সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ রোববার দুদকের মহাপরিচালক মো. আখতার হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে দেশে ফিরিয়ে আনা যায় কি-না, সে বিষয়ে দুদকের তদন্ত দল কাজ করছে।’

দুদকের মহাপরিচালক মো.

আখতার হোসেন আরও জানান, রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপব্যবহার এবং নিয়মবহির্ভূত কার্যকলাপের আশ্রয় নিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে ডব্লিউএইচওর আঞ্চলিক পরিচালক নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে দুদক। দুর্নীতি দমন কমিশনের পাওয়া অভিযোগের ওপর পরিচালিত অনুসন্ধানে পাওয়া প্রাথমিক তথ্য থেকে জানা গেছে, সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে বাংলাদেশের মনোনয়নের ভিত্তিতে পদায়নের জন্য রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপব্যবহার এবং নিয়মবহির্ভূত কার্যকলাপের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, সার্বিকভাবে দেখা গেছে- সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ রয়েছে। এমন একজন ব্যক্তি বাংলাদেশের মনোনীত হয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি সম্মানজনক পদে দায়িত্ব পালন করে যাওয়া দেশের জন্য মর্যাদাহানিকর। এতে বিশ্বে দেশের সুনাম ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পর চ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত, বিপাকে ৪০ হাজার পর্যটক

ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের ঘটনায় বিপাকে পড়েছেন অন্তত ৪০ হাজার বিদেশি পর্যটক। ইসরায়েলে তারা আটকা পড়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির পর্যটন মন্ত্রণালয়। ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রেক্ষাপটে আকাশপথ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তারা। খবর রয়টার্সের।

পর্যটন মন্ত্রণালয় বলছে, তারা পর্যটকদের সহায়তায় ২৪ ঘণ্টার ভার্চুয়াল অফিস চালু করেছে, যা হিব্রু এবং ইংরেজি দুই ভাষায় তথ্যসেবা দিচ্ছে।

মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, পর্যটন খাতের বিভিন্ন অংশীজন—যেমন হোটেল ও অন্যান্য আবাসন প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে তারা যোগাযোগ রাখছে, যাতে পর্যটকরা আবাসনসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সহায়তা পেতে পারেন।

পর্যটন মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, আমরা পর্যটকদের দেশে ফেরার সুযোগ তৈরি করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এজন্য বিদেশি পাসপোর্টধারীরা যাতে স্থলপথে জর্ডান ও মিশরের সীমান্ত পার হতে পারেন, সেই সুযোগগুলো তুলে ধরা হচ্ছে। এসব সীমান্ত এখনও খোলা রয়েছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ