গাজর শরীরের জন্য কতটা উপকারী এটা সবারই জানা। ত্বক, চুলের পাশাপাশি এই সবজি চোখের স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো। এই সবজি ওজন কমাতেও সাহায্য করে। কিন্তু গাজর কীভাবে খেলে দ্রুত শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরবে তা হয়তো অনেকেরই জানা নেই। সে ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে পারেন। যেমন-
১, দু'টুকরো গাজর সেদ্ধ খেতে পারেন প্রতিদিন। শুধু শুধু খেতে সমস্যা হলে অল্প লবণ আর গোলমরিচ দিয়ে গাজর সেদ্ধ খেতে পারেন। এতে ওজনও দ্রুত কমবে।
২, যারা নিয়মিত সালাদ খান, তারা সালাদের একটি উপকরণ হিসেবে গাজর রাখুন। গাজর কাঁচা খেলে ভালভাবে ধুয়ে নেওয়া অবশ্যই জরুরি।
৩.
৪.দ্রুত ওজন কমাতে চাইলে নিয়মিত এক কাপ গাজরের রস খেতে পারেন। স্বাদ বাড়াতে সামান্য লবণ আর গোলমরিচ মিশিয়ে নিতে পারেন গাজরের রসের মধ্যে।
৫. গাজর, আদা, পাতিলেবুর রস, অল্প দারচিনির গুঁড়ো একসঙ্গে মিশিয়ে একটি ডিটক্স ড্রিঙ্ক তৈরি করেও খেতে পারেন। এতে দ্রুত মেদ ঝরবে।
৬. শুধু গাজর দিয়েও তৈরি করে নিতে পারেন পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু সালাদ। এর জন্য গাজরের সঙ্গে সামান্য অলিভ অয়েল, পার্সলে পাতা, অল্প সাদা তিল, সামান্য বিট লবণএবং গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে নিতে পারেন। এতে স্বাস্থ্যকর সালাদ তৈরি হবে।
৭. অনেকেই ওজন কমানোর জন্য স্যুপ খান। সেখানে মেনুতে রাখতে পারেন গাজরের স্যুপ। যা শরীর হালকা রাখেবে। এতে শরীর পুষ্টি পাবে, ওজনও কমবে। গাজরের স্যুপ তৈরি করার জন্য গাজর ছাড়াও পেঁয়াজ, রসুন, বিভিন্ন সবজি, অলিভ অয়েল, জিরা-হলুদ গুঁড়ো, লবণ-গোলমরিচ দিতে পারেন। ।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
ক্রান্তিকালে বিসিবির প্রস্তুতির অভাব দেখছেন তামিম
জাতীয় দলের দীর্ঘদিনের নির্ভরতার প্রতীক তামিম ইকবাল মনে করছেন, সাকিব-মুশফিক-রিয়াদদের বিদায়ের পর বাংলাদেশের ক্রিকেটে যে সংকট তৈরি হয়েছে, তার জন্য আগেভাগে প্রস্তুত ছিল না বিসিবি। এই পরিস্থিতিতে হাই পারফরম্যান্স (এইচপি), টাইগার্স ও ‘এ’ দলের কাঠামোতে আরও বেশি বিনিয়োগের ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।
সমকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তামিম বলেন, ‘পাঁচজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সরে গেছে, যাদের অভিজ্ঞতা ১৫-১৭ বছরের। তারা হাজারের বেশি ম্যাচ খেলেছে। এই মানের ক্রিকেটারদের বিদায়ে শূন্যতা আসবেই। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, বোর্ড কি এই ক্রান্তিকালের জন্য প্রস্তুত ছিল?’
তামিমের মতে, জাতীয় দলের অনেক ক্রিকেটারই এখন ৭-১০ বছর ধরে খেলছেন। এই সময়টাতে তাদের পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য বিকল্প খেলোয়াড় গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া উচিত ছিল। তিনি বলেন, ‘জাতীয় দলকে যতটা সম্ভব সুযোগ-সুবিধা দিন, কিন্তু ভবিষ্যতের কথা ভেবে এইচপি, টাইগার্স ও “এ” দলে বেশি ফোকাস করুন। এই জায়গাগুলোতে ভালো বিনিয়োগ না হলে জাতীয় দল সবসময় ধুঁকতেই থাকবে।’
তবে সামগ্রিকভাবে দেশের ক্রিকেট নিয়ে আশাবাদী তামিম। তার ভাষায়, ‘আমরা কখনোই তিন সংস্করণে একসঙ্গে ভালো করিনি। এই দলটাকেও যদি সময় দেওয়া হয়, তারা ঘুরে দাঁড়াবে।’
ভবিষ্যৎ তারকা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তামিম বেশ কয়েকজনের নাম তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘পেস বিভাগে তাসকিন আছে, নতুন নাহিদ রানা ভালো করছে। তাইজুল চমৎকার স্পিনার। হৃদয়, জাকের আলীরাও সম্ভাবনাময়। এদের মধ্য থেকেই কেউ কেউ বড় তারকা হয়ে উঠতে পারে।’
সবশেষে তিনি বোর্ডের প্রতি ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস দিন, বোঝান– তারা বোর্ডের পূর্ণ সমর্থন পাচ্ছে।’