বিএনপির সাতক্ষীরা জেলার সব উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। সেই হিসাবে জেলায় বিএনপির ৮০৭টি কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে বিএনপির দলীয় প্যাডে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলার আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব আবু জাহিদ। তিনি বলেন, বিলুপ্তঘোষিত কমিটিগুলো নতুন করে গঠন করে আগামী তিন মাসের মধ্যে জেলা সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরা জেলায় সাতটি উপজেলায় তিনটি পৌরসভা ছাড়াও ৭৭টি ইউনিয়ন রয়েছে। সেই হিসাবে ৭৭টি ইউনিয়ন কমিটি, ৭৭ ইউনিয়নের প্রত্যেকটিতে নয়টি করে অর্থাৎ ৬৯৩ ওয়ার্ড কমিটি, তিনটি পৌর কমিটি, প্রত্যেকটি পৌরসভায় নয়টি করে অর্থাৎ ২৭টি ওয়ার্ড কমিটি ও সাতটি উপজেলা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, পৌরসভা ও উপজেলা কমিটি মিলিয়ে ৮০৭টি কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, কেন্দ্রীয় নির্দেশনায় নির্দেশিত হয়ে সাতক্ষীরা জেলার অন্তর্গত বিএনপির সব উপজেলা, ইউনিয়ন, ইউনিয়নের ওয়ার্ড, পৌরসভা ও পৌরসভার ওয়ার্ড কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলো। বিজ্ঞপ্তিতে জেলা বিএনপির নবগঠিত ছয় সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক রাহমাতুল্লাহ পলাশ, সদস্যসচিব আবু জাহিদ, যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল হাসান হাদী, তাসকিন আহমেদ চিশতী, মনিরুজ্জামান ও মো.

আক্তারুল ইসলামের সই রয়েছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এনপ র প রসভ উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ঘুমের ওষুধ খাইয়ে স্বামীকে হত্যা, ফাঁদ পেতে ধরা হলো প্রেমিককে

পাবনার চাটমোহর উপজেলার কাটেঙ্গা গ্রামে ক্যানসার আক্রান্ত স্বামীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে। 
দশদিন পর ঘটনা জানাজানি হলে  অভিযুক্ত স্ত্রী শারমিন খাতুন ও তার প্রেমিককে আটক করে পুলিশ। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে ঘটনাটি জানায়। 

এর আগে গত ৩০ নভেম্বর চাটমোহরের দক্ষিণপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত স্বামী শের আলী (৩৫) দক্ষিণপাড়া গ্রামের ভোলা প্রামানিকের ছেলে। শারমিন খাতুন (২৬) কাটেঙ্গা গ্রামের শাহ আলমের মেয়ে। এবং তার প্রেমিক অনিক (২২) একইগ্রামের মহাজন সরকারের ছেলে। 

স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ নভেম্বর শের আলীর মৃত্যু হয়। তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। তার মৃত্যুর পর বিষয়টি স্বাভাবিক হিসেবে শুরুতে মেনে নিলেও সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুকে ঘিরে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়দের মধ্যে নানা প্রশ্ন দেখা দেয়।
জানা যায়, শের আলীর চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও ইউটিউবারদের মাধ্যমে চিকিৎসা সহায়তার অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছিল। অভিযোগ রয়েছে, সেই অর্থের একটি বড় অংশ শারমিন অনিককে দিয়েছেন। 

মৃত শের আলীর ফুপাতো ভাই এনামুল হোমেনের দাবি, শারমিন ও অনিকের মধ্যে ফেসবুক মেসেঞ্জারে হওয়া কথোপকথন ঘেঁটে টাকা লেনদেনের একাধিক তথ্য পাওয়া গেছে। সেখান থেকেই প্রথম সন্দেহের সূত্রপাত। 

এরপর ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে পরিবারের সদস্যরা কৌশল অবলম্বন করেন। শারমিনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে অনিককে টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে আসতে বলে মেসেজ পাঠানো হয়। অনিক এই ফাঁদে পা দেন।  

শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে অনিকে টাকা নিতে এলে স্থানীয়রা তাকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে অসংলগ্ন বক্তব্য ও পরস্পরবিরোধী তথ্য দিলে সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়। পরে অনিক ও শারমিন স্বীকার করেন, প্রায় চার মাস ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। 

শারমিন এ সময় জানান, গত ৩০ নভেম্বর একসঙ্গে দশটি ঘুমের ওষুধ শের আলীকে তিনি খাইয়েছিলেন। এতে শের আলীর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটে এবং কিছু সময়ের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়। 

শের আলীর মা শিরীনা খাতুন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘‘আমার অসুস্থ ছেলেকে ওর বউ ঘুমের ওষুধ খাইয়েছে। সে সহ্য করতে না পেরে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে এসে দেখি আমার ছেলে আর বেঁচে নেই। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।’’

চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম সরোয়ার হোসেন বলেন, ‘‘মৃত ব্যক্তির পরিবারে পক্ষ থেকে কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি বা মামলা করেনি। যেহেতু ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে আটক করা হয়েছে, সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তাদের পাবনা আদালতে সোপর্দ করেছে।’’ 

ঢাকা/শাহীন//

সম্পর্কিত নিবন্ধ