৬ বছর পর যশোর জেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি গঠন
Published: 5th, February 2025 GMT
ছয় বছর পর যশোর জেলা যুবদলের কমিটি ভেঙে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগের কমিটির সভাপতি এম তমাল আহমেদকে আহ্বায়ক ও সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হক রানাকে সদস্যসচিব করে ৯ সদস্যবিশিষ্ট আংশিক আহ্বায়ক কমিটি করা হয়েছে। আজ বুধবার যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহদপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
আগামী ৩০ দিনের মধ্যে জেলা যুবদলের ৫১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে কেন্দ্রীয় দপ্তরে পাঠানোর জন্য ওই বিজ্ঞপ্তিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কমিটির উল্লেখযোগ্য অন্য সদস্যরা হলেন জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফুল কবির, যুগ্ম আহ্বায়ক কবির হোসেন, আমিনুর রহমান, নাজমুল হোসেন, আরিফুল ইসলাম, রাজিদুর রহমান ও মোহাম্মদ ইমদাদুল হক।
যুবদলের নেতারা জানান, ২০১৮ সালের ২ জুন এম তমাল আহমেদকে সভাপতি ও আনসারুল হক রানাকে সাধারণ সম্পাদক করে ২০১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন করে কেন্দ্রীয় কমিটি। দীর্ঘদিন নতুন করে কমিটি না হওয়ায় সাবেক ছাত্রনেতাদের মধ্যে হতাশা দেখা দেয়। দীর্ঘ ছয় বছর পর নেতৃত্ব দেওয়া জেলা যুবদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককেই আহ্বায়ক ও সদস্যসচিব পদে বসিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি।
জেলা যুবদলের আহ্বায়ক এম তমাল আহমেদ বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটি আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছে। একটি সুন্দর কমিটি হয়েছে। এক মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে পাঠানোর প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক ন দ র য় কম ট য বদল র কম ট র
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের জন্য যা যা করা দরকার, সব করেছেন আহমদ ছফা
আহমদ ছফাকে বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই সহ্য করতে পারতেন না। কিন্তু তাঁর বেশির ভাগ কথা এখন সত্যে পরিণত হয়েছে। দেশের সঙ্গে তিনি প্রাণকে যুক্ত করেছিলেন। দেশকে ভালোবেসে যা যা করা দরকার, তার সবকিছু করেছেন।
শুক্রবার বিকেলে আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান এসব কথা বলেন। এশীয় শিল্পী ও সংস্কৃতি সভা জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতা-২০২৫’ আয়োজন করে। ‘আহমদ ছফার রাষ্ট্র বাসনা এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরিচয়’ শীর্ষক স্মৃতি বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এশীয় শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সভার সভাপতি জহিরুল ইসলাম। আহমদ ছফা (১৯৪৩–২০০১) ছিলেন লেখক, প্রগতিশীল সাহিত্যকর্মী ও রাজনৈতিক চিন্তক।
অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আহমদ ছফা ছিলেন মূলত সাহিত্যিক। তবে তিনি সাহিত্যের গণ্ডি পেরিয়ে চিন্তাকে রাষ্ট্রভাবনা বিষয়ে প্রসারিত করেছিলেন। তিনি ছিলেন অনেক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। তিনি এমন বিষয় নিয়ে চিন্তা করেছিলেন, তা অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না।’ ছফা বলেছিলেন, ‘বিপ্লবের একটি নতুন ভাষা থাকতে হবে। মানুষের রাষ্ট্রের বাসনা বুঝতে হবে। দেশটা আমার নিজের বলে মনে করলে তার সমস্যার সমাধানও আমার নিজের মতো করেই ভাবতে হবে।’
স্মৃতি বক্তৃতায় ফারুক ওয়াসিফ বলেন, আহমদ ছফা রাষ্ট্র নিয়ে গভীরভাবে ভেবেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে ধরনের দেশ সেই বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করার মতো কোনো তাত্ত্বিক রাজনৈতিক রূপরেখা নেই। কোনো রাজনৈতিক দলও নেই।
ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। একাত্তর ছিল অপরিকল্পিত। একইভাবে জুলাই অভ্যুত্থানও হয়েছে অপ্রস্তুতভাবে। এখন জুলাইয়ের নেতারা প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছেন। বড় দলের যে সামর্থ্য আছে, সেই শক্তি–সামর্থ্য তাদের নেই। তারা মিত্রহীন হয়ে পড়েছে।’
আহমদ ছফার বন্ধু ব্যবসায়ী আবদুল হক বলেন, জনগণ রাষ্ট্রের পরিবর্তন চেয়েছিল। বাংলাদেশের নবীন প্রজন্ম সেই পরিবর্তন ঘটিয়েছে। সারা বিশ্ব দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করতে জানে। এখন একটি নতুন রাজনীতি দরকার।