চের অন্যতম আকর্ষণ হলো, সুইমিং পুলে পরিবারসহ মজার সময় কাটানো, ওয়াটার গান খেলা, স্টিম ও সনার অভিজ্ঞতা। এছাড়াও, শিশুদের জন্য সাজানো হয়েছে একটি বিশেষ কিডস প্লে জোন, যেখানে তারা উপভোগ করতে পারবে মজার সব গেমস ও বিনোদন।

এছাড়াও থাকছে সিনেমা দেখার সুযোগ। পাশাপাশি চা প্রেমীদের জন্য রয়েছে টি কর্নার, যেখানে মালাই চা সহ বিভিন্ন ধরনের চা পরিবেশন করা হবে। শীতের ঐতিহ্যবাহী পিঠার স্বাদ নিতে রয়েছে পিঠার কর্নার, যা শীতের সকালকে আরও মধুর করে তুলবে।

যারা একটু ভিন্নধর্মী পানীয় খুঁজছেন, তাদের জন্য মকটেল কর্নারে পরিবেশন করা হবে ২টি কমপ্লিমেন্টারি সিগনেচার মকটেলসহ বিভিন্ন ধরনের নন-অ্যালকোহলিক পানীয়।

এটি শুধুই একটি ব্রাঞ্চ নয়, এটি একটি স্মৃতিময় অভিজ্ঞতা – পরিবার আর প্রিয়জনদের নিয়ে কাটানো সময়, যা সুখের রঙে রাঙিয়ে তুলবে আপনার শীতের সকাল।

এই ব্রাঞ্চে নির্বাচিত ব্যাংক কার্ডে মাত্র পাঁচ হাজার টাকায় মিলবে একটা নিলে দুইটা ফ্রি, আর চার হাজার টাকায় একটা নিলে একটা ফ্রির সুবিধা।


    
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পর ব র র জন য আপন র

এছাড়াও পড়ুন:

জমজমাট নাটকের পর কিংসের শিরোপা উৎসব

সময়ের চেয়েও বেশি দীর্ঘ হলো অপেক্ষা। উত্তেজনার বাঁকে বাঁকে লুকিয়ে ছিল ফুটবলীয় রোমাঞ্চ। শেষ ১৫ মিনিট যেন পরিণত হলো রূপকথার উপসংহারে—যেখানে আবাহনীর স্বপ্ন থেমে যায়, আর বসুন্ধরা কিংস খুঁজে পায় চতুর্থ ফেডারেশন কাপের সোনালি মুহূর্ত।

বৃষ্টির ছন্দে বিভ্রান্ত হওয়া ফাইনাল আবার শুরু হলো এক সপ্তাহ পর। ১-১ সমতায় থাকা ম্যাচের বাকি অংশ গড়ালো ময়মনসিংহ জেলা স্টেডিয়ামে। যেখানে শুরু থেকেই ১০ জনের দল নিয়ে খেলতে নামে কিংস। অতিরিক্ত সময়ে কিছুই হল না। তবে অপেক্ষার পুরস্কার মিলল টাইব্রেকারে।

সেখানে বাজিমাত করলেন কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ। আবাহনীর দ্বিতীয় শট আটকে দিয়ে দলকে দিলেন এগিয়ে যাওয়ার আত্মবিশ্বাস। আর শেষ শটটি নেন ব্রাজিলিয়ান ড্যাসিয়েল, যা গোললাইন পার হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উৎসবে ফেটে পড়ে কিংস শিবির।

আরো পড়ুন:

যে কারণে এবারের লিগ জয়কে এগিয়ে রাখছেন সালাহ

পাঁচ গোলের রোমাঞ্চকর ফাইনালে শেষ হাসি বার্সার

কিছুদিন আগেই আবাহনীর কাছে টাইব্রেকারে হেরেছিল কিংস। এবার সেই হারের উত্তরটা যেন মিলল একই মঞ্চে, একই কৌশলে— তবে ভিন্ন ফলাফলে। মোরসালিন, তপু, ইনসান, জোনাথন আর ড্যাসিয়েল— কেউই ভুল করেননি। আবাহনীর একমাত্র ব্যর্থ শটটি ছিল নাইজেরিয়ান এমেকার, যা ঠেকিয়ে দেন শ্রাবণ। আর মিরাজুলের চতুর্থ শট, যা প্রথমবার ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন শ্রাবণ। কিন্তু রেফারির সিদ্ধান্তে আবার নিতে হয়। তাতেও গোল হলেও ততক্ষণে কিংস হয়ে গেছে অপ্রতিরোধ্য।

এদিন মাত্র ১৫ মিনিট খেলা হলেও মাঠের উত্তাপ ছিল পূর্ণদৈর্ঘ্য নাটকের মতো। শুরুতেই হলুদ কার্ড দেখেন আবাহনীর সুমন রেজা ও অধিনায়ক হৃদয়। আগের ম্যাচেও হলুদ-লাল কার্ডে ভরা ছিল দৃশ্যপট। ফুটবল এখানে শুধু কৌশলের খেলা নয় তা যেন হয়ে ওঠে মানসিক স্থিতির পরীক্ষাও।

এই জয়ে বসুন্ধরা কিংস চতুর্থবারের মতো ফেডারেশন কাপ জয় করল। একই সঙ্গে আবাহনীকে প্রথমবার কোনো ফাইনালে হারানোর কৃতিত্বও অর্জন করল তারা। অতীতে দুই ফাইনালে পরাজিত হয়েছিল কিংস। এবার তারা সেই রেকর্ড মুছে দিল নির্ভার ফুটবলে।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অবশ্যম্ভাবী নাটকীয়তায় জমজমাট আইপিএল, দেখে নিন সমীকরণ
  • জমজমাট নাটকের পর কিংসের শিরোপা উৎসব