সাবেক এমপি ধীরেন্দ্র দেবনাথ ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
Published: 29th, January 2025 GMT
বরগুনা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু ও তার স্ত্রী মাধবী চন্দ্র দেবনাথের নামে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সাড়ে ৭ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বুধবার (২৯ জানুয়ারি) মামলা দায়ের করা হয়। দুদকের উপপরিচালক মো.
প্রায় ২ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পাওয়ায় শম্ভুর ছেলে সুনাম দেবনাথ ও তার স্ত্রী কাপসিয়া তালুকদার, শম্ভুর মেয়ে শুল্কা দেবনাথ, মনীষা মুনমুনের সম্পদের বিবরণী চেয়ে নোটিশ জারি করেছে দুদক।
আরো পড়ুন:
নড়াইলে গ্রাম আদালতে ৬৪১ মামলা নিষ্পত্তি
সাংবাদিক তুরাব হত্যা মামলায় পুলিশ কর্মকর্তা দস্তগীর বরখাস্ত
দুদক মামলায় উল্লেখ করেন, সাবেক সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু অবৈধ উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৫ কোটি ৪১ লাখ ২০ হাজার ১২৫ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন। নিজ নামে ১৬টি ব্যাংক হিসাবে মোট ৪১ কোটি ৯৩ লাখ ২৫ হাজার ৭০২ টাকার অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন।
পৃথক মামলায় আসামি হয়েছেন ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর স্ত্রী মাধবী দেবনাথ। তার বিরুদ্ধে স্বামী শম্ভুর ক্ষমতার অপব্যবহার করে ২ কোটি ২ লাখ ৪১ হাজার ৪০৪ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া নিজ নামে ৭টি ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনকভাবে মোট ৮ কোটি ৪৫ লাখ ৬১ হাজার ২৭৮ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করার অভিযোগ রয়েছে।
সুনাম দেবনাথ ৯৬ লাখ ৫৮ হাজার ৪৪৩ টাকা ও কাসপিয়া ৪৯ লাখ ৮৮ হাজার ৪০০ টাকা সম্পদ অর্জন করেছেন বলে অভিযোগ করে তাদের সম্পদের বিবরণী জমা দিতে বলা হয়েছে।
শম্ভুর দুই মেয়ে শুক্লা দেবনাথের বিরুদ্ধে ৬৮ লাখ ৯১ হাজার টাকার এবং মনীষা মুনমুনের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের সম্পদ বিবরণীর নোটিশও জারি করেছে দুদক।
ঢাকা/ইমরান/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ধ র ন দ র দ বন থ কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
জেমকন গ্রুপের দুই পরিচালকের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করবে দুদক
প্রায় ১১৩ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ১২৫ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে জেমকন গ্রুপের পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কাজী আনিস আহমেদ এবং তাঁর ভাই কাজী ইনাম আহমেদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
দুদক সূত্র জানায়, প্রথম মামলায় কাজী আনিস আহমেদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ৮০ কোটি ৩৫ লাখ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হবে। একই সঙ্গে তাঁর নামে ২০টি ব্যাংক হিসাবে ৭৯ কোটি ১৪ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগও করা হবে।
অন্য মামলায় কাজী ইনাম আহমেদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের উৎসের বাইরে ৩২ কোটি ৬৬ লাখ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হবে। এ ছাড়া তাঁর নামে ১৪টি ব্যাংক হিসাবে ৭৪ কোটি ৭৮ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে।
দুদক বলছে, দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ আনা হবে।