প্রথমবারের মতো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) প্রশাসনের উদ্যোগে শুরু হতে যাচ্ছে পাঁচ দিনব্যাপী একুশে বইমেলা। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে এ মেলা অনুষ্ঠিত হবে।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক মো. আখতার হোসেন মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অধ্যাপক মজুমদার জানান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে বইমেলা শুরু হবে। তবে এটি ২৩ বা ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে কিনা, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে অনুষ্ঠিত এ মেলায় ঢাকা, রাজশাহীসহ দেশের স্বনামধন্য প্রকাশনীগুলো অংশগ্রহণ করবে।

এর আগে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক মেহেদী সজিব ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ’ নামে এক ফেসবুক গ্রুপে বইমেলা আয়োজনের প্রস্তাব দেন।

সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, “পরিবর্তিত সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা বেড়েছে। এবারের ফেব্রুয়ারি বেশ প্রাণবন্ত, চারদিকে বইমেলার আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে। তবে প্রশাসনের পরিকল্পিত উদ্যোগ থাকলে ফেব্রুয়ারিকে আরও সুন্দরভাবে সাজানো সম্ভব হতো। অন্তত একটি বইমেলা আয়োজন করা যেত।”

প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এ সমন্বয়ক বলেন, “প্রতি বছর শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একাধিক বই প্রকাশিত হয়। একুশে বইমেলাকে কেন্দ্র করেও নতুন বই আসছে। প্রশাসন যদি তাদের অনুপ্রাণিত করে, তাহলে ভবিষ্যতে ভালো লেখক ও পাঠক তৈরি সম্ভব।”

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বইম ল

এছাড়াও পড়ুন:

প্রথমবারের মতো সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট প্রকাশ করলো এনআরবিসি ব্যাংক

টেকসই উন্নয়ন, সামাজিক ও পরিবেশবান্ধব অর্থায়নকে গুরুত্ব দিয়ে প্রথমবারের মতো ‘সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট-২০২৪’ প্রকাশ করেছে এনআরবিসি ব্যাংক। গ্লোবাল রিপোর্টিং ইনিশিয়েটিভ (জিআরআই) স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী প্রণীত প্রতিবেদনের মূল প্রতিপাদ্য হলো ‘অন্তর্ভূক্তিমূলক অর্থায়নে সবুজ আগামী’।

বুধবার (৫ নভেম্বর) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে প্রতিবেদনের মোড়ক আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. মো. তৌহিদুল আলম খান। এসময় ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিএফও হারুনুর রশীদ, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিওও মোহাম্মদ আব্দুল কাইয়ুম খানসহ সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্টিং কমিটির সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে ড. তৌহিদুল আলম খান বলেন, “জিআরআই গাইডলাইন্স অনুসরণ করে সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট প্রকাশ এনআরবিসি ব্যাংকের আর্থিক স্থিতি, পরিবেশগত দায়িত্ববদ্ধতা এবং সামাজিক ন্যায়ের প্রতি দীর্ঘমেয়াদি প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।”

তিনি আরো বলেন, “ভবিষ্যতে গ্রিন ব্যাংকিং, নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাত, সামাজিক কল্যাণে অতিক্ষুদ্র খাত এবং পরিবেশবান্ধব উদ্যোগের সহযোগিতা ও অর্থায়ন বাড়ানো হবে।”

রিপোর্টে বলা হয়েছে, এনআরবিসি ব্যাংক পরিবেশ, সামাজিক উন্নয়ন ও সুশাসনকে প্রাধান্য দিয়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ২০২৪ সালে ব্যাংকটি গ্রিন ও সাসটেইনেবল ফাইন্যান্সিং খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জ্বালানি-দক্ষ প্রযুক্তি, টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সবুজ স্থাপনা এবং জলবায়ু সহনশীল কৃষি উদ্যোগে অর্থায়নের মাধ্যমে এনআরবিসি ব্যাংক কৃষক ও জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা এবং টেকসই উন্নয়নে সরাসরি অবদান রাখছে।

রিপোর্টে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, টেকসই ব্যাংকিং মানেই শক্তিশালী ও ভালো ব্যাংকিং। এনআরবিসি ব্যাংকের এই পরিবেশবান্ধব উদ্যোগের সুফল গ্রাহক, ঋণগ্রহীতা ও শেয়ারহোল্ডাররা পাবেন। স্বচ্ছ ও দায়িত্বশীল ব্যাংকিং সেবার কারণে সবুজ অর্থায়ন প্রকল্পগুলো গুরুত্ব পাবে, এতে উদ্যোক্তাদের দীর্ঘমেয়াদে খরচ কমবে এবং মুনাফা বাড়বে। আমানতকারী এবং শেয়ারহোল্ডাররা নিশ্চিন্ত থাকতে পারবেন যে, তাদের জমানো অর্থ ও বিনিয়োগ পরিবেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ খাতে ব্যবহার করা হচ্ছে না।

ঢাকা/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অ্যাপল ওয়াচে আলাদা হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাপ, যে সুবিধা পাওয়া যাবে
  • শান্তি পুরস্কার নিয়ে আসছে ফিফা, প্রথমবার কি ডোনাল্ড ট্রাম্প পাবেন
  • ইউআইইউ মার্স রোভার টিমের অনন্য সাফল্য, শুনুন পেছনের গল্প
  • প্রথমবারের মতো সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট প্রকাশ করলো এনআরবিসি ব্যাংক
  • মহাকাশ স্টেশনে রান্না করছেন চীনা নভোচারীরা
  • মাঠে জিত, বাইরে হার
  • মাঠে ফেরা নেইমার এবারও নেই ব্রাজিল দলে