রাজধানীর তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তা মোড়ে সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করেছেন ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটসহ সরকারি-বেসরকারি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।

তবে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা সাতরাস্তা মোড়ে অবস্থান করছেন। অবরোধ প্রত্যাহার করায় সাতরাস্তা মোড় দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়েছে।

চার দফা দাবিতে আজ বুধবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা সাতরাস্তা মোড়ে সড়ক অবরোধ করেন। সড়ক অবরোধের কারণে সাতরাস্তা মোড় দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে সংশ্লিষ্ট সড়কগুলোয় সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। যানজটে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী-চালকেরা। বেলা ২টার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করেন।

‘কারিগরি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ’ ব্যানারের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা আপাতত সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করেছেন। তবে তাঁরা সাতরাস্তা মোড়ে অবস্থান করবেন। সড়কের ফাঁকা অংশ দিয়ে যান চলাচল করবে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি হলো: প্রকৌশল অধিকার আন্দোলন কর্তৃক ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি প্রদানকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা; বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের অযৌক্তিক তিন দফা দাবির পক্ষে পরিচালিত সব কার্যক্রম রাষ্ট্র কর্তৃক অবিলম্বে বন্ধ করা; কারিগরি ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশের উত্থাপিত যৌক্তিক ছয় দফা দাবির রূপরেখা ও সুপারিশ অনুযায়ী পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করা এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ান-চ্যানেল এডুকেশন চালু করা।

আরও পড়ুনকারিগরি শিক্ষার্থীদের সাতরাস্তা মোড় অবরোধ, তীব্র যানজট২ ঘণ্টা আগে

কারিগরি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি মো.

মাশফিক ইসলাম বলেন, শিক্ষকেরাও শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করছেন। আজকের আন্দোলনে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, ঢাকা মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটসহ চারটি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা আন্দোলনে সংহতি জানিয়েছেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স তর স ত প রক শ

এছাড়াও পড়ুন:

নেত্রকোনায় ছেলের লাঠির আঘাতে বাবার মৃত্যু

নেত্রকোনার মদনে ছেলের লাঠির আঘাতে মোস্তফা মিয়া (৬৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার মাঘান ইউনিয়নের ঘাটুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মোস্তফা মিয়া ঘাটুয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি কৃষিকাজ করতেন।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মোস্তফা মিয়ার ছেলে সাজ্জাদ মিয়া (২৫) দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন। তিনি কখনো বাড়িতে থাকতেন, কখনো বাড়ি ছেড়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতেন।

গতকাল সন্ধ্যার পর সাজ্জাদ বাড়িতে ফেরেন। রাতের খাবার শেষে মোস্তফা মিয়া নিজ ঘরে শুয়ে পড়লে হঠাৎ সাজ্জাদ ঘরে ঢুকে লাঠি দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান মোস্তফা মিয়া।

খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন সাজ্জাদকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে মোস্তফা মিয়ার লাশ উদ্ধার করে এবং সাজ্জাদকে থানায় নিয়ে যায়।

মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুল আলম শাহ বলেন, সাজ্জাদ মানসিক ভারসাম্যহীন বলে পরিবার ও এলাকাবাসী জানিয়েছেন। তাঁকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ আজ রোববার সকালে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ