বিএনপির সাতক্ষীরা জেলার ৮০৭টি কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা
Published: 7th, February 2025 GMT
বিএনপির সাতক্ষীরা জেলার সব উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। সেই হিসাবে জেলায় বিএনপির ৮০৭টি কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে বিএনপির দলীয় প্যাডে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলার আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব আবু জাহিদ। তিনি বলেন, বিলুপ্তঘোষিত কমিটিগুলো নতুন করে গঠন করে আগামী তিন মাসের মধ্যে জেলা সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরা জেলায় সাতটি উপজেলায় তিনটি পৌরসভা ছাড়াও ৭৭টি ইউনিয়ন রয়েছে। সেই হিসাবে ৭৭টি ইউনিয়ন কমিটি, ৭৭ ইউনিয়নের প্রত্যেকটিতে নয়টি করে অর্থাৎ ৬৯৩ ওয়ার্ড কমিটি, তিনটি পৌর কমিটি, প্রত্যেকটি পৌরসভায় নয়টি করে অর্থাৎ ২৭টি ওয়ার্ড কমিটি ও সাতটি উপজেলা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, পৌরসভা ও উপজেলা কমিটি মিলিয়ে ৮০৭টি কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, কেন্দ্রীয় নির্দেশনায় নির্দেশিত হয়ে সাতক্ষীরা জেলার অন্তর্গত বিএনপির সব উপজেলা, ইউনিয়ন, ইউনিয়নের ওয়ার্ড, পৌরসভা ও পৌরসভার ওয়ার্ড কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলো। বিজ্ঞপ্তিতে জেলা বিএনপির নবগঠিত ছয় সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক রাহমাতুল্লাহ পলাশ, সদস্যসচিব আবু জাহিদ, যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল হাসান হাদী, তাসকিন আহমেদ চিশতী, মনিরুজ্জামান ও মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব এনপ র প রসভ উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
এবারের ঈদযাত্রায় প্রাণহানি গত ঈদের চেয়ে বেশি: যাত্রী কল্যাণ সমিতি
এবার পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটির ১৫ দিনে দেশের সড়ক, রেল ও নৌপথে মোট ৩৭৯টি দুর্ঘটনায় ৩৯০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করা সংগঠনটি আরও জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় ১ হাজার ১৮২ জন আহত হয়েছেন।
গত ঈদের তুলনায় এবার সড়ক দুর্ঘটনা ও হতাহত মানুষের সংখ্যা বেশি ছিল বলে সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়। ঈদুল ফিতরের ছুটির ১৫ দিনে ৩৪০টি দুর্ঘটনায় ৩৫২ জন নিহত হয়েছিলেন। আহত হয়েছিলেন ৮৩৫ জন।
আজ সোমবার ‘ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন’ প্রকাশ করে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
লিখিত প্রতিবেদনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, এবার বেশি ঘটেছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা। ঈদযাত্রায় সড়ক–মহাসড়কে ১৩৪টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৪৭ জন নিহত ও ১৪৮ জন আহত হয়েছেন। এটি মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৩৫ শতাংশের বেশি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এসব দুর্ঘটনায় হতাহত ৬১ জন চালক, ৫০ জন পরিবহনের শ্রমিক, ৫৮ জন পথচারী, ৪০ জন নারী, ৩০টি শিশু, ৩২ জন শিক্ষার্থী, ৭ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ৫ জন শিক্ষক, ১ জন করে চিকিৎসক, প্রকৌশলী এবং ৮ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা–কর্মীর পরিচয় মিলেছে।
দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মোট সংঘটিত দুর্ঘটনার ৩৭ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ২৮ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে ও ২৮ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়।
সাংবাদিকের করা এক প্রশ্নে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক বলেন, ফিটনেসবিহীন গাড়ি মহামারির মতো যাত্রীর প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে। সড়কে যাত্রীসুবিধা নিশ্চিত ও সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে দক্ষ, প্রশিক্ষিত লোকের সমন্বয়ে সঠিক ম্যানেজমেন্ট–ব্যবস্থা গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষক আরমানা সাবিয়া হক, বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির অর্থ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ আলাউদ্দিন মাসুদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিকা আফরোজ, মনজুর হোসেন, জি এম মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।