ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের সাবেক সামরিক প্রধান মোহাম্মদ দেইফের নিহত হওয়ার খবর প্রায় সাত মাস পর নিশ্চিত করা হলো।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) টেলিগ্রামে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে মোহাম্মদ দেইফের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে হামাস।

এর আগে ইসরায়েল দাবি করেছিল, গত বছরের ১৩ জুলাই তাদের সামরিক অভিযানে মোহাম্মদ দেইফ নিহত হয়েছেন। তবে তখন হামাস বিষয়টি স্বীকার করেনি।

আরো পড়ুন:

টঙ্গীতে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ

ফিলিস্তিনে সাংবাদিক হত্যা
আইসিসিতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের

মোহাম্মদ দেইফ কে ছিলেন?
দেইফ 1990-এর দশকে হামাসের সামরিক শাখা কাসেম ব্রিগেডের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন এবং ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই বাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি ছিলেন ইসরায়েলিদের জন্য মূতিমান আতঙ্ক। গাজায় ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গ সম্পর্কে দেইফ খুবই ভালো অবগত ছিলেন এবং এগুলো পরিচালনায় তার দক্ষতা ছিল অনতুলনীয়। ইসরায়েলের আগ্রাসন মোকাবিলায় অস্ত্র তৈরির দক্ষতাও অর্জন করেছিলেন তিনি।

২০১৪ সালের আগস্টে গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় দেইফের স্ত্রী এবং সাত মাস বয়সি ছেলে নিহত হয়।

ইসরায়েলের একটি হত্যা মিশনে চোখ হারিয়েছিলেন মোহাম্মদ দেইফ। তার একটি পাও জখম হয়েছিল তখন। হামাসের সশস্ত্র শাখার প্রধান হিসেবে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে একজন বীরে পরিণত হয়েছিলেন দেইফ।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর সকালে দেইফের নেতৃত্বে হামাস ইসরায়েলে ‘আল-আকসা বন্যা’ অভিযানের ঘোষণা দিয়ে হামলা চালায়। 

২০২৪ সালের আগস্টে ইসরায়েলের কর্মকর্তারা দাবি করেছিলেন, তাদের সামরিক বাহিনী দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের পশ্চিমে আল-মাওয়াসিতে ১৩ জুলাই একটি বিমান হামলায় দেইফকে হত্যা করেছে। কিন্তু হামাস সেই সময় এই খবর অস্বীকার করে। তখন হামাস বলেছিল, দেইফকে লক্ষ্য করে ইসরায়েলের অপারেশন ভুল ছিল।

ঢাকা/রাসেল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল ইসর য় ল

এছাড়াও পড়ুন:

দলগুলো ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে ব্যর্থ হলে সরকার নিজের মতো সিদ্ধান্ত নেবে

জুলাই জাতীয় সনদ বা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিক-নির্দেশনা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারে, তাহলে সরকার তার মতো করে সিদ্ধান্ত নেবে।

আজ সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের ‘জরুরি সভায়’ এই সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। পরে সেখানে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের সিদ্ধান্ত জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, আদিলুর রহমান খান ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

গত মঙ্গলবার জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে বলা হয়েছে, সনদের সংবিধান-সম্পর্কিত সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নে বিশেষ আদেশ জারি করে তার ভিত্তিতে গণভোট হবে। গণভোটে প্রস্তাব পাস হলে আগামী সংসদ সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করবে।

তবে গণভোট কবে হবে, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার সরকারের ওপর ছেড়ে দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। সরকার সিদ্ধান্ত নেবে গণভোট কি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে হবে, নাকি আগে হবে। এসব সুপারিশ জমা দেওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলো পরস্পরবিরোধী অবস্থান নিয়েছে। এ রকম পরিস্থিতিতে আজ জরুরি বৈঠকে বসে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ