Samakal:
2025-11-03@21:36:03 GMT

তামিমে একসুতায় বাঁধা বরিশাল

Published: 5th, February 2025 GMT

তামিমে একসুতায় বাঁধা বরিশাল

তাওহিদ হৃদয় হাফ সেঞ্চুরি করে নিজের ফেসবুক পেজে তামিমকে অভিভাবক হিসেবে সম্মান দেখালেন। ফরচুন বরিশালের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান ভালোবেসে তামিমকে দলের ‘স্বত্বাধিকারী’ বলে মিডিয়ার সামনে তুলে ধরেছেন। বলতে গেলে দলের প্রত্যেক ক্রিকেটারের কাছে প্রেরণা হয়ে আছেন অধিনায়ক। এই ভালোবাসা তামিমকে দারুণভাবে স্পর্শ করে। তিনি বরিশাল দলটিকে একটি পরিবারের মতো করে আগলে রেখেছেন প্রথম থেকেই। 

বিসিবির নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের ভাষায়, ‘হোটেলে তামিম ভাইয়ের রুমের দরজা ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে।’ ফরচুন বরিশাল স্কোয়াডের সবার কাছে পরিবারের মতো। এই দল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিমদের মতো সিনিয়র ক্রিকেটারকে যেমন ধারণ করেছে, তেমনি উদীয়মান ইকবাল হাসান ইমনকেও। অধিনায়কের ছাতার তলে সবাই সম্মানিত। এ কারণেই জাতীয় দলের অনেক তারকা ক্রিকেটার রিজার্ভ বেঞ্চে থেকেও দলের একনিষ্ঠ সদস্য। তারা সবাই এক দল ও অভিন্ন লক্ষ্য নিয়ে খেলেছেন। এই একসুতায় বাঁধতে পারাই বরিশালের ফাইনালে উন্নীত হওয়ার রহস্য। অন এবং অফ দ্য ফিল্ড ঈর্ষণীয় বন্ধন গড়ে তুলেছেন অধিনায়ক তামিম, যার নেতৃত্বে টানা দ্বিতীয় শিরোপা জয়ের স্বপ্ন দেখছে ফরচুন বরিশাল।

বর্তমান চ্যাম্পিয়ন হিসেবে একাদশ বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচ ছিল বরিশালের। দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে পিছিয়ে পড়েও ম্যাচটি জিতেছিল মাহমুদউল্লাহ ও ফাহিম আশরাফের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে ভর করে। তারকায় ঠাসা দলটি পরের ম্যাচেই হেরেছিল রংপুর রাইডার্সের কাছে। ঢাকার প্রথম পর্বে দুই ম্যাচ খেলে সিলেটে পাড়ি জমায়। তিন ম্যাচ খেলে একটিতে পরাজিত। রংপুরের কাছে ফিরতি ম্যাচটিও হেরে যায় শেষ ওভারের নাটকীয়তায়। নুরুল হাসান সোহানের বীরোচিত এক ওভারের ব্যাটিং বরিশালকে বিপর্যস্ত করে দেয়। সেখান থেকেই একজন দক্ষ নাবিকের মতো হাল ধরেন তামিম। 

চিটাগং পর্বের টানা তিন ম্যাচ জিতে সুপার ফোরে খেলা অনেকটাই নিশ্চিত করে ঢাকায় ফেরে। শেষ চার ম্যাচের তিনটিতে জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দল হিসেবে প্রথম কোয়ালিফায়ার খেলে বরিশাল। সোমবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে চিটাগং কিংসের বিপক্ষে প্রভাব বিস্তার করে খেলে ম্যাচ জিতে ফাইনালে উন্নীত হয়। ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ হবে চিটাগং কিংস বা খুলনা টাইগার্সের যে কোনো এক দল। আজ দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে মুখোমুখি হবে তারা।

বরিশালের অধিনায়ক প্রথম সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, কম্বিনেশন ঠিক করতে প্রথম দিকে বেশির ভাগ ক্রিকেটারকে সুযোগ দেবেন। নাজমুল হোসেন শান্ত সে সুযোগ পেয়েছেন। তাইজুল ইসলামও দুটি ম্যাচ খেলেছেন। টিম ম্যানেজমেন্ট শেষে টপঅর্ডারে বেছে নেয় তাওহিদ হৃদয় ও ডেভিড মালানকে। দেশি-বিদেশি ব্যাটারের সমন্বয় করার কারণ ব্যাখ্যা করে বলেছিলেন, ডান হাতি-বাঁহাতি ব্যাটারের সমন্বয় করতেই শান্তকে সুযোগ দিতে পারছেন না। জাতীয় দলের অধিনায়ক শান্ত দলের প্রয়োজনকেই সম্মান দেখাচ্ছেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ত ম ম ইকব ল ব প এল প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ